ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুনতাহা ইসলাম;###;ফল শুধু ক্ষুধা নিবারণেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সৌন্দর্য চর্চাতেও অনন্য ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন ধরনের ফল বিভিন্ন গুণের হয়। ত্বকের ও চুলের যত্নে ফলের মাস্ক কিন্তু খুবই উপকারী। নরম, কোমল ও আকর্ষণীয় ত্বক ও চুল নিশ্চিত করতে ফলের মাস্কের জুড়ি নেই। অনেক

ত্বক ও চুলের যত্নে ফ্রুট মাস্ক

প্রকাশিত: ০৭:১৮, ১৪ মে ২০১৮

ত্বক ও চুলের যত্নে ফ্রুট মাস্ক

ত্বকের যত্নে (১) আধাটা কলা চটকে তাতে সামান্য স্ট্রবেরি পেস্ট আর সামান্য মধু দিয়ে মিশিয়ে মাস্কটি মুখে মেখে ২০ মিঃ রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন। – কলায় থাকে প্রয়োজনীয় মিনারেলস এবং ভিটামিন এ, বি, সি ও ই যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। (২) কিছু তরমুজের টুকরো পিষে মুখে আর গলায় মেখে রাখুন ২০ মিঃ, তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। – তরমুজ ন্যাচারালি ত্বক পরিষ্কার করে ত্বককে কোমল ও মসৃণ করে তোলে। (৩) কিছু পাকা পেঁপের টুকরো ম্যাশ করে মাস্ক হিসেবে মুখে মেখে ১৫ মিঃ রেখে তারপর নরমাল পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। – পেঁপের এ্যান্টি-অক্সিডেন্টস ত্বকের মৃতকোষ ও ময়লা পরিষ্কার করে। (৪) স্ট্রবেরি পেস্ট-এ সামান্য পানি মিশিয়ে স্কিনে মেখে ২০ মিঃ রেখে ধুয়ে ফেলুন। – এটি ত্বকের পোড়াভাব দূর করে স্কিনকে সুন্দর করে। (৫) কয়েক টুকরো আপেলকে পেস্ট করে তাতে ১ টে.চা. মধু মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে মুখে ১৫ লাগিয়ে রেখে পড়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। – এই মাস্কটি বেবি স্কিন নিশ্চিত করে স্কিনকে কোমল ও আকর্ষণীয় করে তোলে। (৬) আধাটা পাকা এ্যাভোক্যাডো, ১/২ চা.চা. নারকেল তেল ও ২ টে.চা. মধু একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে মাস্কটি ২০ মিঃ রেখে পড়ে পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। – স্কিন ময়েশ্চারাইজ করে ড্রাইনেস দূর করে ও স্কিন-কে হেলদি করে তোলে। (৭) আনারের দানা ব্লেন্ড করে মাস্ক হিসেবে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিঃ রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। – স্কিনের ডেড সেল দূর করে তারুণ্য নিশ্চিত করে এই মাস্কটি। (৮) লাল আঙ্গুর পেস্ট করে মুখে লাগিয়ে শুকান এবং পরে পানি দিয়ে ভাল করে মুখ ধুয়ে নিন। – এই মাস্কটি এখনই-এর সমস্যা কমায়। চুলের যত্নে (১) ২ টে.চা. কুসুম গরম নারকেল তেল ও ১ চা.চা. লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মিক্সচারটি স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। ২ ঘণ্টা রেখে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। – লেবুর ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস চুলের গোঁড়া মজবুত করে পুষ্টি যোগায় এবং চুল পোড়া কমায়। খুশকি দূর করে। নারকেল তেল চুলকে ময়েশ্চারাইজ করে। (২) একটি পাকা কলা, ২ টে.চা. নারকেল তেল/ অলিভ অয়েল এবং একটি ডিম একসঙ্গে ব্লেন্ড করে মিক্সচারটি স্ক্যাল্পে ও পুরো চুলে মেখে ৩০ মিঃ রেখে ভাল করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। – এই মাস্কটি অতিরিক্ত রুক্ষ চুলকে নরিশ করে ময়েশ্চারাইজ করে। (৩) ৭-৮টি স্ট্রবেরি ম্যাশ করে তাতে ১ টে.চা. মেয়নেইজ মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে ২০ মিঃ রেখে চুল ভাল করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। – এই মাস্কটি চুলের ডিপ-কন্ডিশনিং করে চুলকে স্মুদ ও শাইনি করে এবং খুশকি দূর করে। (৪) সামান্য পাকা পেঁপের টুকরো, ২ টে.চা. টক দই ও ১ চা.চা. মধু একসঙ্গে ব্লেন্ড করে ব্লেন্ডেড মিক্সচারটি চুলে ও স্ক্যাল্পে মেখে ৩০ মিঃ রেখে ভাল করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। – এই মাস্কটি স্ক্যাল্পের মরা চামড়া ও খুশকি দূর করে। চুলকে মসৃণ ও মজবুত করে। (৫) এ্যাভোক্যাডোর ভেতরের নরম অংশকে পেস্ট করে তার সঙ্গে সামান্য নারকেল তেল বা বাদাম তেল অথবা অলিভ অয়েল মিশিয়ে পুরো চুলে মেখে ২০ মিঃ রেখে তারপর চুল ভাল করে শ্যাম্পু মেখে ধুয়ে ফেলুন। – চুলকে সফট ও স্মুদ করতে এই মাস্কটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে। (৬) ৩ টে.চা. কমলার রস, ১ টে.চা. লেবুর রস, ১.৫ টে.চা. টক দই এবং সামান্য পানি মিশিয়ে ব্লেন্ড করে মাস্কটি পুরো চুলে মেখে ১ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। – এই মাস্কটি চুলের পুষ্টি যোগায়, চুলকে মজবুত করে এবং চুলের কন্ডিশনিং করে স্মুদ করে। (৭) কিছু পেয়ারার টুকরো ও সামান্য মধু ব্লেন্ড করে মাস্কটি পুরো চুলে মেখে ১০ মিঃ রাখুন ও ধুয়ে ফেলুন। – এটি চুলকে স্মুদ ও সফট করে তোলে। (৮) একটি পাকা কলা, ১/২ কাপ পাকা পেঁপের পেস্ট, ২ টে.চা. টক দই, ১ চা.চা. বাদাম তেল, ১/২ চা.চা. লেবুর রস ও সামান্য পানি মিশিয়ে গোঁড়াসহ পুরো চুলে মেখে ২০ মিঃ রেখে তারপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। – এই মাস্কটি চুলকে কোমল ও নমনীয় করে, গোঁড়া মজবুত করে এবং খুশকি দূর করে। এইতো জেনে নিলেন ত্বক ও চুলের যত্নে বিভিন্ন ফলের তৈরি কিছু সহজ, সময়সাপেক্ষ এবং কার্যকর মাস্কের কথা। শুধু ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধোঁয়া আর তেল-শ্যাম্পু দিয়ে চুলের যত্নে আবদ্ধ না থেকে এদের যত্নটাকে আরও বেশি করে কিভাবে নেয়া যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। আশা করি, হেভি মেকওভার আর ধুলোবালির বোঝায় ক্লান্ত ত্বক ও চুলকে মাস্কিং ও ময়েশ্চারাইজিং-এর মাধ্যমে একটু প্রশান্তি এনে দেয়াটা আপনাদের জন্য সহজ করে দেয়ায় কিছুটা হলেও সক্ষম হয়েছি। ছবি : নাঈম ইসলাম
×