ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নবীন-প্রবীণের মিলনমেলা

প্রকাশিত: ০৭:৩৫, ২০ মে ২০১৮

নবীন-প্রবীণের মিলনমেলা

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগের এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের দ্বিতীয় পুনর্মিলনী। গত ১১ মে ইউনিভার্সিটির গ্রীনরোড ক্যাম্পাসে ড. এম আই পাটোয়ারী অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় পরিনত হয়। সঙ্গে যোগ দেয় এ বিভাগের বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা। প্রাক্তন গ্র্যাজুয়েটরা এক অপরকে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ে। শুরু হয় প্রাক্তন গ্র্যাজুয়েটদের বেড়ে ওঠার গল্প এবং বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত পরিচল্পনা। তাদের গল্পের ভিড়ে এবং স্মৃতি রোমন্থনে কেটে যায় সময়। সিএসই বিভাগের এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের দ্বিতীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডাঃ এস কাদির পাটোয়ারী। আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন ছিলেন সংসদ সদস্য ও ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি (বিসিএস) এর চেয়ারম্যান ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. হাফিজ মোঃ হাসান বাবু। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার প্রফেসর মোঃ রফিকুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডীন প্রফেসর এটিএম মাহবুবুর রহমান সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএসই ডিআইইউ এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. একেএম ফজলুল হক। ডাঃ এস কাদির পাটোয়ারী বলেন, এ ভার্সিটির যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৫ সালে। এর প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে সিএসই বিভাগ চালু হয়। এ বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা লেখাপড়া সম্পন্ন করে আজ কর্মস্থলে প্রতিষ্ঠিত। তাদের অনেকের সুনাম ও খ্যাতি জাতীয়ভাবে। আবার অনেকে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তাদের কৃতিত্বে ইউনিভার্সিটির কর্তৃপক্ষ গৌরববোধ করে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. হাফিক মোঃ হাসান বাবু বলেন, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ার মূলমন্ত্র তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। উন্নত বিশ্বেও মানব কল্যাণে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার করে এগিয়ে যাচ্ছে। এই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্র প্রস্তুত করার জন্য সর্বোচ্চ অবদান রাখছে সিএসই গ্র্যাজুয়েটরা। তিনি এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনকে বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতার মাধ্যমে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও সিএসই ডিপার্টমেন্টের মান উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। সেই সাথে তিনি এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের সাফল্য কামনা করেন। অনুষ্ঠানে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি (বিসিএস) এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপদেষ্টা প্রফেসর ড. হাফিজ মোঃ হাসান বাবুকেও সংবর্ধনা দেয়া হয়। এছাড়াও এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সিএসই ডিপার্টমেন্ট এর চেয়ারম্যান এসোসিয়েট প্রফেসর মোঃ আবদুল বাসেদ, নজরুল ইসলাম ও ফাতেমা তুজজুহরা রূপাকে বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি (বিসিএস) এর কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে এ্যালামনাই ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের মতবিনিময় এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীরা তাদের ভবিষ্যত চিন্তাভাবনা ও পরিকল্পনার কথা জানান এবং অগ্রজদের কাছ থেকে পরামর্শ চান। প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা কর্মক্ষেত্রে তাদের চ্যালেঞ্জ ও অভিজ্ঞতার কথা জানান, সেই আলোকে বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের পরামর্শ দেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের প্রস্তুত হওয়ার জন্য বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন। বিশেষ করে আইটি সিকিউরিটি, ক্লাউড সিস্টেম, কোয়ালিটি এসিউরেন্স, গেম ডেভেলপমেন্ট ও একাডেমিক রিসার্চের মতো বিষয়গুলোতে ছাত্রছাত্রীদের ক্যারিয়ার গড়ার পরামর্শ দেয়া হয়। অনুষ্ঠান শুরুর প্রথম দিকে সকল অংশগ্রহণকারীদের গিফট বক্স, দুপুরের লাঞ্চ কূপন ও র‌্যাফেল ড্র কূপন দেয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে লটারি ড্র এর মাধ্যমে ১০ জন বিজয়ীকে আকর্ষণীয় পুরস্কার দেয়া হয়। ফারুক হোসেন
×