ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

এক কিমি সড়কের জন্য ৫০ হাজার মানুষের ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১৯ মে ২০১৮

এক কিমি সড়কের জন্য ৫০ হাজার মানুষের ভোগান্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ১৮ মে ॥ মাত্র এক কিলোমিটার সড়ক মেরামত না করার ফলে গত ৪৭ বছর ধরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ৫০ হাজার বাসিন্দা। সড়কটির এক কিলোমিটারই যেন এঁদো ডোবা। কোথাও খানাখন্দে ভরা। কোথাও বড় গর্ত। আবার কোথাও হাঁটু পানি। এলাকায় শিল্পকারখানা গড়ে ওঠেছে। গড়ে উঠেছে জনবসতি। সরকার আসে সরকার যায়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ভোটের সময় প্রতিশ্রুতিও দেয়। কিন্তু সড়কটির ভাগ্যের শিকের কোন পরিবর্তন ঘটেনি। বলছি রূপগঞ্জ উপজেলার শিল্পাঞ্চলখ্যাত তারাব পৌরসভার কর্ণগোপ-গন্ধবপুর সড়টির কথা। সড়কটি না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে দেখা দিয়েছে চাপা ক্ষোভ। দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ যে কোন সময় দানা বেঁধে উঠার সম্ভবনা রয়েছে। সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়া না হলে বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সত্তর দশকে সড়কটি লোকজনের হেঁটে চলাচলের উপযোগী ছিল। পরে ১৯৮৩ সালে তৎকালীন তারাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ শওকত আলী ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কর্ণগোপ থেকে গন্ধর্বপুর পর্যন্ত মাটি ভরাট করে সড়কটি নির্মাণ করেন। এরপর ১৯৯৬ সালে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মতিউর রহমান স্থানীয় এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল মন্ত্রণালয়ে দৌড়ঝাঁপ করেন। ওই সময় এলাকাবাসী কিছুটা আশার আলো দেখলেও পরে তা নিভে যায়। সড়কটি না হওয়ার পেছনের কারণ হিসেবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কর্ণগোপসহ আশপাশের এলাকাগুলোয় আনুপাতিক হারে ভোটার সংখ্যা কম ছিল। ফলে জনপ্রতিনিধিরা এ এলাকাগুলোতে চৌকাঠও মাড়াত না। যেই এলাকাগুলোর আশপাশে শিল্পকারখানা গড়ে উঠল, সেই থেকে এলাকায় জনবসতিও গড়ে উঠে। এরপর থেকে এলাকার দিকে নয়, এলাকার জমির দিকে চোখ পড়ে শিল্পকারখানার মালিক ও জনপ্রতিনিধিদের। রাস্তাঘাটের উন্নতি হলে জমির দাম বেড়ে যাবে এমন আশঙ্কা থেকেই অনেকে এ সড়কটি নির্মাণ হউক তা চাচ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এহসানুল হক বলেন, সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে শীঘ্রই।
×