ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজস্ব আদায়ে বাস্তবায়নযোগ্য লক্ষ্যমাত্রা প্রণয়নের তাগিদ

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ১৪ মে ২০১৮

রাজস্ব আদায়ে বাস্তবায়নযোগ্য লক্ষ্যমাত্রা প্রণয়নের তাগিদ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত কয়েক বছরে রাজস্ব আয়ের মূল লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তারপরও আসছে বাজেটেও প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার বিশাল টার্গেট দেয়া হচ্ছে সংস্থাটিকে। বাজেটে কর্পোরেট কর কমানো, নতুন রফতানি পণ্যে প্রণোদনা ও স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দেয়ার আভাস দিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান। তবে রাজস্ব আদায়ের অতিরিক্ত টার্গেট না দিয়ে বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে ব্যয় বাড়ায়, প্রতি বছরই বাড়ছে বাজেটের আকার। সেই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ বাজেটের সম্ভাব্য আকার ৪ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে আগামী বাজেটে। ড. শামসুল আলম বলেন, সরকারের উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের আকাক্সক্ষার ধারাবাহিকতার গত বছরের মতোই বাজেট এটি। নির্বাচনী বছরের বাজেটে কর কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত নেই। তবে বড় বাজেটের অর্থের যোগান দিতে এনবিআরের ওপর পড়তে যাচ্ছে ২ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা। স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিকে গুরুত্ব দিয়েই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান এনবিআর চেয়ারম্যান। এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকা বাজেটে বেশি থাকবে। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়বে। শুল্ক কাঠামো দেশিয় শিল্পকে প্রণোদনা দেয়ার চেষ্টা করা হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মূল লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় প্রতিবছরই তা সংশোধন করে কমানো হয়। এক্ষেত্রে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বড় হওয়ায় আহরণকারীদের পাশাপাশি সার্বিক অর্থনীতি চাপের মুখে পড়ে।
×