ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জাফর ওয়াজেদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোন পথে

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ১৬ মে ২০১৮

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোন পথে

উদ্বেগ জাগে, শঙ্কা বাড়ায়। কোথাও কোন প্রতিবাদ নেই। নেই প্রতিরোধও। দেখে স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা। পরাজিত শক্তিরা স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর পবিত্র অঙ্গন জুড়ে তাদের পদচারণা শুধু নয়, শক্তিমত্তাও অর্জন করেছে। সাধারণ ছাত্রদেরও করা গেছে বিভ্রান্ত। আর এই বিভ্রান্তির আড়ালে স্বার্থ হাসিল করার মোক্ষম সুযোগ নিয়ে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে পেরেছে স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের উত্তরসূরিরা। অভাবনীয় এবং অকল্পনীয় মনে হবেই। কিন্তু বাস্তবতা বলে, কোটা সংস্কারের নামে কথিত আন্দোলন শুধু ঢাকায় নয়, সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে পেরেছে তারা। কোটা প্রথা বাতিলের ঘোষণা ও তা কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়ার পরও এই মুখোশধারী আন্দোলনকারীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাগাতার ধর্মঘট ডেকে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের পথ বেছে নিয়েছে। এই স্পর্ধা তারা কোথায় পায়, কে দেয় তাদের সাহস, ভরসা, বল এবং আর্থিক যোগান? প্রতিটি ছাত্রাবাসে ৭১ জন সদস্যের সমন্বয়ে কমিটি গঠন পর্যন্ত করেছে। এই সদস্যদের অধিকাংশই ইসলামী ছাত্র শিবির ও ইসলামী ছাত্রসংস্থার সদস্য এবং তাদের সঙ্গে রয়েছে ছাত্রলীগ নামধারী শিবির অনুসারীরাই। এরা প্রাথমিক শক্তি পেয়েছে সরকারী দল আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগে নেতৃত্বদানকারী শিবির মতাদর্শীদের। ‘এসো সত্যের পথে, এসো ঈমানের পথে’ বলে যারা দেয়াল লিখন আর হাঁকডাক দিতো তারা এখন বাংলাদেশের পতাকা এবং জয়বাংলা, জয়বঙ্গবন্ধু শ্লোগান দিয়ে একটা ‘ক্যামোফ্লেজ’ তৈরি করেছে অবলীলায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে যে ষড়যন্ত্র ক্রমশ দানা বেঁধে উঠেছে, তাকে আপাতত চাপা দিয়ে রাখার যত চেষ্টাই করা হোক না কেন, তা কালসাপের মতো ফণা তুলে বিষাক্ত নিশ্বাস ছড়ানো শুধু নয়, ছোবলও মারতে পারে। সেই সম্ভাবনাই ক্রমশ দৃশ্যমান হচ্ছে। এক অস্বাভাবিকতা ক্রমশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে শিক্ষাঙ্গনে। আমু- গিলে খেতে চায় যেন। উপাচার্যের বাসভবনে নারকীয় তা-ব চালিয়ে তারা সদর্পে তাদের সবল উপস্থিতি ঘোষণা শুধু নয়, শক্তিও প্রদর্শন করেছে। তাদের এই ‘স্পর্ধার’ কাছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমনকি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর অসহায়ত্ব করুণভাবে প্রকটিত হয়েছে। যে কারণে দেখা যায়, উপাচার্যের বাসভবনের ঘটনা নিয়ে সিনেট, সিন্ডিকেটের সরকার সমর্থক সদস্যরা নির্বিকার ভূমিকায় অবতীর্ণ। প্রতিবাদ দূরে থাক, সামান্য একটি বিবৃতি প্রদানেও তারা কুণ্ঠাবোধ করেছে। অথচ সামান্য ইস্যুতে তাদের সোচ্চার গলা বহুবার শোনা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ পুরো বিষয়টিকে এড়িয়ে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে সংঘটিত ঘটনাকে প্রাধান্য দিয়ে মানববন্ধন, সমাবেশ, হুঁশিয়ারি, বিবৃতি প্রদান ইত্যাকার সবই করেছে। এই শিক্ষকদের মনমানসিকতার পূর্বসূরি শিক্ষকরা একাত্তরে পাকিস্তানী হানাদারদের সহযোগিতা করেছে। নিয়মিত ক্লাস ও টিউটরিয়াল পরীক্ষা নিয়েছে। এমনকি অনেক শিক্ষক টিক্কা-নিয়াজীকে শিক্ষক-বুদ্ধিজীবীদের তালিকাও দিয়েছেন। দালাল আইনে কয়েকজন শিক্ষকের বিচারও হয়েছে। জেলও হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তারা মুক্ত হয়ে আবার বীরদর্পে ক্যাম্পাসে ফিরে এসে স্বাধীনতাবিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত হয়েছিলেন। সেদিন তারা তেমন কোন প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মুখোমুখি হননি। আজ তাদের উত্তরসূরিরা ‘আমি রাজাকার’ বুকে সেঁটে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রাজাকারের মহিমাকে বুঝাতে গিয়ে স্পষ্ট করেছে, এরা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চেতনারই উত্তরসূরি এবং দেশকে পাকিস্তানী ভাবধারায় ফিরিয়ে নিতে চায়। বিনাশ চায় মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত সাফল্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনারও। তাই মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে আস্ফালন প্রদর্শন করতে দ্বিধাবোধ করেনি। তাদের সাফল্য যে, সাধারণ ছাত্রদের তারা বিভ্রান্ত করতে পেরেছে। এমনকি মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাবিরোধী হতে সহায়ক হয়েছে। যে মুক্তিযোদ্ধারা ‘জীবন মৃত্যু পায়ের ভৃত্য’ করে যুদ্ধ চালিয়ে দেশ দখলদারমুক্ত করে স্বাধীনতাকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, তাদের আত্মত্যাগ অমূল্য হলেও পঁচাত্তর পরবর্তী তাদের মর্যাদালুণ্ঠিত হয়েছে। অনেক যোদ্ধা নিঃসহায়, নিঃসম্বল জীবনে পতিত হয়। সেই যোদ্ধাদের উত্তরসূরিদের কোটা প্রাপ্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তারা সুচতুরভাবে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী প্রোপাগান্ডা তৈরি করতে পেরেছে। যা জাতি হিসেবে বাঙালীর জন্য যেমন লজ্জার, তেমনি আতঙ্কেরও। নিজের একটা চাকরির জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করে রাজাকারদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যাওয়া আত্মহননের নামান্তর। ছাত্রলীগের যে অংশটি এদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ, হাতে হাত রেখে উচ্ছৃঙ্খলতায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শুধু জড়ায়নি, সাংবাদিকদের মারধর যেমন করেছে, তেমনি চারুকলা ইনস্টিটিউটে মঙ্গল শোভাযাত্রার উপকরণ ভাঙচুর পর্যন্ত করেছে। এই কাজটিও স্পষ্ট করেছে যে, এই কথিত আন্দোলনকারীরা মূলত শিবিরেরই কর্মী। যারা চারুকলা, শিল্পকলার ঘোর বিরোধী। তাদের সেই বিরোধিতার চেহারাটা এখানে খুলে গেছে। প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে কোটা বাতিলের ঘোষণার পাশাপাশি ছাত্রদের পড়াশোনায় ফিরে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানালেও কথিত আন্দোলনকারী শিবির অন্য খেলায় মাঠে নেমেছে। তারা অবাধ্য এবং রাজনৈতিক ‘অভিসন্ধি’ হতে ওরা একটা অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্নার কাক্সিক্ষত একটি লাশ না পেলেও লাশের গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতি নাজুক করে তুলতে পেরেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তানীদের চক্ষুশূূল সেই ১৯৪৭-এর পর থেকেই। তাই একাত্তরের ২৫ মার্চ তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস ও শিক্ষকদের আবাসিক এলাকায় গণহত্যা চালিয়েছিল। সাম্প্রতিককালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানের যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষাবলম্বনসহ বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতার কারণে পাকিস্তানের সঙ্গে শিক্ষা সম্পর্কিত সমস্ত সম্পর্ক নিষিদ্ধ করেছে। দু’দেশের মধ্যে শিক্ষা সফরও বাতিল করেছে। তাই পাকিস্তানী শাসক ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই চাইবেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ল-ভ- করতে। তাদের তো জানা, এই বিশ্ববিদ্যালয়ই পাকিস্তানী দুঃশাসন বিরোধী আন্দোলনের সূতিকাগার ছিল। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অবদান বিশাল। তাই আজ অবাক ও বিস্মিত হব না। যদি উদঘাটিত হয় যে, কোটা বিরোধী আন্দোলনকে ইন্ধন প্রদান; এমনকি আর্থিক সহায়তার পেছনে আইএসআইয়ের সংযোগ রয়েছে। প্রশ্ন তো উঠবেই। এই আন্দোলনকারীরা নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য আর্থিক সহায়তা পেয়েছে কোথা থেকে। হলে হলে কমিটি গঠন, সারাদেশের শিক্ষাঙ্গনে প্রতিনিধি পাঠিয়ে উস্কানি প্রদানের নেপথ্যে আর্থিক যোগান তো অবশ্যই ছিল। এসব তথ্য আড়াল করার অপচেষ্টা থেমে থাকবেন না। আন্দোলনের ‘নেতা’ হিসেবে যাদের সম্মুখ সারিতে দেখা যাচ্ছে, তারা শিবিরাদর্শে লালিত-পালিত। এরা তেমন মেধাবী নয় পড়াশোনায়। অন্তত তাদের পরীক্ষার ফলাফল তাই বলে। এদের সম্মোহনী শক্তির মাত্রা বোধহয় বেশি। অবশ্যই এই শক্তি এসেছে অর্থ কড়ির যোগান থেকে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা সহজেই বিভ্রান্ত হতে পেরেছে কোটা নিয়ে মিথ্যাচারে। কোটা প্রথার সঙ্গে মেধার কোন বিরোধ নেই জানার পরেও পরিস্থিতিকে উত্তেজিত করে তুলতে পেরেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্র শিবির ১৯৭৭ সালে গঠিত হওয়ার পর প্রথম অপারেশন চালিয়েছিল অপরাজেয় বাংলা ভাঙার। গাঁইতি, শাবল হাতে ১৯৭৮ সালের এক ভোরে ওরা ভাঙার কাজ শুরু করে। কিন্তু সাধারণ ছাত্রদের প্রতিরোধের মুখে তারা পালাতে বাধ্য হয়। দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে শিবিরের প্রকাশ্য তৎপরতা অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ থাকলেও গোপনে গোপনে তাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে তারা সাংগঠনিক শক্তি গোপনেই বাড়াতে পেরেছে। তাদের ছাত্রী সংগঠন ইসলামী ছাত্রীসংস্থা মেয়েদের মধ্যে বেশ ভাল অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরোধী মনোভাব গড়ে তুলতে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে একটি ভাল অবস্থান গড়ে তুলতে পেরেছে। তারই একটা নমুনা দেখা যায়, ছাত্রীদের মধ্যে দলমত নির্বিশেষে ‘হিজাব’ ধারণ। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বুয়েট, মেডিক্যাল কলেজগুলোতেও শিবির শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে। ছাত্রদল ও ছাত্রলীগে শিবিরের কর্মীরা অনুপ্রবেশ শুধু নয়, ক্রমান্বয়ে নিয়ন্ত্রণও নিতে পেরেছে। কোটা আন্দোলনের ‘নেতা’ নামধারী হাসান আল মামুন মহসীন হল শাখার ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি। সরকারবিরোধিতায় তার অংশগ্রহণ সম্পর্কে দলের পক্ষ থেকে কোন ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। এমনকি সংগঠনবিরোধী কর্মকা-ের জন্য তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপও নেয়া হয়নি। আবার ‘ছাত্রলীগ’ নেতা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ধর্মঘট ডাকতে পারে কিভাবে? ‘ছাত্রলীগ’ নামক বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠনটির এই পরিণতির দায়ভার কার? সে নিয়ে পর্যালোচনা হতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রশ্রয়ে-আশ্রয়ে যে এসব ঘটে আসছে, তা লুকানো যাবে না। যে কারণে কোটার নামে স্বাধীনতা ও সরকারবিরোধী তৎপরতায় ছাত্রলীগ নিষ্ক্রিয় অবস্থানে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বেড়ে ওঠা ছাত্রলীগের নেতারা অবশ্য এই স্রোতে গা ভাসাননি। কেউ কেউ প্রতিরোধও গড়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও ক্যাম্পাসে অরাজকতা তৈরির যেসব প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে, তার বিরুদ্ধে অনেক ছাত্রলীগ নেতা সশরীরে বা ফেসবুকে প্রতিরোধী হয়ে উঠেছেন। আর এই কারণে তাদের নিগৃহীত হতে হচ্ছে ছাত্রলীগ নামধারী শিবিরেরই হাতে। ফেসবুকে এমনই লিখেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক প্রিন্স এনামুল হক। লিখেছেন তিনি “সফল স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ নিয়ে ছাত্রলীগের বিজয় মিছিলে ছিলাম। আর প্রজ্ঞাপনের নামে শিবিরের কর্মসূচী ছিল ক্যাম্পাসে। সকাল ১০টায় কতিপয় জুনিয়র কর্মীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান করি। মধুর ক্যান্টিনের এক পাশে দাঁড়িয়ে শিবিরের মিছিলটা ভিডিও করছিলাম। এ সময় মিছিলের ভেতর (প্রায় শেষের দিকে) থেকে আসা একটি ছেলে আমাকে বাজে ভাষায় নিষেধ করে। তার পরিচয় জানতে চাইলে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। পরে জানতে পারি ছেলেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ফারুক। কথা কাটাকাটির সময় ছেলেটির পক্ষে জিয়া হলের ছাত্রলীগ সভাপতি ইউসুফ সদলবলে গালাগালি করতে করতে আমাকে মারতে আসে। পরিস্থিতির অবনতি দেখতে পেয়ে ছাত্রলীগের এ এফ রহমান হলের হাফিজসহ বেশকিছু জুনিয়র তাদের ঠেকায় এবং আমাকে মধুর ক্যান্টিনের ভিতর নিয়ে যায়। সেখানেও ইউসুফ দলবল নিয়ে আমাকে গালাগালি করতে থাকে এবং হুমকি দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক এসে তাদের থামায়। মধুতে ছাত্রলীগের আরও নেতা উপস্থিত থাকলেও তারা কেউ এগিয়ে আসেনি। ছাত্রলীগের বিদায়ী সভাপতিকে জানানো হলেও তিনি শুধু বললেন, দেখতেছি।” ক্ষোভে দুঃখে অপমানিত হয়ে তিনি সংগঠন থেকে বিদায় নেয়ার ঘোষণা দেন। তার এই ঘটনা সাবেক ছাত্র হিসেবেই শুধু নয়, সাবেক ছাত্রলীগার হিসেবে আমাকেও পীড়িত করে। আর সাহস যোগায় যে, এখনও কিছু ছাত্রনেতা রয়ে গেছে, যারা প্রতিবাদ-প্রতিরোধে সাহসের সঙ্গে এগিয়ে আসে। কেউ জানুক আর নাই জানুক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবির ও যুদ্ধাপরাধীদের ঘাঁটিতে পরিণত হচ্ছে ক্রমশ। তাদের সঙ্গে বাম মার্গীয়দের একাত্ম হওয়ার বিষয়টি বিপজ্জনক বৈকি। এই অবস্থা হতে উত্তরণ ঘটানোর পথ ও পন্থা বের করতেই হবে।
×