ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্যাটেলাইট প্রকল্প ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ দাবি মওদুদের

প্রকাশিত: ০৪:৫০, ১৪ মে ২০১৮

স্যাটেলাইট প্রকল্প ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ দাবি মওদুদের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ উৎক্ষেপিত বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট প্রকল্পে ব্যয়ের পূর্ণাঙ্গ হিসাব প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। রবিবার দুপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান। শফিউল বারী বাবু মুক্তি পরিষদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। মওদুদ বলেন, সরকার মহাকাশে একটা স্যাটেলাইট পাঠিয়েছেন। এটা আমাদের সকলের জন্য একটা গৌরবের বিষয় যে বাংলাদেশের একটা স্যাটেলাইট মহাকাশে পরিভ্রমণ করবে। তবে আমাদের দাবি স্যাটেলাইট প্রকল্পে কত টাকা ব্যয় হয়েছে সরকারকে জানাতে হবে। আর এই টাকা কীভাবে খরচ হয়েছে, কাদের মাধ্যমে খরচ হয়েছে তা জানাতে হবে। জানতে চাই, এই প্রকল্পে কত অর্থ অপচয় হয়েছে এবং পরিপূর্ণ খরচ মনিটরিং ও তত্ত্বাবধায়ন করার যে প্রয়োজন সেটা করা হয়েছে কী না এটা দেশের মানুষের জানার অধিকার আছে বলে আমি মনে করি। মওদুদ বলেন, মঙ্গলবার খুলনা সিটি নির্বাচনে যদি কোন রকমের অনিয়ম হয়, কেন্দ্র দখল করে, ভোট চুরি করে, ভোট ডাকাতি করে নির্বাচন সম্পন্ন করা হয় তাহলে আমরা সেই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করব এবং কারচুপির প্রতিবাদে আন্দোলন হবে। আমাদের কাছে খবর আছে ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সাদা পোশাকে এজেন্টদের পাঠানো হচ্ছে, সরকারী কিছু কিছু কর্মকর্তার ওই কেন্দ্র দখল করে ব্যালট বাক্সে ভুয়া ব্যালট পেপার ঢোকানোর জন্য। তারা ব্যালট বাক্স ভর্তি করবে ভুয়া ভোট দিয়ে। আমাদের এজেন্টদের নাকি কেন্দ্রে আসতে দেবে না এবং তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়িতে থাকতে দিচ্ছে না। তবে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ধানের শীষের প্রার্থীর বিজয়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি। আয়োজক সংগঠনের নেতা মোঃ ফয়েজউল্লার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারপার্সন বরকত উল্লাহ বুলু, প্রচার সম্পাদক শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সফু প্রমুখ। সরকার ভারতের সঙ্গে গোপন চুক্তি করেছে- রিজভী ॥ আবারও ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার ভারতের সঙ্গে গোপন চুক্তি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। রবিবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। রিজভী বলেন, সকল জনমত উপেক্ষা করে আকস্মিকভাবে বাংলাদেশ-ভারত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সরকার। এমনকী জাতীয় সংসদে আলোচনা করারও প্রয়াজন বোধ করেনি। প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় ঋণ বাস্তবায়ন এবং সার্বিক সহযোগিতার বিস্তার ঘটাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মোট চারটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তির কারণে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। দেশের মানুষকে না জানিয়ে এ ধরনের দেশবিরোধী চুক্তির খবরে গোটা জাতি হতভম্ব ও চিন্তিত হয়ে পড়েছে। রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার প্রতিদিন অবনতি হচ্ছে। তাঁর হাঁটা চলা করতে অসুবিধা হচ্ছে। এখন তাকে পরিত্যক্ত স্যাঁতসেঁতে অস্বাস্থ্যকর ভবনে রাখায় নানা ধরনের রোগ ও সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন তিনি। সরকারী মেডিক্যাল বোর্ড তাকে অর্থোপেডিক্স বেড দেয়ার সুপারিশ করলেও এখন পর্যন্ত সেটি দেয়া হয়নি। খালেদা জিয়াকে অশুভ ও দুরভিসন্ধিমূলক উদ্দেশেই কারাবন্দী করা হয়েছে। রিজভী বলেন, বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তের জন্য সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে কঠিন খেসারত দিতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আব্দুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
×