ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার

গাইবান্ধার পাঁচ রাজাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ১৮ মে ২০১৮

গাইবান্ধার পাঁচ রাজাকারের বিরুদ্ধে  অভিযোগ গঠন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার আব্দুল জব্বার ম-লসহ পাঁচ রাজাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে ট্রাইব্যুনাল। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মামলার বিচার শুরু হলো। আগামী ১১ জুলাই সূচনা বক্তব্য ও প্রসিকিউশন পক্ষের সাক্ষ্য প্রদানের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ বৃহস্পতিবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। আদেশের পর প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি বলেন, এ মামলায় ৬ আসামি থাকলেও আসামি মোঃ আজগর আলী খান মারা যাবার পর বর্তমানে পাঁচজন আসামি রয়েছেন। অন্য আসামিরা হলেন, মোঃ আব্দুল জব্বার ম-ল (৮৬), তার ছেলে মোঃ জাছিজার রহমান ওরফে খোকা (৬৪), মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ ম-ল (৬২), মোঃ মোন্তাজ আলী ব্যাপারী ওরফে মমতাজ (৬৮), মোঃ রনজু মিয়া (৫৯)। আসামিদের মধ্যে রনজু মিয়া বাদে বাকি সবাই পলাতক। ২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর থেকে তদন্ত শুরু করে তদন্ত সংস্থা। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী চার অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রথম অভিযোগ ॥ ১৯৭১ এর জুন মাসের প্রথম দিকে আজগর হোসেন খানের নেতৃত্বে ৮-১০ জন রাজাকার এবং ১৫-২০ জন পাকিস্তান দখলকার সেনাবাহিনী গাইবান্ধার সদরে সাহাপাড়া ইউনিয়নের বিঞ্চপুর গ্রামে হিন্দুদের বাড়িতে হামলা করে। তারা অম্বিকা চরন সরকার, দ্বিজেন চন্দ্র সরকার ও আব্দুল মজিদ প্রধানকে নির্যাতন করে। আসামিরা ফুল কুমারী রানী ও তার জা সাধনা রানী সরকার (বর্তমানে মৃত) আটক করে নির্যাতন করে। তারা মুসলমান হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে কপালের সিদুর এবং হাতের শাখা ভেঙ্গে দিয়ে ছেড়ে দেয়। দ্বিতীয় অভিযোগ ॥ গাইবান্ধা জেলার সদর থানাধীন সাহাপাড়া ইউনিয়নের নান্দিনা গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আবু বক্কর, তারা আকন্দ, আনছার আলী এবং নছিম উদ্দিন আকন্দসহ মোট ৯ জনকে গুলি করে হত্যা করে এবং ৪০-৫০টি বাড়ির মালামাল লুণ্ঠন করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। তৃতীয় অভিযোগ ॥ গাইবান্ধা জেলার সদর থানার সাহাপাড়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে লাল মিয়া বেপারী, আব্দুল বাকী এবং খলিলার রহমানসহ ৫ জনকে গুলি করে হত্যা করে। চতুর্থ অভিযোগ ॥ গাইবান্ধার সাহাপাড়া ইউনিয়নের নান্দিনা, মিরপুর, সাহারবাজার, কাশদহ, বিসিক শিল্পনগরী, ভবানীপুর এবং চকগায়েশপুর গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুক, ইসলাম উদ্দিন এবং নবীর হোসেনসহ মোট ৭ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
×