ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দুই সাংবাদিকের বিচার

মিয়ানমার আদালতে দুই পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্যে গরমিল

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১৯ মে ২০১৮

মিয়ানমার আদালতে দুই পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্যে গরমিল

মিয়ানমারে আটককৃত রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের সঙ্গে সাক্ষাত করলেও তাদের হাতে গোপন নথি ধরিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দেশটির পুলিশের এক কর্মকর্তা। গত ডিসেম্বরে অফিসিয়াল সিক্রেটস এ্যাক্ট আইনে ওয়া লোন ও কিয়াও সো ওও নামে মিয়ানমারের নাগরিক ওই দুই সাংবাদিককে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর নির্যাতনের খবর সংগ্রহের সময় তারা কিছু নথি সংগ্রহ করেছিলেন। পরে ইয়াঙ্গুনে পুলিশের নিমন্ত্রণে নৈশভোজে ডেকে তাদের আটক করা হয়। খবর ইয়াহু নিউজ। আদালতে পুলিশ কর্মকর্তার ওই সাক্ষ্যের সঙ্গে আগের সাক্ষীর অনেক গরমিল পাওয়া গেছে। এর আগে এ ঘটনায় পুলিশের আরেক কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেন। গত সপ্তাহে দেয়া ওই সাক্ষ্যে তিনি বলেন, দুই সাংবাদিককে ফাঁসাতে পুলিশ ঘটনাটি সাজিয়েছিল। গত বুধবার ইয়াঙ্গুনের একটি আদালতে শুনানির সময় বিচারকই লিনকে পুলিশের ল্যান্স করপোরাল নায়াং লিন বলেছেন, ‘ওয়া লোন ও কিয়াও সো ওও’র সঙ্গে সাক্ষাতের সময় আমি কিছু নিইনি বা তাদের কিছু দিইনি।’ অবশ্য এর আগে পুলিশের ক্যাপ্টেন মো ইয়ান নায়াং আদালতকে বলেছিলেন, পুলিশের এক প্রধান কর্মকর্তা নায়াং লিন ও আরেক পুলিশ কর্মকর্তাকে গোপন নথি দিয়ে এক অপারেশনের মাধ্যমে ফাঁসাতে বলেন। গত জানুয়ারি থেকে অফিশিয়াল সিক্রেটস এ্যাক্ট আইনে দুই সাংবাদিককে সাজা দেয়া হবে কি না, তা নিয়ে শুনানি চলছে। তারা এই আইনে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদ- হতে পারে। রাখাইন রাজ্যের একটি গ্রামে ১০ জনকে হত্যার বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরির সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে এসব হত্যাকা- ঘটে। জাতিসংঘ বলছে, এ ঘটনার পর সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ওই দুই সাংবাদিক তাদের আত্মীয়দের বলেছেন, ইয়াঙ্গুনের একটি রেস্তরাঁয় নাশতার আমন্ত্রণে অপরিচিত দুই পুলিশ কর্মকর্তা তাদের হাতে মোড়ানো কিছু কাগজ দেয়ার পর তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তা নায়াং লিন বলেন, গত ডিসেম্বরে ওয়া লোন তাকে ফোন করে রয়টার্সের প্রতিবেদক হিসেবে পরিচয় দেন এবং রাখাইনে তার অভিজ্ঞতা নিয়ে সাক্ষাতকার দেয়ার অনুরোধ করেন। এপ্রিল থেকে নবেম্বর মাসে রাখাইনে লিনের পুলিশ সিকিউরিটি ব্যাটালিয়ন কর্মরত ছিল। ওই নৈশভোজে ওয়া লোন ১০ খুন সম্পর্কে তথ্য চান। তবে জেরার সময় আইনজীবী থান জ অং বলেন, ফোন কলের রেকর্ডে দেখা গেছে ১২ ডিসেম্বর ওই পুলিশ কর্মকর্তাই দুপুর ও সন্ধ্যায় তিনবার ওয়া লোনকে ফোন দেন। ওই দিনই তাদের গ্রেফতার করা হয়।
×