ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে বাস ও লেগুনার সংঘর্ষে তিনজন নিহত

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ১২ মে ২০১৮

রাজধানীতে বাস ও লেগুনার সংঘর্ষে তিনজন নিহত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর মিরপুর গোড়ান বেড়িবাঁধ এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় ৮ যাত্রী আহত হয়েছে। এদিকে পুরান ঢাকার জুরাইনে একটি বাসার ছাদে কবুতরের ঘর বানাতে গিয়ে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, রাজধানীর মিরপুরে গোড়ান চটবাড়ি বেড়িবাঁধ এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস ও যাত্রীবাহী লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ৮ জন আহত হয়েছেন। নিহতরা হচ্ছেন, মানারাত ইউনিভার্সিটির ছাত্র ইয়াছিন আহমেদ শুভ (২৪), শিবলি সাদিক শুভ্র (২৭) ও ৮ বছরের এক মেয়ে শিশু। তার নাম ও পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হচ্ছেন, আব্দুল মালেক (৩৭), নাজমা বেগম (৩৬) ও আরিফা (২)। তাদের ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত নাজমার স্বামী জানান, দুপুরে তারা মিরপুরের শাহ আলী থানাধীন তামান্না শূটিং পার্কের সামনে থেকে লেগুনাযোগে দিয়াবাড়ির জহুরাবাদে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসে। এখন তারা ২০৪ নাম্বার ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। আহত অপরজন আব্দুল মালেককে ঢামেক থেকে ধানম-ির কিডনি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। শাহ আলী থানার এসআই সিরাজুল ইসলাম জানান, শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে কোনাবাড়ি পরিবহনের একটি বাস চটবাড়ি এলাকায় লেগুনাকে চাপা দেয়। এ সময় লেগুনার তিন যাত্রী নিহত হয়। এতে প্রায় ৮ যাত্রী আহত হয়েছে। নিহত ও আহতের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। নিহতের মধ্যে দু’জনের পরিচয় জানা গেছে। শিশুটি পরিচয় উদ্ধার সম্ভব হয়নি। শনাক্তের চেষ্টা চলছে। নিহতদের মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের জরুরী বিভাগে রাখা হয়েছে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ মোর্শেদুল ইসলাম বলেন, বেলা দু’টার দিকে সাতজন আহত ব্যক্তিকে জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন তাদের স্বজনরা। তাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এদিকে একইদিন সকালে উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরে বাসের ধাক্কায় নারায়ণ সাহা (৪৫) নামে এক বেসরকারী কোম্পানির এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। নিহতের বাবার নাম মৃত রমেশ সাহা। গ্রামের বাড়ি কুমিলা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার বেগমবাগ গ্রামে। তিনি পরিবার নিয়ে উত্তরখান ফায়দাবাদ চৌরাস্তা এলাকায় থাকতেন। তিনি উর্মি গ্রুপের এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নিহতের ছেলে পার্থ সাহা জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার ছোট ভাই প্রান্তকে নিয়ে রিক্সাযোগে শহীদ ক্যাডেট স্কুলে যাচ্ছিলেন বাবা নারায়ণ সাহা। পথিমধ্যে উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টর পলওয়েল মার্কেটের সামনে সাকুরা পরিবহনের একটি বাস তাদের বহনকারী রিক্সাকে ধাক্কা দেয়। এতে বাবা রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। ছোটভাই প্রান্ত সামান্য আহত হয়। পরে স্থানীয়রা বাবা নারায়ণকে উদ্ধার করে উত্তরার বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে সেখানে থেকে বাবাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তার মৃত্যু হয়। অপরদিকে এদিন দুপুর ১২টার দিকে কদমতলী জুরাইন মুরাদপুর হাইস্কুলের রোডের ৩০৯/১ নম্বর বাসার ছাদে কবুতরের ঘর বানাচ্ছিলেন বাপ্পি (২৫) নামে এক যুবক। এ সময় পাশের বিদ্যুতের তারের সঙ্গে সংস্পর্শে তিনি বিদ্যুতস্পৃষ্ট হন। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করা ঢামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিয়ে এলেও চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাপ্পির মামাত ভাই রাব্বি জানান, ওই বাসার নিচ তলায় ভাড়া থাকত বাপ্পি। জুরাইনে একটি লেদ মেশিন কারখানায় কাজ করত। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, বিকেলে তার লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে।
×