নারায়ণগঞ্জে বন্দুকযুদ্ধে মাদক বিক্রেতা নিহত

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে রাজমহল রিপন ওরফে রিকন (৩৬) নামে এক মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টায় সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদি এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে র‌্যাব-১১ সদস্যরা ২ রাউন্ড গুলিসহ একটি আগ্নেয়াস্ত্র, ১০ হাজার ৭শ’ ইয়াবা ও নগদ ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে। বন্দুকযুদ্ধের সময় র‌্যাবের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। নিহত রাজমহল রিপন ওরফে রিকন মেহেরপুর জেলার সদরের কাঁসারীপাড়া এলাকার নিহাজউদ্দিন তুফানের ছেলে। র‌্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সিঃ এএসপি) মোঃ আলেপ উদ্দিন জানান, চট্টগ্রাম থেকে একটি পণ্যবাহী ট্রাকে করে ইয়াবার চালান ঢাকার উদ্দেশে আসছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি দল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদি এলাকায় চেকপোস্টের কাছাকাছি অবস্থান নেয়। এ সময় একটি ট্রাক চেকপোস্ট পার হয়ে ঢাকার দিকে যাওয়ার সময় র‌্যাব গতিরোধ করলে ট্রাকের ভেতর থেকে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু হয়। র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে রিকন গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় তার অন্য সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে র‌্যাব ট্রাকটিকে আটক করে ভেতরে তল্লাশি চালিয়ে দুই রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশী পিস্তল, ১০ হাজার ৭শ’ ইয়াবা এবং ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা উদ্ধার করে। পরে গুলিবিদ্ধ রিকনকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কুষ্টিয়া নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া, ১৫ মে ॥ কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মাদক বিক্রেতা এক শীর্ষ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। নিহতের নাম হামিদুল ইসলাম (৪৫)। মঙ্গলবার ভোরে কুষ্টিয়া শহরের গড়াই নদীর বাঁধ সংলগ্ন চর মিলপাড়া এলাকার বালুর মাঠে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে একটি দেশী পিস্তল, একটি বিদেশী পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি ও ২টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। মিলপাড়া ইটভাঁটি এলাকার মৃত রুস্তম আলীর ছেলে নিহত হামিদুল এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক বিক্রেতা বলে দাবি করেছে র‌্যাব। এ ঘটনায় র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হন। র‌্যাব সূত্র জানায়, সন্ত্রাসী কর্মকা- ঘটানোর উদ্দেশে একদল সন্ত্রাসী গড়াই নদীর বালুরমাঠে অবস্থান করছে গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে র‌্যাবের একটি টহলদল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। জবাবে র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়লে উভয়পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। বন্দকযুদ্ধের একপর্যায়ে টিকতে না পেরে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। র‌্যাব পরে জানতে পারে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তি হামিদুল ইসলাম পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক বিক্রেতা। তার বিরুদ্ধে হত্যা, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের একাধিক মামলা রয়েছে।