ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজবাড়ীতে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এখন যানবাহন মেরামতের গ্যারেজ

প্রকাশিত: ০৪:৫৯, ১২ মে ২০১৮

রাজবাড়ীতে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এখন যানবাহন মেরামতের গ্যারেজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যাত্রীদের সুবিধার জন্য ২৫ বছর আগে রাজবাড়ীতে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল তৈরি হলেও সেখানে নেই যানবাহনের কোন কার্যক্রম। বর্তমানে সেটি যানবাহন মেরামতের একটি গ্যারেজে পরিণত হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণ না করায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে টার্মিনালটি। এর বিভিন্ন স্থানে চলছে যানবাহন মেরামতের কাজ। যেখানে সেখানে পড়ে রয়েছে ময়লা আবর্জনা। টার্মিনালের মূলভবনের এক পাশের নিচে যাত্রীদের বসার স্থান থাকলেও তার অবস্থা নাজুক। ব্যবহৃত হয় না ভবনের কোন রুম। দু’একটি রুম ব্যবহৃত হলেও সেগুলো হয় যানবাহন মেরামতের যন্ত্রপাতি রাখার স্থান হিসেবে। নেই পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থাও। ১৯৯৩ সালে পৌনে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে রাজবাড়ীর শ্রীপুরে নির্মাণ করা হয় রাজবাড়ী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি। কিন্তু দীর্ঘ ২৫ বছর অতিবাহিত হলেও এখনও চালু হয়নি সেটি। আর এজন্য একে অপরকে দুষছেন বাস মালিক গ্রুপ ও রাজবাড়ী পৌরসভা। ফলে জেলা শহরের বড়পুল ও নতুন বাজার মুরগির ফার্ম এখন অলিখিত বাস টার্মিনালে পরিণত হয়েছে। যার কারণে যাত্রীরা বাধ্য হয়েই ওইসব স্থান থেকে বাসে ওঠানামা করছেন। রাজবাড়ী সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ বলেন, রাজবাড়ী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি অরক্ষিত হয়ে গেছে। এটি সংস্কারের জন্য অনেকবার পৌর মেয়রকে সংগঠনের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়েছেন। জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হাসান মৃধা বলেন, পৌর মেয়র ইজারা দিলে তারা ১৫ লাখ টাকা দিয়ে ইজারা নেন কিন্তু এর কোন সংস্কার নেই। পৌরসভা ঠিকই তার প্রাপ্য নিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু টার্মিনালটি ব্যবহারের উপযোগী করে দিচ্ছে না। টার্মিনালটি ভাল হলে অবশ্যই সেখানে বাস রেখে কার্যক্রম চালাবেন তারা। তবে রাজবাড়ীর পৌর মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, পরিবহন মালিকদের অসহযোগিতার কারণে রাজবাড়ী বাস টার্মিনালটি চালু করা যাচ্ছে না। টার্মিনালটি চালু করতে পৌরসভার আন্তরিকতার কোন কমতি নাই। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি কাজী কেরামত আলী বলেন, জেলা পরিষদ ১ কোটি ৭০ লাখ টাকার চুক্তিতে টার্মিনালটি পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করে, কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান না হওয়ায় তা এখনও চালু হয়নি। পৌরসভাও টার্মিনালটি চালু করার উদ্যোগ নেয়নি। জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করে টার্মিনালটি সংস্কার করে চালু করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
×