স্টাফ রিপোর্টার ॥ কারাবন্দী খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিদেশী কূটনীতিকদের সহেযোগিতা চেয়েছে বিএনপি। রবিবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে বিদেশী কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের বৈঠককালে এ সহযোগিতা চাওয়া হয় বলে জানা গেছে। তবে বিএনপি কিংবা কূটনীতিকদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকে আলোচনার বিষয় নিয়ে কিছু জানানো হয়নি।
বিকেল সোয়া ৪টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাজা, অসুস্থতা, জামিন ও মুক্তি, দলের নেতাকর্মীদের মামলা খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সমসাময়িক রাজনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ), অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, স্পেন ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এবং কানাডা, যুক্তরাজ্য, জাপান, রাশিয়া, ভারত, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিনিধি ও ঢাকায় কর্মরত ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টরও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের অন্য নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, রিয়াজ রহমান, দলের সাংগঠনিক সম্পাাদক শামা ওবায়েদ, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য জেবা খান, তাবিথ আউয়াল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের সাজা নিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী হন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তাঁকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে রাখা হয়। খালেদা জিয়া কারাগারে অসুস্থ হলে কারাকর্তৃপক্ষ সরকারী হাসপাতালের ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করান। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় কারাগারে খালেদা জিয়ার সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না। এ জন্য তারা ব্যাক্তিগত চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা প্রদান এবং তাঁকে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার দাবি জানানো হয়। এছাড়া তাঁর মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচী পালনের পাশাপাশি আইনী লড়াইও চালানো হয়। খালেদা জিয়ার জামিন কিংবা মুক্তি না হওয়ার বিষয়টি নিয়ে এর আগেও কয়েক দফা বিদেশী কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। তবে কূটনীতিকদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে তেমন সহযোগিতা পায়নি বিএনপি। তারপরও কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখছে বিএনপি।