ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জিয়া এতিমখানা মামলায় জামিনের বিরুদ্ধে আজ রায়

খালেদা তারেকসহ ৮ জনের মামলা শেষের দিকে

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১৫ মে ২০১৮

খালেদা তারেকসহ ৮ জনের মামলা শেষের দিকে

বিকাশ দত্ত ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ বিএনপির সহ¯্রধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সহিংসতা, দুর্নীতি, গ্রেনেড হামলার মামলা রয়েছে। এর মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাসহ খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে এ মামলাসহ আরও একটি মামলায় দ- দিয়েছে আদালত। অন্যদিকে খালেদা জিয়াসহ বিএনপির আরও ৮ সিনিয়র নেতার মামলাও প্রায় শেষের দিকে। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে এ মামলাগুলোর রায় ঘোষণা করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট মামলার আইনজীবী জানিয়েছেন। এদিকে বিএনপির পক্ষের আইনজীবী বলেছেন, রাজনৈতিক কারণে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। আসামি নির্বাচনে যাতে অযোগ্য ঘোষণা করা যায় সে উদ্দেশেই তড়িঘড়ি করে রায় দেয়ার চেষ্টা চলছে। দুদকের আইনজীবীসহ অন্যান্য আইনজীবী বলেছেন এ মামলাগুলো অনেক আগের। রাজনৈতিকভাবে কোন মামলা করা হয়নি। তারা এফ আই আর ও চার্জশীটের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত পর্যন্ত গেছেন। কিন্তু উচ্চ আদালত বলেছে এ সমস্ত মামলা চলবে। কাজেই মামলাগুলো রাজনৈতিক মামলা নয়। যে মামলাগুলো শেষের দিকে সেগুলো হলো জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলা, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা। এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাদ-প্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আজ মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করা হবে। ৯ মে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য এই আদেশ প্রদান করেছেন। বেঞ্চে অন্যবিচারপতিগণ হলেন বিচারপতি ঈমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মীর্জা হোসাইন হায়দার। এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার দুদকের ৫টি মামলাসহ প্রায় ৩৭টি মামলা চলমান রয়েছে। এর মধ্যে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা রায় হলেও অন্য চারটি মামলা চলছে। যার মধ্যে রয়েছে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা, নাইকো দুর্নীতি মামলা, গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা, বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা। এর বাইরে আরও মামলা রয়েছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য আসামি ৪ জুন দিন ধার্য করেছে আদালত। একই সঙ্গে ৪ জুন পর্যন্ত এ মামলায় খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়া হয়েছে। নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্যে আসামি ২৫ জুন দিন ধার্য করেছে আদালত। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আসামি ২৬ জুন দিন ধার্য করেছে আদালত। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করা ও ভুয়া জন্মদিন পালন করার অভিযোগে মানহানির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির জন্য ১৭ মে দিন ধার্য করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকগন এ দিন ধার্য করেছেন। বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লা মিয়া জনকণ্ঠকে বলেছেন, খালেদা জিয়াসহ ২৫ হাজার বিএনপির সিনিয়র নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। এগুলো রাজনৈতিক মামলা। আসামি নির্বাচনে যাতে নেতাদের অযোগ্য ঘোষণা করা যায় সে জন্য তড়িঘড়ি করে এ সমস্ত মামলাগুলোর রায় দেয়ার চেষ্টা চলছে। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। তবু বিএনপির কোন নেতাকর্মী দল ছেড়ে যায়নি। এ প্রসঙ্গে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহম্মেদ জনকণ্ঠকে বলেন, এ মামলাগুলো অনেক আগের করা। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য এ সমস্ত মামলা করা হয়নি। আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই রায় ঘোষণা করা হবে। সত্য পাওয়া গেলে সেভাবে হবে। না পাওয়া গেলে খালাস পাবেন। আইনের শাসনে যারা বিশ্বাস করে তারাই গণতন্ত্র বিশ্বাস করে। যারা আদালতকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তারা কোনভাবেই আইনের শাসন ও গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে না। গণতন্ত্রের ভিত্তি হলো আইনের শাসন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা । এর ওপর প্রশ্ন করার কোন অবকাশ নেই। এদিকে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন দ্রুত মামলাগুলি নিষ্পত্তি হচ্ছে। আমি আশা করছি কয়েক বছরের মধ্য নিষ্পত্তিতে শতভাগ সফলতা আসবে। দুদকের আরেক আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল জনকণ্ঠকে বলেন, বিএনপির নেতারাই রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন। মামলাগুলো হয়েছে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই আদালত রায় প্রদান করবেন। আমি আশা করছি শীঘ্রই এ সমস্ত মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে রায় ঘোষণা করা হবে। তারাই সমস্ত মামলা রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করার জন্য উচ্চতর আদালতে গেছেন। উচ্চ আদালত নথিপত্র দেখে বলেছেন মামলাগুলো চলবে। রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মামলা হলে উচ্চ আদালত তখনই নিষ্পত্তি করে দিতেন। তারা যা বলছে তা ঠিক নয়। জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলা ॥ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলাটাও শেষের দিকে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে আসামি ৪ জুন পর্যন্ত জামিন দিয়েছে আদালত। মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়। প্রসঙ্গ গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সনকে পাঁচ বছরের কারাদ- দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। এ মামলায় অন্য আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদ- দেয়া হয়। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই বন্দী রয়েছেন তিনি। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা ॥ একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাটি প্রায় শেষের দিকে। আসামিপক্ষে যুক্তিতর্কের পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আজ ও কাল ১৬ মে দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৫ আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ করা হয়েছে। ২১ আগস্টের ওই নৃশংস হামলায় পৃথক দুটি মামলায় মোট আসামি ৫২ জন। মামলার আসামি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি নেতা সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ২৩ জন কারাগারে রয়েছে। অন্য দিকে তারেক রহমান, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, মেজর জেনারেল (এলপিআর) এটিএম আমিন, লে. কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দারসহ ১৮ জন এখনো পলাতক। ১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের চীফ প্রসিকিউটর সৈয়দ রেজাউর রহমান ১ জানুয়ারি আইনী পয়েন্টে যুক্তিতর্কে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হতাহতের ঘটনায় আনা মামলার তারেক-বাবরসহ ৪৯ আসামির সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেছেন। তিনি জনকণ্ঠকে বলেছেন, ‘আমরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি, হাওয়া ভবনে বসে বিএনপি নেতারা ষড়যন্ত্র করেছিলেন। আশা করছি শীঘ্রই এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ॥ ‘বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে করা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষের পথে। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দুদকের কাছে সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে করা মামলায় পুনঃতদন্ত চেয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের করা আবেদন খারিজ করে দেয় আপীল বিভাগ। ফলে বিচারিক আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী। দুদক এই মামলা দায়ের করেছে। জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে ১২ কোটি টাকার সম্পদ অর্জন এবং দুদকের কাছে তিন কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ১০ জানুয়ারি খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় মামলা হয়। ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এ মামলা বাতিল চেয়ে খন্দকার মোশাররফ হাইকোর্টে আবেদন করলে আদালত ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর তা খারিজ করে দেয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপীল বিভাগে আবেদন করেন। আপীল বিভাগ তার আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপর ওই আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য রিভিউ আবেদন করেন। গত বছর ১৭ জুলাই এ আবেদন খারিজ করেন আপীলবিভাগ। এরপর নিম্ন আদালতে তার বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। মীর্জা আব্বাস ॥ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক পূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুদক মামলা শেষের দিকে। তার মামলায় ২২ জন সাক্ষী দিয়েছেন। মামলায় জানা যায় , মির্জা আব্বাসকে তার সম্পদের হিসাব দিতে নোটিস দিলে তিনি হিসাব দেন। ওই হিসাবে দেখা যায়, তিনি সাত কোটি ৫৪ লাখ টাকার বেশি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। একই সঙ্গে ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এ ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আবদুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও কানাডার প্রতিষ্ঠান নাইকো থেকে অবৈধ সুবিধা নেয়ার অভিযোগে সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে দুদক মামলাও শেষের দিকে বলে জানা গেছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদ- দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে বিএনপির সিনিয়ার ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৫ আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদ- দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের সবার ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা করে জরিমানা করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী (পলাতক) এবং জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান (পলাতক)। একইসঙ্গে তাদের সবার ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা করে জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে ২০১৬ সালের ২১জুলাই অর্থপাচারের মামলায় নিম্ন আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদ- ও ২০ কোটি জরিমানা প্রদান করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তারেকের বন্ধু ও বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের কারাদ- ও বহাল রাখা হয়েছে। তবে তাকে বিচারিক আদালতের দেয়া ৪০ কোটি টাকার অর্থদ- কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের দায়েরকৃত জিয়া অরফানেজ মামলাটি বর্তমানে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তারেক রহমান এ রায়ের বিরুদ্ধে কোন আপীল করেননি। ২৭টি মামলা হাইকোর্টে সচল ॥ ওয়ান ইলেভেনের সময় ২৭টি মামলা দুদকের সচিব হাইকোর্ট ডিভিশনে নোটিস দিয়েছিলেন। সে কারণে মামলাগুলো থেকে আসামিদের খালাস করে দেয়। সেগুলো পুনঃবিচারের জন্য হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখযোগ্য মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে, ইকবাল আহসান মাহমুদ টুকু, আমার উল্লাহ আমান, গিয়াস উদ্দিন আল মাহমুদ, হাফিজ ইব্রাহিম, ইঞ্জিনিয়ার মনজুর আহম্মেদ মোরশেদ, ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা , ব্যারিস্টার সিগমা হুদা, মীর মোঃ নাসির উদ্দিন, মীর মোঃ হেলাল উদ্দিন প্রমুখ। এর মধ্যে তিনটি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। নিষ্পত্তি মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা (ঘুষের মামলা) হাইকোর্ট সাত বছর থেকে চার বছরের সাজা দিয়েছে। হাফিজ ইব্রাহিমকে সাজা বহাল অর্থদ- কমিয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার মনজুরুল আহম্মেদ মোরশেদকে হাইকোর্ট খালাস দিয়েছে দুদক সেখানে লিভটু আপীল করেছে। খালেদার জামিন প্রশ্নে আজ রায় ॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাদ-প্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করবে আপীল বিভাগ। ৯ মে প্রধানবিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ এ দিন নির্ধারণ করেন।
×