ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তাঁত শুমারি প্রকল্পের মাঠপর্যায়ের কাজ এগিয়ে চলছে

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ১৬ মে ২০১৮

তাঁত শুমারি প্রকল্পের মাঠপর্যায়ের কাজ এগিয়ে চলছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গুণগত মান ও সঠিকতা বজায় রেখে এগিয়ে চলছে ‘তাঁত শুমারি-২০১৮’ শীর্ষক প্রকল্পের কাজ। তাঁত শিল্পের বর্তমান অবস্থা ও এর সঙ্গে জড়িতদের আর্থ-সামাজিক চিত্র তুলে আনতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গত ১০ মে থেকে দেশজুড়ে শুমারির মূল কার্যক্রম শুরু করেছে। সঠিক পরিসংখ্যান এই শিল্প ও শিল্পসংশ্লিষ্টদের উন্নয়নে সরকারের জন্য সহায়ক হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর মিরপুরের বেনারসী পল্লীতে সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, বিবিএস নিয়োজিত গণনাকারীরা ওই এলাকার হস্তচালিত তাঁতের মালিক ও কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে শুমারির তথ্য সংগ্রহ করেছেন। এক্ষেত্রে মালিক ও কারিগর উভয়েই সঠিক তথ্য দিয়ে গণনাকারীদের সহযোগিতা করেছেন। তবে শুমারির বাইরে এ শিল্পের দুরাবস্থা নিয়ে তাদের বিস্তর অভিযোগ ও হতাশা রয়েছে। জানা গেছে, ১৯৯০ সালে প্রথম তাঁত শুমারি পরিচালনা করে বিবিএস। ২০০৩ সালে পরিচালিত হয় দ্বিতীয় তাঁত শুমারি। ১৯৯০ সালের জরিপের প্রতিবেদনের সঙ্গে তুলনা করে জানা যায়, দেশে তাঁতের সংখ্যা ক্রমেই কমে আসছে। ১৯৯০ সালে দেশে মোট ২ লাখ ১২ হাজার ৪২১টি তাঁত ছিল। ২০০৩ সালে এ সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২টি। এ হিসাবে দুই শুমারির মধ্যবর্তী সময়ে তাঁতের সংখ্যা কমেছে প্রায় ২৯ হাজার। এ ভূখ-ে তাঁত শিল্পের দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে কৃষির পর তাঁত শিল্পের অবদান উল্লেখযোগ্য। বিষয়টি বিবেচনায় দেশব্যাপী তৃতীয় তাঁত শুমারি পরিচালনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জানতে চাইলে প্রকল্পের পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের ৬০ জেলায় এক যোগে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। এর আগে প্রাথমিকভাবে পরিচালিত জোনাল অপারেশন থেকে জানা গেছে বাগেরহাট, ভোলা, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলায় তাঁত নেই। আগের দুই শুমারিতে তাঁত শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের আর্থ-সামাজিক চিত্র উঠে আসেনি। এবারের শুমারিতে তা উঠে আসবে।
×