ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ১৩ মে ২০১৮

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ দেশবাসী এবং বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট নির্মাণ ও উৎক্ষেপণ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি শনিবার এক বার্তায় বলেন, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য হওয়ার মাধ্যমে আজ থেকে বাংলাদেশ ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল যাত্রা শুরু করল। খবর বাসস’র। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা এবং বাংলাদেশের জন্য এটি আনন্দ ও গর্বের বিষয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ দেশকে বৈশ্বিক ক্ষেত্রে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সম্প্রচার ও টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। এখন আমরা এসব খাতে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করব।’ রাষ্ট্রপতি আগামী দিনগুলোতে এই উদ্যোগের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। এর আগে রাষ্ট্রপতি আজ বঙ্গভবনে টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচারিত দেশের বহুল-প্রতীক্ষিত প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ মুহূর্ত প্রত্যক্ষ করেন। প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা ॥ বিশেষ সংবাদদাতা জানান, বাংলাদেশের প্রথম যোগাযোগ উপগ্রহ সফলভাবে মহাকাশে পাঠানোর জন্য দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অব্যাহত অগ্রগতির পথে এটি একটি নতুন মাইলফলক যোগ করবে। সফলভাবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর এক টেলিভিশন বার্তায় তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশের পতাকা মহাকাশে উড্ডয়ন করায় বাংলাদেশ স্যাটেলাইন ক্লাবের গর্বিত সদস্য হিসেবে নতুন যুগে প্রবেশ করেছে।’ ফ্রান্সের থালেস এলেনিয়া স্পেস কোম্পানির তৈরি ৩ দশমিক ৭ মেট্রিক টন ভরের বঙ্গবন্ধু-১ যোগাযোগ স্যাটেলাইন স্পেসএক্স-এর ফ্যালকন-৯ রকেটের মাধ্যমে ফ্লোরিডার কেনাভেরাল উৎক্ষেপণ মঞ্চ থেকে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত ২টা ১৪ মিনিটে কক্ষপথের দিকে যাত্রা শুরু করে। শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন যে, এই নতুন স্যাটেলাইট বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, ফিলিপিন্স, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, তাজাকিস্তান ও কাজাখস্তানসহ গোটা অঞ্চলের যোগাযোগ সুবিধা দিতে সক্ষম হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে একটি মর্যাদাপূর্ণ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছিলেন যে, বহিঃবিশ্বের সঙ্গে যথাযথ যোগাযোগ বজায় রাখা ছাড়া দেশকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে না। এ জন্যই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মধ্যে ১৯৭৪ সালে রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় দেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করেছিলেন। এ ধরনের উদ্যোগ তথ্য ও ডাটা বিনিময়ের মাধ্যমে বহিঃবিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে বাংলাদেশের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে।
×