শেফালিদের নিজস্ব কোন নববর্ষ ছিল না, ছিল না কোন চৈত্র পার করা পয়লা বৈশাখ। কেবল পাশের বাড়ির হেঁশেলে ইলিশভাজার ধার করা ঘ্রাণ ছিলÑ একান্তই নিজেদের। শেফালির জানা ছিল না, কতগুলো চৈত্রের উষ্ণতা মিলিত হলে একটি পয়লা বৈশাখ পাওয়া যায়। তবুও, শেফালি এ বছর পোয়াতি। অবাকচোখে তাকিয়ে থাকে নিজের অস্তিত্বের খোলসে। গেল বরষায় ঘরের মেঝেতে খেলা করেছিল জলের ঢেউ। আগামী বরষার সঙ্গে খেলবে তার নাড়ি ছেঁড়া রাজপুত্তুর। এই সব পঙ্ক্তি, গ্রীষ্ম আর বর্ষার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কখনও মাথা তুলে দাঁড়াবে না। কেবল, কৃত্রিম পান্তা আর দামী ইলশে-ঘ্রাণ মাতোয়ারা করবে বৈঠকখানার বেবোধ দর্শককে। তবুও, ভোরের উৎসবে সুর উঠবেÑ ‘এসো হে বৈশাখ’ শিরোনামে আর ইলশে-কালচারে পান্তার ঝাঁঝ মিইয়ে যাবে দিনের দ্বিতীয় ভাগে। সুখের নেশায়, সন্ধ্যায় যুবক বসবে যৈবতি কন্যার মুখোমুখি। অথচ, ধার করা ইলশে-ঘ্রাণে; শেফালিরা রোজ নিয়ম করে সুখী থাকে পান্তা আর মরিচে।
শীর্ষ সংবাদ: