ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় চার খুনে অংশ নেয় ৯ জন ॥ গ্রেফতার ৩

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ১৫ মে ২০১৮

বগুড়ায় চার খুনে অংশ নেয় ৯ জন ॥ গ্রেফতার ৩

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ শিবগঞ্জ উপজেলার আটমুল ইউনিয়নের ডাবুইর গ্রামে চাঞ্চল্যকর ৬ মে ৪ খুন মামলায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতারসহ খুনীদের চিহ্নিত করেছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ওই এলাকার কাটগাড়া চকপাড়ার জুয়েল শেখ নামে এক যুবক সরাসরি জবাই করায় অংশ নেয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। গ্রেফতার হওয়া অন্য ২ জন হলো আটমুলের চন্দনপুর তালুকদার পাড়ার আবুল কালাম আজাদ ও ডাবুইর গ্রামের মোঃ রুবেল। এই ৩ জনক রবিবার রাত ও সোমবার ভোরে শিবগঞ্জের কাঠগাড়া, গনেশপুর ও কিচক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মাদক সংক্রান্ত পাওনা ৬ হাজার টাকা ও পূর্ববিরোধ নিয়ে এই হত্যাকা- ঘটে। কিলিং মিশনে মোট ৯ জন অংশ নিয়েছিল। সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এ পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যানুযায়ী হত্যাকা-ের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে বলেন, জেলা পুলিশের সঙ্গে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে ইন্টেলিজেন্স শাখার একটি টিম যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। ধান ক্ষেত থেকে ৪ জনের জবাই করা লাশ উদ্ধারের পর থেকে পুলিশের ৩টি টিম হত্যকা-ের রহস্য উন্মোচন ও হত্যাকারীদের গ্রেফতারে মাঠে রয়েছে। মাদক সংক্রান্ত পাওনা টাকার বিরোধ নিয়ে এই নৃশংস হত্যাকা- ঘটে বলে মামলার এই পর্যায়ের তদন্তে উঠে এসেছে। হত্যাকা-ে জড়িত পালিয়ে থাকা অন্যদের গ্রেফতার করা হলে এ বিষয়ে আরও জানা যাবে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে, ২ জনকে হত্যার কথা থাকলেও অন্য ২ জন তাদের (হত্যাকারীদের) দেখে ফেলায় প্রমাণ নিশ্চিহ্ন করার জন্য একই ভাবে তাদের জবাই করা হয়। কিলিং মিশনে মোট ৯ জন অংশ নিয়েছিল। তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানায়, ঘটনার কয়েক দিন আগে নিহত জাকারিয়ার সঙ্গে মাদক বিক্রি ও পাওনা টাকা নিয়ে খুনী চক্রের এক জনের মারপিট হয়। তার সঙ্গে পূর্ব বিরোধও চলছিল। এসবের প্রেক্ষিতে জাকারিয়া ও তার বন্ধু সাবরুল ওরফে শাহাবুলকে হত্যার পরিকল্পনা নেয়া হয়। সে অনুযায়ী মাদক সেবন ও পাওনা টাকা দেয়ার নাম করে তাদের ২ জনকে গ্রেফতারকৃত রুবেলের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে ডেকে নেয়া হয় ডাবুইর গ্রামের রাস্তার ধারে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কিলিং মিশনে অংশ নেয়া ৯ জনই তাদের মোবাইল ফোন ৬ মে বিকেল থেকে বন্ধ করে রেখেছিল। সাবরুল ও জাকারিয়াকে পরে তাদের নেয়া হয় ধান ক্ষেতে। পাশের একটি শশার ক্ষেতের বেড়াতে বাঁধা দড়ি এনে জাকারিয়া ও সাবরুলের হাত বেঁধে রাত ১১ টার দিকে পর পর প্রথম ২ জনকে জবাই করা হয়ে।
×