ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে ফসলি জমির মাটি লুটের হিড়িক

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ১৩ মে ২০১৮

মুন্সীগঞ্জে ফসলি জমির মাটি লুটের হিড়িক

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার ইমামচর মৌজার সুধারচরে মাটি লুটের হিড়িক চলছে। ইছামতি নদীর পাড়ে চলছে সরকারী ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ফসলি জমি কেটে নিয়ে যাওয়ার। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রায় দুই থেকে আড়াইশ’ শ্রমিক দিয়ে মাটি কেটে ধর্মগঞ্জের জাজিরা ইটভাঁটি মাটি বিক্রি করছে বলে শ্রমিকরা জানিয়েছেন। মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত স্থানীয় সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ বাধাও দিতে পারছে না। মাটি লুটের কারণে নদীর ধারের বৈদ্যুতিক পুলগুলোও হুমকি মুখে পড়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভোর ৪টার দিকে ধর্মগঞ্জের জাজিরা এলাকার শত শত শ্রমিক সুধারচর এলাকার সরকারী ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ফসলি জমি কাটা শুরু করে। লোক সমাগম হওয়ার আগেই সকাল ৮টার দিকে তারা ট্রলারে ভরে মাটি নিয়ে চলে যায়। ট্রলার প্রতি ইটভাঁটির মালিকের কাছ থেকে মাটি লুটেরারা পায় ১২-১৫ হাজার টাকা। প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকার মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। এলাকার চুন্নু, মনির, সুমন, সোহাগ, শাহজাহান, পাবেল, কামাল মৃধা, আল-আমিন ও শামীম এই মাটি বিক্রি কাজের সঙ্গে জড়িত। ইটভাঁটির লেবার সর্দার কাইয়ুম জানান, এই জমি সরকারী না ব্যক্তি মালিকানাধীন তা তাদের জানা নেই। তারা মেয়রের লোকজনের কাছ থেকে মাটি কিনে নিচ্ছেন। জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা জানিয়েছেন, খবর পেয়ে সদর এসি ল্যান্ডকে পাঠানো হয়েছে। সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুনতাসির জাহান জানিয়েছেন, বেলা ১১টার দিকে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার প্রমাণ মিলেছে। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না। স্থানীয়রা জানিয়েছে, মাটি লুটেরারা মেয়রের লোক। তিনি আরও জানান, যারা সরকারী স্বার্থে ব্যাঘাত ঘটাবে তাদের ছাড় দেয়া হবে না। মিরকাদিম পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহীন জানান, আমার জীবনেও এগুলোর সঙ্গে জড়িত হইনি। এটা আমার জন্য লজ্জা ও কষ্টের।
×