ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রিমিয়ার হকি লীগে ওয়ান্ডারার্স-পুলিশ ম্যাচে গোলযোগ

জিমির তৃতীয় হ্যাটট্রিক, মোহামেডানের পঞ্চম জয়

প্রকাশিত: ০৭:০০, ১৩ মে ২০১৮

জিমির তৃতীয় হ্যাটট্রিক, মোহামেডানের পঞ্চম জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়ার বিভাগ হকি লীগে বড় জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। শনিবার ঢাকার মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে তারা ৮-১ গোলে হারায় আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবকে। বিজয়ী দল ম্যাচের প্রথমার্ধে ৫-১ গোলে এগিয়েছিল। মোহামেডানের এই জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান তারকা ফরোয়ার্ড রাসেল মাহমুদ জিমির এবং ভারতীয় ফরোয়ার্ড অরবিন্দর সিংয়ের। দুজনেই করেন হ্যাটট্রিক। জিমির আগের ২টি হ্যাটট্রিক ওয়ারী এবং এ্যাজাক্সের বিরুদ্ধে। পুরো ম্যাচের প্রতিপক্ষকে আক্রমণের পর আক্রমণ দিয়ে দুমড়ে-মুচড়ে দেয় সাদা-কালোরা। তারা পেনাল্টি কর্নার (পিসি) পায় ৯টি। আর প্রতিপক্ষ লাভ করে মাত্র ১টি। ম্যাচের ৭ মিনিটে গোলের হালখাতা খোলে চারবারের লীগ চ্যাম্পিয়নরা। জিমির ফিল্ড গোলে লিড নেয় সাদা-কালোরা (১-০)। ১৩ মিনিটে পিসি থেকে অরবিন্দর সিং গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন (২-০)। ২০ মিনিটে আবারও জিমির গোলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-০তে। এর ঠিক ৪ মিনিট পর আবারও পিসি থেকে গোল করেন অরবিন্দ (৪-০)। ৩০ মিনিটে মোহামেডানের নাসির হোসেন ফিল্ড গোল করে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে দেন (৫-০)। তবে ম্যাচের ধারার বিপরীতে ৩৩ মিনিটে এক গোল শোধ করেন আজাদের দেবাশীষ রায় (১-৫)। দ্বিতীয়ার্ধে আজাদের পোস্টে আরও তিনবার বল পাঠায় মোহামেডান। ৫১ মিনিটে পিসি থেকে গোল করেন জিমি (৬-১)। ৬৬ মিনিটের গোলটিও আসে তার স্টিক থেকেই, তবে সেটি ছিল ফিল্ড গোল (৭-১)। আজাদ এসসির কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন অরবিন্দ সিং। পিসি থেকে ৬৯ মিনিটে গোলটি আদায় করে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। (৮-১)। নিজেদের আগের চার ম্যাচে মোহামেডান হারায় ৩-১ গোলে ভিক্টোরিয়া, ৪-০ গোলে এ্যাজাক্স, ৭-২ গোলে সাধারণ বীমা এবং ৮-০ গোলে ওয়ারী ক্লাবকে। এটা তাদের টানা পঞ্চম জয়। এদিকে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব বনাম পুলিশ এসসি। এই ম্যাচে চরম বিশৃঙ্খলা হয়। বিকেল ৫টায় ম্যাচটি শুরু হলেও এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত সোয়া ৮টা) শেষ হয়নি। এর কারণ খেলায় দু’দলের খেলোয়াড়দের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত না মেনে খেলা বন্ধ করে দেয়া। প্রথম অর্ধে কোন দলই গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে গোল হওয়ার পর টেকনিক্যাল কারণে আম্পায়ার গোলটি বাতিল করলে একটি দল এর প্রতিবাদ জানায়। কিন্তু আম্পায়ার তার সিদ্ধান্তে অটল থাকলে ক্লাব কর্মকর্তাদের উস্কানিতে খেলোয়াড়রা খেলা থেকে বিরত থাকেন। বাইলজ অনুযায়ী এমন অবস্থায় ১০ মিনিট পর্যন্ত আম্পায়ার অপেক্ষা করবেন। এর মধ্যে খেলা শুরু না করলে প্রতিবাদকারী দলকে পরাজিত ঘোষণা করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার বিধান আছে। কিন্তু টার্ফে এদিন এই নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখানো হয়। এমনকি হকি ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের চেষ্টাতেও খেলা শুরু করা যায়নি। এতে করে ফেডারেশন যে ক্লাবগুলোর কাছে জিম্মি এবং ফেডারেশন যে দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থÑ পুরনো এই সত্য যেন আবারও নতুন করে প্রকাশ পেল। যেখানে সন্ধ্যা ৭টায় দিনের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা ছিল (বাংলাদেশ এসসি বনাম ভিক্টোরিয়া এসসি)। অথচ রাত সোয়া ৮টার সময়ও দ্বিতীয় ম্যাচ শেষই হয়নি। এরই নাম বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন, যাকে অনেকেই ব্যঙ্গ করেন ডাকেন বাংলাদেশ ‘হাঙ্গামা’ ফেডারেশন।
×