ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বার কাউন্সিল নির্বাচনের ফল, পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১৮ মে ২০১৮

বার কাউন্সিল নির্বাচনের ফল, পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগের আইনসম্পাদক ও বার কাউন্সিলের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান শ ম রেজাউল করিম বলেন, নির্বাচনে কোন অনিয়ম হয়নি। বার কাউন্সিল নির্বাচনে ভয়াবহ পরাজয়ের গ্লানি থেকে বাঁচার জন্য প্রতিপক্ষরা অনাহূতভাবে ধূম্রজাল সৃষ্টি করতে অসত্য ও ভিত্তিহীন বক্তব্য রেখেছেন। অন্যদিকে বার কাউন্সিল নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পুনরায় নির্বাচনের দাবি তুলেছেন বিএনপির নেতা ও সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির এ ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং নির্বাচন বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। বৃহস্পতিবার আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা বলেছেন। এ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের অভিযোগের জবাবে বলেন, একজন ব্যক্তির একাধিক বারে ভোট দেয়ার প্রবণতা রোধ করার জন্য বার কাউন্সিল এ সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকল বারকে নোটিস দিয়ে বলা হয়েছে, আপনারা কোন বারে ভোট দেবেন তার অপশন দেন। সে অনুযায়ী যারা অপশন দিয়েছেন তাদের সেই বারে রাখা হয়েছে। আর যারা অপশন দেয়নি তাদের মাদার বারে রাখা হয়েছে। এতে আইনের কোনও ব্যত্যয় ঘটেনি। জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের ফটোকপি কিংবা সংশ্লিষ্ট বারের পরিচয়পত্র ছাড়াই অনেকে ভোট দিয়েছেন বলে বিএনপি পন্থীরা যে অভিযোগ করেছেন সে বিষয়ে তিনি বলেন, এটা অসত্য। কারণ এ নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসার ছিলেন সকল জুডিশিয়াল কর্মকর্তা। বিচারকদের বিরুদ্ধে এ জাতীয় গণ-অভিযোগ আনা দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক। তার মতে, বার কাউন্সিলের নির্বাচনে ভয়াবহ পরাজয়ের গ্লানি থেকে বাঁচার জন্য প্রতিপক্ষরা অনাহুতভাবে ধূম্রজাল সৃষ্টি করতে অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বার কাউন্সিলের বিধান থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনের দিন প্রত্যেক প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টকে ফলাফল শিট দেয়া হয়নি। এটা বেআইনী। এ নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে। নির্বাচন বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অবিলম্বে এ দুর্নীতির তদন্ত করে দায়ী ও জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বার কাউন্সিল নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনার ও এ্যাটর্নি জেনারেলের পদত্যাগ করতে হবে। উল্লেখ্য, ১৪ মে সারাদেশে বার কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে সরকার সমর্থক সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ১৪টি পদের মধ্যে ১২টিতে জয় লাভ করে। আর বিএনপি সমর্থকরা দুটি পদে জয়ী হয়।
×