ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চলবে সকাল আটটা থেকে একটানা বিকেল চারটা পর্যন্ত;###;কড়া নিরাপত্তায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে ভোটের সামগ্রী ;###;মাঠে ১৬ প্লাটুন বিজিবি- থাকছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যও

খুলনা সিটি নির্বাচন আজ

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১৫ মে ২০১৮

খুলনা সিটি নির্বাচন আজ

শাহীন রহমান/অমল সাহা ॥ খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হচ্ছে আজ মঙ্গলবার। ইসির পক্ষ থেকে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সকাল আটটা থেকে এ সিটির প্রতিনিধি বাছাইয়ে শুরু হবে ভোট গ্রহণ। চলবে বিরতি ছাড়াই বেলা চারটা পর্যন্ত। নগর পিতা নির্বাচনে সিটির প্রায় ৫ লাখ ভোটার ২৮৯ কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। জাতীয় নির্বাচনের আগে খুলনার এই নির্বাচনকে মর্যাদার লড়াই হিসেবে দেখছে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এছাড়া এ নির্বাচন ইসির জন্যও একটি অগ্নি পরীক্ষা। ভোটকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী এলাকায় বিরাজ করছে টান টান উত্তেজনা। খুলনা সিটি নির্বাচনের পাশাপাশি আজ দেশের বিভিন্ন এলাকার অর্ধশতাধিক ইউনিয়ন পরিষদ, দুটি পৌরসভা এবং নবগঠিত একটি উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদগুলোর মধ্যে পাঁচটিতে সাধারণ নির্বাচন ও ৪৬টিতে বিভিন্ন শূন্য পদে উপনির্বাচন হবে। এছাড়া নবগঠিত উপজেলা কুমিল্লার লালমাই এবং বগুড়ার তালোরা ও টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভায় সাধারণ নির্বাচন হবে। এদিকে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সব ধরনের সরঞ্জাম কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছানো হয়েছে। গত ১৩ মে রবিবার মধ্যরাত থেকেই বন্ধ হয়ে গেছে নির্বাচনী প্রচার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মোড়া হয়েছে গোটা নির্বাচনী এলাকা। বহিরাগতদের আগেই নির্বাচনী এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে নির্বাচনকে ঘিরে কিছু কিছু এলাকায় উদ্বেগ উৎকণ্ঠা রয়েছে। প্রার্থী-কর্মীদের মধ্যে রয়েছে উত্তেজনা। এর পরও নির্বিঘেœ ভোট দেয়ার অপেক্ষায় আছেন ভোটাররা। কে হবেন নতুন নগর পিতা তা জানতেও অধীর আগ্রহ নিয়ে আজ ভোট কেন্দ্রে হাজির হবেন ভোটাররা। ৩১ সাধারণ এবং ১০ সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে খুলনা সিটি কর্পোরেশন গঠিত। খুলনা সিটি কর্পোশেনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৮ এবং মহিলা ভোটার ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৭৬ জন। একজন মেয়র পদের বিপরীতে ৫, ৩১ সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন এবং ১০ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন। খুলনা সিটি নির্বাচনে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৩ সালের ১৫ জুন। নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা নির্বাচনী এলাকা ॥ কেসিসি নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে রবিবার থেকে মাঠে নেমেছে ১৬ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনের লক্ষ্যে ৩১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আগেই মাঠে রয়েছে। সোমবার থেকে ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য কাজ শুরু করেছেন। নির্বাচনে সাড়ে ৯ হাজার পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন, আনসার-ভিডিপি সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। পাশাপাশি রয়েছে র‌্যাবের ৩২টি টহল টিম এবং ৪টি স্ট্রাইকিং ফোর্স। নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে মোড়া হয়েছে গোটা শহর। নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিব আবদুল বাতেনের নেতৃত্বে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক টিম রবিবার দুপুর থেকে কাজ শুরু করেছে। নির্বাচনে ২১৯ জন পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। এর মধ্যে বিদেশী পর্যবেক্ষকও রয়েছে। ৩৫ জন নির্বাচন কমিশনের, ১৭৯ জন বিভিন্ন সংস্থার পর্যবেক্ষক নির্বাচনে পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবেন। এছাড়া বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকবেন। নির্বাচনের রিটার্র্নিং কর্মকর্তা মোঃ ইউনুচ আলী জানান, সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কমিশনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের ভোটগ্রহণের জন্য ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার, সিল, কালিসহ নির্বাচনী মালামাল বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স হতে সোমবার সকাল থেকে স্ব স্ব কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রভিত্তিক কাজে নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ব্যালট বাক্স, ব্যালটপেপারসহ নির্বাচনী অন্যান্য সরঞ্জাম কেন্দ্রে পৌঁছানোর আগে থেকেই সেখানে অবস্থান করেন। নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে টহল দিচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সোনালী সেন বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বাহিনীর লোকজন। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৩৪টি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ এবং ২৪টি সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ জন এবং সাধারণ কেন্দ্রে ২২ জন করে পুলিশ ও আনসার সদস্য দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়া পুলিশের ৪১টি টিম দায়িত্ব পালন করবে। তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টিমের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। পুলিশের ৮টি মোটরসাইকেল টিম এবং ১১টি স্ট্রাইকিং ফোর্সও রয়েছে। প্রার্থী যারা ॥ খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫ জন মেয়র প্রার্থী ছাড়াও কাউনিন্সলর এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৪৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থীই দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদের প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী শফিকুর রহমান মুশফিক (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মাওলানা মুজাম্মিল হক (হাত পাখা) ও সিপিবি মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে)। এ ছাড়া ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ॥ এ নির্বাচনে ২৮৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। এ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ২৫৪টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও ৩৫টি কেন্দ্রকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এবার ভোট কক্ষ রয়েছে ১ হাজার ৫৬১টি। এর মধ্যে অস্থায়ী ভোট কক্ষ ৫৫টি। প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার রয়েছেন ৪ হাজার ৯৭২ জন। এসব কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের সোমবার সকাল থেকে ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার, কালিসহ নির্বাচনের প্রয়োজনীয় মালামাল সরবরাহ করা হয়েছে। মর্যাদার লড়াই ॥ টানটান উত্তেজনা এদিকে খুলনা সিটি নির্বাচন ঘিরে নির্বাচনী এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এবারই প্রথম সিটি নির্বাচন রাজনৈতিক দলের প্রতীকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ফলে প্রার্থীদের ব্যক্তিগত ইমেজের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর ইমেজ জড়িত রয়েছে এরসঙ্গে। বিশেষ করে দলগুলো জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের মাপকাঠিও হবে এই নির্বাচন। নির্বাচনের ফল জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে। এই নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের বক্তব্যেও জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গ ওঠে আসছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে এ দু’টি দল এবং তাদের জোট সঙ্গীরা নিজেদের শক্তির প্রমাণ দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। দুই দলের জন্য এই সিটি নির্বাচন মর্যাদার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে খুলনা সিটি নির্বাচনকে ঘিরে চলছে টান টান উত্তেজনা। প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ॥ এদিকে নির্বাচনের একদিন আগে প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। সোমবার নিজ নিজ দলীয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে পরস্পরের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। প্রেস ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী অভিযোগ করেন, ২০০১ সালে যারা ক্ষমতায় এসে সর্বহারা, চরমপন্থী ও জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করেছিলেন তারাই জঙ্গীদের শেল্টার দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। মঞ্জু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। অবৈধ অস্ত্র ও সন্ত্রাসীদের নিয়ে নির্বাচনের দিন মাঠে থাকার পাঁয়তারা করছেন। আওয়ামী লীগ ভোট ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বিশ্বাসী নয়; জনগণের ওপর বিশ্বাসী। খুলনার মানুষ ব্যালটের মাধ্যমে সঠিক রায় দিবেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ যেই হোক তাকে গ্রেফতার করা হোক। আমার দলে যদি কেউ অপরাধী থাকে তাকেও শাস্তি পেতে হবে। অপরদিকে বিএনপি প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, সরকার কেসিসিতে ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ করছে। পুলিশের নেতৃত্বে রাতেই ব্যালট পেপারে সীল মেরে বাক্স ভরার ষড়যন্ত্র চলছে। একই সঙ্গে পুলিশ বিএনপির ভোট ব্যাংক এলাকায় ব্লক রেইডের নামে হিং¯্র রূপে হানা দেয়ারও পরিকল্পনা করেছে। সরকারের মন্ত্রী পরিষদ এবং এমপি-মন্ত্রীসহ সিনিয়র নেতারাও এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ বহিরাগতদের এনে শহরের হোটেল, রেস্ট হাউজ ও আবাসিক কোয়ার্টারসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাগ ভাগ করে রেখেছে। এমনকি পুলিশের নামেও বিভিন্ন হোটেল বুকিং দেয়া হয়েছে। ভোটের দিন এসব বহিরাগতরা বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ঢুকে নিজেরা সংঘর্ষে লিপ্ত হবে। এরপর ভয়ে ভোটাররা কেন্দ্র ত্যাগ করলে তারা ব্যালট কেটে বাক্সে ঢুকাবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের দেশি বিদেশি ২শ’ পর্যবেক্ষক ॥ দেশি-বিদেশি নয়টি সংস্থার প্রায় দুইশ’ পর্যবেক্ষক খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন। সেই সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীও থাকছেন প্রায় আটশ’। নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব পর্যবেক্ষক থাকবেন ১০ জন। ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক আশাদুল হক জানান, নয়টি সংস্থা থেকে ১৮২ জনকে পর্যবেক্ষক হিসেবে পরিচয়পত্র দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে এসব সংস্থা নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছে। এর মধ্যে নবলোক ৪৮টি, লাইট হাউস ২৩টি, উত্তরণ ৬টি, ওয়েব ফাউন্ডেশন ৩৭টি, রূপান্তর ১২টি, আসক ৮টি, ফেমা ৮টি ও জানিপপ ২টি পর্যবেক্ষক কার্ড সংগ্রহ করেছে। রবিবার পর্যন্ত ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ১৯০ জন সাংবাদিক, প্রিন্ট মিডিয়ার ৭৯ জন ও অনলাইন মিডিয়ার ৩০ জন সাংবাদিক পরিচয়পত্র নিয়েছে। এছাড়া স্থানীয়ভাবে দেয়ার জন্য ১৩০০ সাংবাদিক-মিডিয়া সাপোর্ট স্টাফদের জন্য কার্ড সরবরাহ করা হয়েছে।
×