ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মানহানির দুই মামলায় খালেদার পরোয়ানা তামিলের নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৬:২০, ১৮ মে ২০১৮

মানহানির দুই  মামলায় খালেদার পরোয়ানা তামিলের  নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভুয়া জন্মদিন পালন ও মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগে মানহানির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় আপীল বিভাগ থেকে জামিনের আদেশ আসার পরদিনই অন্য দুটি মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেয়া হলো। অন্যদিকে দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারানোর পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া রাজীবের দুই ভাইকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের মালিককে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের ওপর আদেশের জন্য সোমবার ঠিক করেছে আপীল বিভাগ। বৃহস্পতিবার মহানগর হাকিম ও আপীল বিভাগ এ আদেশগুলো প্রদান করেছেন। দুটি মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে দুটি আদালত। বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে ভুয়া জন্মদিন পালন মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম ও মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীব এ আদেশ দেন। আদালত আগামী ৫ জুলাই পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। এদিন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার আদালতকে বলেন, দুই মামলায় খালেদার জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। খালেদা চার মাস ধরে কারাগারে আটক রয়েছেন। পুলিশ চার মাসেও তার গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করতে পারেনি তা তাদের ব্যর্থতা। সব কিছু বিবেচনায় খালেদার জামিন চাই। অপরদিকে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, দুই মামলাই খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। গ্রেফতারি পরোয়ানাটি এখনও কার্যকর করা হয়নি। আগে পরোয়ানা কার্যকর করা হোক তারপর জামিন শুনানি। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত খালেদার গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য নির্দেশ দেন এবং জামিনের আবেদন নথিভুক্ত করেন। ক্ষতিপূরনের আদেশ সোমবার ॥ দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারানোর পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া রাজীবের দুই ভাইকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের মালিককে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের ওপর আদেশের জন্য সোমবার দিন ঠিক করেছেন আপীল বিভাগ। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চ এ দিন ঠিক করেছেন। এর আগে আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালতে বিআরটিসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ বি এম বায়েজীদ এবং তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মুনীরুজ্জামান। রাজীবের পরিবারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং স্বজন পরিবহনের পক্ষে ছিলেন পংকজ কুমার ।
×