স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঈদের তিনদিন আগে থেকে মহাসড়কে ট্রাক, লরি, কাভার্ডভ্যানসহ সব ধরনের ভারি যান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে গার্মেন্টস, পচনশীল দ্রব্য ও জরুরী ওষুধ বহনকারী যানবাহন এ নির্দেশনার বাহিরে থাকবে। এছাড়া গার্মেন্টস মালিকরা যেন তাদের শ্রমিকদের একসঙ্গে ছুটি না দিয়ে ধাপে ধাপে ছুটি দেন সেজন্য মন্ত্রী তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুব কাছাকাছি। সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণের সুযোগ নিক আমরা সেটা চাই। তারা নির্বাচনে না এলেও যথারীতি নির্বাচন হবে, নির্বাচনের পর সরকার গঠন হবে, পার্লামেন্ট বসবে। তবে তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ট্র্যাপে ফেলবেন, সেটার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। কাজেই তাদের এই আশা, তাদের এই খোয়াবের পুনরাবৃত্তি আর বাংলাদেশে হবে না। আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। বিএনপি আসলে আসবে, না আসলেও অন্যরা এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। কাজেই এবার সরকারকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফাঁদে ফেলার সুযোগ আর তাদের থাকবে না।
শঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরে কালিয়াকৈরের সূত্রাপুর এলাকায় সাসেক প্রজেক্টের কন্ট্রাক্টরস কার্যালয়ে মহাসড়কের যানজট নিরসনকল্পে করণীয় বিষয়ে জেলা প্রশাসন, সড়ক বিভাগ ও পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, সাসেক প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক মোঃ ইসহাক, সড়ক ও জনপথের ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী খুলনার নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন খুুলনার মানুষ মেনে নিয়েছে। ওই নির্বাচন কেউ প্রত্যাখান করেনি। শুধু বিএনপিই প্রত্যাখান করেছে। তারা নির্বাচনে হেরে গেলেই এটা করে থাকে। নির্বাচনে তারা হেরে গেলেই তা প্রত্যাখান করবে- এটা আমরা জানতাম। এটা সবাই জানে। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, কারচুপি হয়েছে- এসব ভাঙ্গা রেকর্ড তারা নির্বাচন আসলেই বাজায়। বিএনপির নেতারা এসব অযৌক্তিক অবান্তর অভিযোগ না করে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ গ্রহণ করুক, সেটা আমরা চাই। আর তারা যদি নির্বাচনে না আসার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই। গণতন্ত্র গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাবে এবং নির্বাচন হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, যানজট নিরসন ও ভোগান্তি কমাতে পুলিশ, সড়ক ও জনপথ এবং স্থানীয় প্রশাসন সমন্বিতভাবে কাজ করবে। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে দিয়েছেন, রাস্তাকে চলাচল এবং ব্যবহার উপযোগী রাখতে হবে। বর্ষাকালে বৃষ্টি হবে তবে বৃষ্টিকে অজুহাত করে রাস্তার মেরামত কাজ সঠিকভাবে হবে না এটা আমি শুনবো না। আগামী ৮ তারিখের মধ্যে রাস্তার সব ধরনের মেরামতের কাজ শেষ করে সেটি সচল রাখার দায়িত্ব ইঞ্জিনিয়ারদের দেয়া হয়েছে। কালিয়াকৈরের চন্দ্রার চার লেন তৈরির কাজও জুনের ৮ তারিখের মধ্যে শেষ হবে।
এর আগে সেতুমন্ত্রী ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রায় চার লেনের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।
