ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বীমার আওতায় আছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ১৩ মে ২০১৮

বীমার আওতায় আছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কয়েক দফায় সময় পিছিয়ে শেষ পর্যন্ত শুক্রবার দিবাগত রাতে উৎক্ষেপণ করা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ বীমার আওতায় রয়েছে। ফলে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে আর্থিক লোকসানে পড়তে হবে না বাংলাদেশকে। বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম একথা জানান। তিনি বলেন, ‘স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ একটি বড় আয়োজন, এখানে অনেক ধরনের ঝুঁকি থাকেই। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট বীমার আওতায় রয়েছে। উৎক্ষেপণসহ সার্বিক দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ফ্রান্সের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান থ্যালেস এ্যালেনিয়া স্পেসকে। কোন দুর্ঘটনা যদি ঘটেও আর্থিক বিষয়গুলোর দায়িত্ব নেবে থ্যালেস এ্যালেনিয়া স্পেস। আমাদের কোন আর্থিক ক্ষতি হবে না, বাড়তি টাকা খরচ হবে না। শুধু আবারও প্রস্তুতি নিতে যে সময় নষ্ট হবে, সেটিই আমাদের ক্ষতি।’ তিনি জানান, থ্যালেস এ্যালেনিয়ার দায়িত্বের মধ্যে বীমার বিষয়টিও রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ২০১৭ সালের নবেম্বরে উৎক্ষেপণের পরপরই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রাশিয়ার আবহাওয়া স্যাটেলাইট ‘মিটিওর-এম’। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে গাওফেন-১০ নামের একটি স্যাটেলাইটকে এর নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রবেশ করাতে ব্যর্থ হয় চীন। ২০১০ সালের জুনে স্যাটেলাইট নিয়ে উৎক্ষেপণ করা দক্ষিণ কোরিয়ার একটি রকেট বিস্ফোরিত হয়। উৎক্ষেপণের দুই মিনিট ১৭ সেকেন্ড পর ভূ-কেন্দ্র থেকে এটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের জন্য বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। তবে খরচ হয়েছে ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। এ অর্থের মধ্যে এক হাজার ৩১৫ কোটি টাকা বাংলাদেশের নিজস্ব তহবিল। এইচএসবিসি ব্যাংক বাকি এক হাজার ৬৫২ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মূলত একটি কমিউনিকেশন ও ব্রডকাস্টিং স্যাটেলাইট। বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের তথ্যমতে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে ডিটিএইচ (ডাইরেক্ট টু হোম), ভিডিও সম্প্রচার, ভি-স্যাট নেটওয়ার্ক, ব্রডব্যান্ড, কমিউনিকেশন ট্র্যাংক সেবা দেয়া যাবে।
×