ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সুন্দরবন হতে চলেছে সৌন্দর্যবিপন্ন

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ১৫ মে ২০১৮

সুন্দরবন হতে চলেছে সৌন্দর্যবিপন্ন

২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর সুন্দরবনে জন্ম হয়েছিল একটি তেল কাহিনী। ওইদিন ভোরে পূর্ব সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে জ্বালানি তেলবাহী একটি জাহাজ ডুবে গিয়ে সাড়ে তিন লাখ লিটারের বেশি ফার্নেস তেল সুন্দরবনে ছড়িয়ে পড়েছিল। ঘটনার শুরু থেকেই তেলের বিরক্তিকর ঝাঁজ সেখান থেকে পালাতে বাধ্য করেছিল বিভিন্ন জলজ প্রাণীকে। দৌড়াতে ব্যর্থ কিছুসংখ্যক কুমির, ডলফিন ও মাছ মরে ভেসে ওঠে পানির উপরিভাগে। আর বনের উদ্ভিদ প্রজাতির গায়ে লাগে দীর্ঘ কালো ছাপ। সেথায় বাস করা বন্যপ্রাণীরাও হয়ে পড়ে নিরুপায়। এসব অশনিসঙ্কেত দেশে ঢাকঢোল পিটিয়ে কড়া নেড়েছিল জাতিসংঘ। তখন চলে দৌড়ঝাঁপ, আলোচনা-সমালোচনা এবং গণমাধ্যমে ঝড়। এর স্থায়িত্বকাল ছিল মাস খানেক। তারপর সুনসান নীরবতা। একের পর এক কয়লা, তেল, সিমেন্ট ও বিষাক্ত রাসায়নিক বহনকারী জাহাজডুবি ও আগুনে পুড়ে ছাড়খার সুন্দরবন অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে। বাংলাদেশ তথা বিশ্বের বৃহত্তম এই ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল বার বার আক্রান্ত হলেও এটি রক্ষায় নেই কোন বাস্তব পদক্ষেপ। বনবিপন্ন হওয়ার ধারাবাহিকতা কি এভাবে চলতে থাকবে? যার সর্বশেষ পরিণতি বাংলা বর্ষ শুরুর অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল রাতে সুন্দরবনে ডুবে যাওয়া ৭৭৫ টন কয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজ এমভি বিলাস। সুন্দরবনের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়া এলাকায় জাহাজটি ডুবে গিয়েছিল। সুন্দরবনের ভেতর ও বাহিরে রয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য নদী-নালা-খাল। বনের ভেতর দিয়ে বয়ে চলেছে পশুর ও শ্যালা নদী। যে নদীতে প্রতিনিয়তই চলাচল করছে অসংখ্য পণ্যবাহী জাহাজ ও নৌকা। মাল বহনকারী এসব নৌযান মাঝে-মধ্যে যে দুর্ঘটনায় পতিত হবে না তার নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না। ওই নদীগুলোয় অতীতের দুর্ঘটনার হিসাব না কষলেও গত কয়েক বছরের হিসাবে দেখা যায়- ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্টের কাছে ১২নং লালবয়া এলাকায় এক হাজার টন কয়লা নিয়ে ডুবেছিল কার্গো জাহাজ এমভি আইজগাতি। ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ সুন্দরবনের শ্যালা নদীর তাম্বুলবুনিয়ায় ১ হাজার ২৩৫ টন কয়লা নিয়ে ডুবে কার্গো জাহাজ এমভি সি হর্স। ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর সুন্দরবনের শ্যালা ও পশুর নদীর মোহনায় ৫১০ টন কয়লা নিয়ে ডুবেছিল এমভি জিয়া রাজ কার্গো জাহাজ। ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের ভোলা নদীর বিমলের চরের কাছে ৫০০ টন পটাশ সার (মিউরেট অব পটাশ) নিয়ে ডুবে যায় জাহাজ ‘জাবালে নূর’। ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পশুর চ্যানেলে ৬০০ টন সিমেন্টের কাঁচামাল নিয়ে এমভি নয়ন শ্রি-৩ ডুবে যায় এবং ১২ সেপ্টেম্বর প্রায় ৬৩০ টন সিমেন্টের কাঁচামাল নিয়ে এমভি হাজেরা-২ এবং একই বছরের ২৪ নবেম্বর যাত্রীবাহী তিনতলা লঞ্চ ‘এমভি শাহীদুৎ’ সুন্দরবনের হরিণটানা এলাকায় ডুবে যায়। ওই ঘটনায় বন বিভাগ ৫০ কোটি টাকার একটি ক্ষতিপূরণ মামলা করে। বন বিভাগের ভাষ্য, ওই লঞ্চডুবির ফলে বনের অনেক জায়গা দুমড়ে-মুচড়ে যায়, নাব্য সঙ্কট তৈরি হয় এবং অনেক পোনামাছ মারা যায়। কিন্তু তাতে পরিবর্তন কি কিছু হয়েছে? বাংলাদেশের গর্বের প্রতীক বিশ্ব ঐতিহ্যের স্মারক সুন্দরবন রক্ষার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। রাষ্ট্রকেই এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে বনের সজীবতা রক্ষার নিশ্চয়তা দিতে হবে। সম্প্রতি একটি দৈনিক পত্রিকা সুন্দরবনের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সময়ে জাহাজডুবি নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে জানা যায়, গত ৩০ বছরে অন্তত ১৬টি জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে সুন্দরবনে। তার মধ্যে কেবল গত তিন বছরেই তলা ফেটে ডুবেছে পণ্যবোঝাই ১০টি লাইটার জাহাজ। কিন্তু আশঙ্কার বিষয় হলো- সুন্দরবন ও মংলাবন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট ডুবে যাওয়া জাহাজ উদ্ধারের মতো কোন উদ্ধারকারী জলযান নেই। ফলে সহজে উদ্ধার করা সম্ভব হয় না ডুবে যাওয়া জাহাজ এবং পণ্য। আর এর ফলেই প্রতিটি জাহাজডুবির ঘটনায় ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে খাদ্যশৃঙ্খলসহ সুন্দরবনের জটিল বাস্তুসংস্থান। ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বনের জলজপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য। এতে হুমকির মুখে পড়ছে সুন্দরবনের গাছের শ্বাসমূলসহ জীববৈচিত্র্য, বিলুপ্তপ্রায় ইরাবতিসহ ছয় প্রজাতির ডলফিন, কয়েক’শ প্রজাতির মাছসহ জলজপ্রাণীর প্রজনন। ১৯৯৯ সালে সুন্দরবনের চারপাশের ১০ কিলোমিটার এলাকাকে প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করা হয়েছিল। বাংলাদেশের সংরক্ষিত বনভূমি হিসেবে সুন্দরবন পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকার জলাভূমির বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন বা নষ্ট করা আইনত দ-নীয় অপরাধ। পাশাপাশি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ অনুযায়ী সংরক্ষিত বনে নৌপথসহ সবধরনের কর্মকা-ও আইনত নিষিদ্ধ। ২০১১ সালে সুন্দরবনে ঘোষিত হয়েছে তিনটি ডলফিন অভয়াশ্রম। কিন্তু এসব আইনকে তোয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত বিপুল ক্ষতির সম্মুখে দাঁড় করানো হচ্ছে সুন্দরবনকে। সুন্দরবন বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে আলাদা পরিচিতি। জীববৈচিত্র্যের এক বিরল ভা-ার এই বনাঞ্চল। এটি শুধু সম্পদই নয়, বলা যায়- আমাদের গর্ব, অহঙ্কার। সুন্দরবন আমাদের জাতীয় পরিচয়ের বিশালতা বহন করে চলেছে অনেক আগে থেকেই । ধরণী বুকে ঐতিহ্যম-িত যে কয়েকটি স্থান রয়েছে সুন্দরবন তার মধ্যে অন্যতম। যেখানে বাঙালীর জাতীয় প্রতীক রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বসবাস। রয়েছে নানা প্রজাতির উদ্ভিদ, তরুলতা। পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে উদ্ভিদের রয়েছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তরুলতায় পূর্ণ ধরিত্রীর অপরূপ প্রকৃতি বিধান আমাদের দিয়েছে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার অধিকার। পৃথিবীর অমোঘ নিয়ম বজায় রেখে প্রকৃতিসৃষ্ট এ ধরনের বনাঞ্চল প্রতিটি প্রাণের সজীবতা রক্ষা করে চলেছে অনন্তকাল ধরে। যে সুন্দরবন আমাদের জলজ, প্রাণীজ ও উদ্ভিজ সম্পদ আহরণ এবং আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস ফেলার নিশ্চয়তা দিচ্ছে তার প্রতি রাষ্ট্রের উদাসীন মনোভাব এই বনাঞ্চলকে দীর্ঘ ক্ষতির সম্মুখীন করবে বলে মনে করছে পরিবেশবিদরা। দ্রুত সম্ভব সুন্দরবনকে নিয়ে ভাবতে হবে। বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সম্পদের অন্যতম যোগানদাতা হলো সুন্দরবন। ঐতিহ্য ও প্রকৃতি লাবণ্যে ভরপুর সুন্দরবন অনন্য উদাহরণ হিসেবে পৃথিবীর দৃষ্টি কাড়তে সমর্থ হয়েছে। আমাজনের পরেই প্রতি বর্গমিটারে সবচেয়ে বেশি জীববৈচিত্র্য রয়েছে সুন্দরবনে। তবে কবে ও কীভাবে একটি পরিণত বন হিসেবে সুন্দরবনের সৃষ্টি হয়েছিল তার সুনির্দিষ্ট কোন হিসাব এখনও বিজ্ঞানীরা দিতে পারেননি। জলজঙ্গল দ্বীপমালা ঘেরা সুন্দরবনের ৬০ শতাংশ বাংলাদেশ এবং ৪০ শতাংশ ভারতের ভূমি দখল করে আছে। পশ্চিমবঙ্গে ৪৫ লাখ, বাংলাদেশে ৭০ লাখ মানুষ সুন্দরবনের বাসিন্দা। ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে বর্তমানে সুন্দরবনের মোট আয়তন প্রায় ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশে প্রায় ৬ হাজার বর্গকিলোমিটার ও ভারতে ৪ হাজার বর্গকিলোমিটার। ঐতিহাসিক গ্রন্থ থেকে জানা যায়, ২ হাজার বছর আগে সুন্দরবনের মোট আয়তন ছিল ২৫ হাজার বর্গকিলোমিটার। একসময় যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরিশাল বা পুরনো বাকেরগঞ্জ পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে সুন্দরবন ছিল। কক্সবাজারের চকরিয়া ও নাফ নদীর তীর ঘেঁষে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছিল শ্বাসমূলীয় বন। এর বাইরে নোয়াখালী উপকূলজুড়ে শ্বাসমূলীয় বন কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি করেছিল বন বিভাগ। বর্তমানে একমাত্র সুন্দরবন ছাড়া বাকি সব বন ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশের উপকূল অঞ্চলের প্রায় ৩০ লাখ মানুষ সুন্দরবনের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করে। এছাড়াও এখান থেকে বছরে প্রায় দেড় হাজার টন কাঁকড়া ও শামুক সংগ্রহসহ প্রতিবছর ২২ হাজার ৯০০ টন মধু ও ৭০ হাজার টন গোলপাতা আহরণ করেন বনজীবীরা। [সূত্র : প্রথম আলো] গবেষণায় দেখা গেছে, বাণিজ্যিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ১২০ প্রজাতির মাছ, ২৭০ প্রজাতির পাখি, ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ এবং ৮ প্রজাতির উভচর প্রাণী রয়েছে সুন্দরবনে। বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে এখনও ৩০ শতাংশ সরীসৃপ, ৩৭ শতাংশ পাখি ও ৩৭ শতাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। যা দেশের অন্যান্য অংশে বিরল। এতে প্রতীয়মান হয় বিভিন্ন প্রজাতির জলজ ও স্থলজ প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে সুন্দরবন কতটুকু অপরিহার্য। সরকারের মতে এই প্রাণীবৈচিত্র্যের মধ্যে ২ প্রজাতির উভচর, ১৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৫ প্রজাতির পাখি এবং ৫ প্রজাতির স্তনপায়ী বর্তমানে হুমকির মুখে। এছাড়াও বিলুপ্ত প্রাণীর তালিকায় রয়েছে বুনো মহিষ, পারা হরিণ, বুনো ষাঁড়, ছোট ও বড় এক শৃঙ্গি গ-ার, বার শিংগা, চিতা বাঘ। আরও লুপ্ত হয়েছে সাদা মানিক জোড়া কান ঠুনি, বোঁচা হাঁস, গগন বেড়, জলার তিতিরসহ নানা পাখি। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে সুন্দরবনের ভূমিকা অপরিসীম। এটি দেশের বনজ সম্পদের একক বৃহত্তম উৎস। এই বন কাঠের উপর নির্ভরশীল শিল্পে কাঁচামাল জোগান দেয়। এছাড়াও কাঠ, জ্বালানি ও ম-ের মতো প্রথাগত বনজ সম্পদের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে আহরণ করা হয় ঘর ছাওয়ার পাতা, মধু, মৌচাকের মোম, মাছ, কাঁকড়া এবং শামুক-ঝিনুক। বৃক্ষপূর্ণ সুন্দরবনের এই ভূমি একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় আবাসস্থল, পুষ্টি উৎপাদক, পানি বিশুদ্ধকারক, পলি সঞ্চয়কারী, ঝড় প্রতিরোধক, উপকূল স্থিতিকারী, শক্তি সম্পদের আধার এবং পর্যটন কেন্দ্র। এতসব যোগান দিয়ে যাচ্ছে যে বনাঞ্চল, সেই সুন্দরবনকে নিজেদের স্বার্থ হাসিল ও খামখেয়ালিপনার বস্তুতে পরিণত করে ধ্বংস করার নীরব প্রতিযোগিতায় মত্ত আমরা। বন ধ্বংসের অসংখ্য উদাহরণের মধ্যে বনের অভ্যন্তরে বহমান নদীতে ক্ষতিকারক পদার্থসহ ঘন ঘন নৌডুবি অন্যতম। [সূত্র : উইকিপিডিয়া] সুন্দরবনের রাজা রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিশ্ব ঐতিহ্য এই বনের সবধরনের সম্পদ আহরণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। বনের স্বার্থ রক্ষায় এ ধরনের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হলেও সুন্দরবনের অভ্যন্তর নদীগুলোয় বার বার জাহাজডুবির ঘটনা এই বনাঞ্চলের দীর্ঘ বিপদ ডেকে আনছে কি-না সেটি ভেবে দেখার যথেষ্ট প্রয়োজন আছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনকে রক্ষায় এর মধ্য দিয়ে সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের সুপারিশ জানানো হয়েছিল। নৌচলাচল বন্ধের এমন আর্জি বার বারই জানিয়ে আসছিল সুন্দরবন গবেষক ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। এক সময় ভারতের অংশের সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে নৌপথ চালু ছিল। কিন্তু সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নৌপথটি ঘুরিয়ে নেয় ভারত। অথচ বাংলাদেশ সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে চালু রেখেছে নৌপথ। বিশ্ব ঐতিহ্য রক্ষায় সরকারকে জরুরী ভিত্তিতে সুন্দরবন সহায়ক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। যাতে করে সুন্দরবনের জীবন্ত বৈচিত্র্য অটুট থাকে। লেখক : গবেষক
×