ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আগামী বছর দুই বিপিএল!

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ১৭ মে ২০১৮

আগামী বছর দুই বিপিএল!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সামনে জাতীয় নির্বাচন। অক্টোবর-নবেম্বর-ডিসেম্বর; এই তিনমাস নির্বাচন নিয়ে সবাই ব্যস্ত থাকবে। আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তারাও এই কাজে ব্যস্ত থাকবেন। এমন অবস্থায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের পূর্বঘোষিত ৫ অক্টোবর শুরু হওয়ার পরিকল্পনায় থাকা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল টি২০) এবার নাও হতে পারে। তা হতে পারে আগামী বছর জানুয়ারিতে। তাই যদি হয় তাহলে এক বছরে দুই বিপিএল দেখা মিলতে পারে। আগামী বছর জানুয়ারিতে হবে বিপিএল। আবার একই বছর অক্টোবরে হবে আরেক বিপিএল। তাতে করে তৃতীয় আসরের মতো এক বছর বিপিএল হবে না। তৃতীয় আসর হওয়ার আগে এক বছর বিরতি হয়েছিল অবশ্য শুদ্ধি অভিযানে নামায়। বিপিএলকে আরও সুশৃংখল করে, সুন্দর করে আয়োজন করার তাগিদে। এবার বিরতি হবে নির্বাচনকে সামনে রেখে। নির্বাচনের সময় বিপিএল হলে অনেকরকম অসুবিধাতেই পড়তে হতে পারে বিসিবিকে। বিদেশী ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার বিষয় জড়িত। আইনশৃংখলা বাহিনী পর্যাপ্ত না মিললে তা সম্ভব নয়। আবার তিনটি ভেন্যুতে যে খেলা হবে, সব স্থানেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে হবে। তা দিতে না পারলে অঘটন ঘটার সম্ভাবনা থাকবে। এই ঝুঁকি নেয়াও সমীচীন হবে না। আর তাই বিপিএল এ বছর হচ্ছে না তা ধরেই নেয়া যায়। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক যেমন বলেছেন, ‘নির্বাচনের আগে সাতটি দলকে নিরাপত্তা দেয়া ও তিনটি ভেন্যুতে খেলা চালানো খুবই কঠিন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা যদি না পাই নির্বাচনের পরে আয়োজন করব। জানুয়ারির দিকে হতে পারে। ২০১৯ সালের অক্টোবরে হতে পারে বিপিএল-এর ৭ম আসর।’ বিপিএলের পাঁচটি আসর ভালভাবেই শেষ হয়েছে। প্রথম দুটি আসর হওয়ার পর তৃতীয় আসরের আগে বিপিএলে ম্যাচ গড়াপেটা ইস্যু যুক্ত হয়। তাতে করে এ ইস্যু সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত বিপিএলের তৃতীয় আসর মাঠে গড়াতে চায়নি বিসিবি। সমস্যার সমাধান হওয়ার পর আবার মাঠে গড়ায়। টানা তিন আসর এরপর হয়। এবার ষষ্ঠ আসরে এসে নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও এক বছর বিরতি পড়তে চলেছে। বিসিবির পরিচালক, মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস এ নিয়ে বলেছেন, ‘পেছানোর সম্ভাবনা আছে। কিন্তু এটা এখনও ঠিক হয়নি। অনেকে আবার নিরাপত্তার কথাটা চিন্তা করছে, নির্বাচনের আগে আগে। এই জিনিসটা মাথার মধ্যে আছে। তবে এখন এগুলো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বা এখনও ঠিক হয়নি। আর জানুয়ারিতে তো আবার জিম্বাবুইয়ে আসবে। এ জন্য অনেক কিছুই চিন্তা-ভাবনা করতে হচ্ছে। কিছু চ্যালেঞ্জ আছে আগে (জাতীয় নির্বাচন) করার ব্যাপারে।’ নির্বাচনের সময় বিপিএলের ফ্র্যাঞ্জাইজিগুলোর মালিকরা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। তারা নির্বাচনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বিপিএলের দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের উপদেষ্টা পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মোস্তফা কামাল। কুমিল্লা থেকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিবেন আইসিসি ও বিসিবির এই সাবেক সভাপতি। খুলনা টাইটান্সের মালিকদের অন্যতম কাজী নাবিল আহমেদ জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। রাজশাহী কিংসের মালিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও রাজশাহী থেকে নির্বাচনে অংশ নিবেন। সিলেট সিক্সার্সের মালিক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতও নির্বাচনে ব্যস্ত থাকবেন। খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী। তাই নির্বাচনের জন্য বিপিএল পিছিয়ে যেতে পারে। তা নিশ্চিতই। আর তাতে করে আগামী বছর, এক বছরে দুই বিপিএল অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাও দেখা যেতে পারে।
×