ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচী বন্ধ করলে অর্থনীতি পুনর্গঠনে সহায়তা

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১৩ মে ২০১৮

পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচী বন্ধ করলে অর্থনীতি পুনর্গঠনে সহায়তা

উত্তর কোরিয়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে রাজি হলে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির অর্থনীতি পুনর্গঠনে সহায়তা করতে রাজি আছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। মাইক শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের দক্ষিণ কোরীয় বন্ধুদের মতো সমৃদ্ধি অর্জন করতে চাইলে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করতে প্রস্তুত আছে।’ খবর বিবিসির। পম্পেও সম্প্রতি পিয়ংইয়ং থেকে ফিরে সাংবাদিকদের জানান, উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে তার ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনা হয়েছে। কিম ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগামী ১২ জুন সিঙ্গাপুরে বৈঠক করবেন। গত এপ্রিলে উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ঐতিহাসিক বৈঠকের পর অতীতে বাগ্যুদ্ধে লিপ্ত এই দুই নেতা পরমাণু ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে সম্মত হয়েছেন। শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাং কুইয়াং-ওয়ার সঙ্গে ওয়াশিংটনের আলোচনার পর তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট কিম সঠিক পথ বেছে নিলে শান্তি ফিরে আসবে এবং উত্তর কোরিয়ীয় জনগণের জন্যও তখন কল্যাণকর হবে।’ দেশকে পরমাণু অস্ত্র মুক্তকরণে পিয়াংইয়াংকে শীঘ্রই জোরালো পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পম্পে। তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশকে বিষয়টি ‘ভাল করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা’ করে দেখতে হবে বলেও জানান। চলতি সপ্তাহে পম্পেওর উত্তর কোরিয়া সফরকালে তিন মার্কিন কয়েদীকে মুক্ত করে দেয় পিয়ংইয়ং। ১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর মার্কিন মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া পুঁজিবাদী অর্থনীতি গ্রহণ করে। দেশটি এশিয়ার অনেক দেশ থেকে আর্থ-সমাজিক দিক থেকে বর্তমানে এগিয়ে রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বের উন্নত অর্থনীতির ২০ দেশের একটি, যার জিডিপি ১.৪ ট্রিলিয়ন এবং উত্তর কোরিয়ার জিডিপি ২০ বিলিয়নেরও কম। দেশটি অর্থনৈতিকভাবে উন্নত এক শ’ দেশের বাইরে অবস্থান করছে। কোরিয়ায় কমিউনিস্ট পদ্ধতি চালু থাকলেও সম্প্রতি পুঁজিবাদী অর্থনীতির অনুপ্রবেশ ঘটছে। উত্তর কোরিয়ার অধিকাংশ লোক দরিদ্র। এখানে যার টাকা আছে, কেবল তারাই কিছু কিনে খেতে পারে। তবে কিম জং উন বর্তমানে দেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করছেন।
×