ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তামিমের সঙ্গে ওপেন করতে চান শান্ত!

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ১৬ মে ২০১৮

তামিমের সঙ্গে ওপেন করতে চান শান্ত!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে একটি টেস্টই খেলার সুযোগ পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। গত বছর জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছেন। ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলে পারফর্মেন্স দেখাতে পারেননি। খেলেছেন মিডলঅর্ডারে। প্রথম ইনিংসে ১৮ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১২ রান করেছেন। শান্তর দৃষ্টি এখন ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গী হওয়া। ঘরোয়া লীগে যে সবসময়ই ওপরের সারিতে ব্যাটিং করেন। শান্ত তাই বলেছেন, ‘ওপরের দিকে তামিম ভাইয়ের সঙ্গে এখনও কেউ ঠিকভাবে সেট হয়ে যায়নি।’ ইঙ্গিত দিলেন তামিমের সঙ্গী হতে চাওয়ার। সঙ্গে যোগ করেন, ‘আমি অবশ্য বলছি না যে, আমি সেখানেই জায়গা করে নিব। আমার উদ্দেশ্য হলো নিজের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা। যে কোন আসরে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভাল খেলার চেষ্টা করি। সুযোগ পেলে সেটাই করব।’ ঘরোয়া ক্রিকেটে ওপরের দিকেই খেলেন শান্ত। ওয়ান ডাউনে খেলেন। তিন নম্বর পজিশনে ব্যাট করতে নামেন। ধারাবাহিক নৈপুণ্যও দেখান। শান্ত তাই ওপরের সারিতে ব্যাটিং করার দিকেই দৃষ্টি দিচ্ছেন। আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরকে সামনে রেখে এখন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে চলছে ফিটনেস ট্রেনিং। ৩১ সদস্যের ফিটনেস ট্রেনিং দলে আছেন শান্তও। ফিটনেস নিয়ে তিনিও কাজ করছেন। এ কাজটি নাকি কঠিন। শান্ত মঙ্গলবার বলেছেন, ‘ফিটনেস নিয়ে কাজ করা অবশ্যই কঠিন। তবে আমরা সবাই উপভোগ করছি। ফিটনেস সেশনে সবাই সবাইকে সহায়তা করে। ফলে ব্যাপারটা উপভোগ্য হয়ে ওঠে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘অনুর্ধ-১৯ পর্যায়ে থাকতে আমি যেভাবে কাজ করেছি, আমার ফিটনেস যেমন ছিল, আমি যদি তা ধরে রাখতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতে সবকিছু আমার জন্য সহজ হবে। চেষ্টা করছি, এখন যে পর্যায়ে আছি, সেখান থেকে সামনে যাওয়ার এবং এখন যে ফিটনেস আছে, তা ধরে রাখার।’ প্রথম টেস্ট খেলে এখন নিজেকে পরিণতই মনে করছেন শান্ত, ‘প্রথম টেস্টটা খেলার পর অনেক কিছু বুঝতে পেরেছি। টেস্ট কিভাবে খেলা উচিত, তা বুঝেছি। ঘরোয়া পর্যায়ে সেভাবেই খেলার চেষ্টা করেছি। আশা করছি, সামনে সুযোগ পেলে ভাল কিছু করতে পারব।’ সিনিয়রদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবসময়ই কথা হয় জুনিয়রদের। তা নিয়েই শান্ত যেমন বলেছেন, ‘সিনিয়রদের সঙ্গে সবসময়ই খেলা নিয়ে কথা হয়। যখন খেলার বাইরে থাকি, আড্ডা দেই, তখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ক্রিকেটে কি ধরনের মানসিকতা দরকার, তা নিয়ে কথা হয়। সবকিছু কিভাবে সহজ হয়ে আসতে পারে তা নিয়ে কথা হয়। প্রিমিয়ার লীগে মাশরাফি ভাই, নাসির ভাই ছিলেন, তারা অনেক অনুপ্রাণিত করেছেন। মাশরাফি ভাই, নাসির ভাই, যারাই ছিলেন, আমাকে তারা মোটিভেট করেছেন। মাঝখানে দুই তিনটা ম্যাচে (ঢাকা লীগে) রান পাইনি। তখন মাশরাফি ভাই, কোচ (খালেদ মাহমুদ) সুজন ভাই আমাকে নানাভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন। সবাই মিলে সহায়তা করেছেন বলেই আমি ভাল কিছু করেছি।’ বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অলরাউন্ডার ছিলেন। এখন শুধু ব্যাটিংটাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন শান্ত। কেন? শান্ত জানান, ‘প্রথম থেকে ব্যাটিংয়েই বেশি মনোযোগ দেই। বোলিংয়ে যখন সুযোগ পাই তখন করি। তবে বোলিংয়ে বেশি ফোকাস দেই না।’ শান্ত বিশ্বাস করেন, তিন ফরমেটেই খেলার যোগ্যতা আছে, ‘অবশ্যই বিশ্বাস করি। একটা সময় ছিল, যখন অনুর্ধ-১৯ দলে ছিলাম, তখন হয়তো স্ট্রাইকরেট অতো ভাল ছিল না। কিন্তু আস্তে আস্তে যখন চিন্তা করলাম যে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেতে হলে স্ট্রাইকরেট খুব ভাল রাখতে হবে। ওইভাবেই প্রিমিয়ার লীগ ও অন্যান্য ঘরোয়া আসরে খেলছি। চেষ্টা করছি, সেটার ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা করছি। আমি বিশ্বাস করি তিন ফরমেটেই আমি খেলার যোগ্যতা রাখি এবং সেই উদ্দেশ্যই অনুশীলন করে যাচ্ছি।’ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে খেলার সুযোগ ধরা দিতে পারে শান্তর। এ সফর নিয়ে শান্তর চিন্তা, ‘ওই জায়গায় যদি যাই, তাহলে অবশ্যই পারফর্ম করতে চেষ্টা করব। এতে জাতীয় দলে আমার জায়গা নিশ্চিত হবে। যদি সুযোগ পাই, জায়গাটা ধরে রাখতে চাই। সেভাবেই মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
×