ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তিউনিসিয়ায় নারী নির্যাতন রোধে আশ্রয়কেন্দ্র চালু

প্রকাশিত: ০৭:১১, ১৮ মে ২০১৮

তিউনিসিয়ায় নারী নির্যাতন রোধে আশ্রয়কেন্দ্র চালু

আরব দেশগুলোর মধ্যে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রগামী অবস্থানে রয়েছে তিউনিসিয়া। এটি তিউনিসিয়াবাসীর জন্য গর্বের বিষয়। দেশটিতে বিয়ে বিচ্ছেদ বিষয়ে ও সন্তানের অভিভাবকত্বের ওপর নারীর অধিকারকে অনেক আগেই আইনে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। ১৯৫৬ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে দেশটিতে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও সেখানে নারীরা বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। নিউইয়র্ক টাইমস। সিহেম বেন রোমদানের মতো অনেক নারীর জন্যই এতদিন খুব বেশি বিকল্প ছিল না। তার স্বামী তাকে প্রহার করত, তাই তার বিরুদ্ধে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশ তাকে বলেছিল, তার স্বামীকে তারা জেলে পুরে দেবে। কিন্তু সন্তানের কথা ভেবে রাজি হননি সিহেম। কিন্তু ছাড়া পেয়েই সিহেমের স্বামী তার ৯ বছর বয়সী ছেলেকে পেটানো শুরু করে। এবার সিহেম সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেননি। স্বামীকে ছেড়ে উঠেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। সিহেম একজন লিবীয়, থাকেন তিউনিসিয়ার খনি শহর গাফসায়। দীর্র্ঘ ২০ বছর ধরে তিনি ওই দেশে রয়েছেন। নির্যাতনের শিকার নারীদের জন্য তাৎক্ষণিক আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে সম্প্রতি দেশটিতে একটি আইন পাস হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আপদকালীন বিভিন্ন সেবা পাবেন নারীরা। অর্থনৈতিক বঞ্চনা ও ঘরের ভেতর নির্যাতন দুইভাবেই নারীরা হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। ২০১৬ সালে দেশটির নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের করা এক পরিসংখ্যানে দেখানো হয়েছে তিউনিসিয়ার ৬০ শতাংশ নারী গৃহ নির্যাতনের শিকার। ৫০ শতাংশ নারী জানিয়েছেন, তারা জীবনে একবার হলেও ঘরের বাইরে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। আইন প্রণেতা ও অধিকারকর্মীরা বলছেন, আশ্রয়কেন্দ্র খোলার পর নারীর প্রতি সহিংসতার মাত্রা এবার কমে আসবে। গাফসায় যে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খোলা হয়েছে সেগুলো দেখতে সাধারণ ঘরবাড়ির মতোই। নির্যাতনের শিকার নারীরা বিভিন্ন জায়গার থেকে এসে সেখানে ঠাঁই নিচ্ছেন। স্বাভাবিক জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের ব্যবস্থা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে সারাদেশে এরকম সাতটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আরব বসন্ত পরবর্তী সময়ে সেখানে এ পরিবর্তনটি এসেছে। বিষয়টি অনেকটা ওয়ান স্টপ সেন্টারের মতো।
×