ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাতমাথার চারদিকে হবে দৃষ্টিনন্দন

সপ্তপদী মার্কেট ভেঙ্গে নির্মাণ হচ্ছে বহুতল আধুনিক শপিংমল

প্রকাশিত: ০৪:৫৮, ১২ মে ২০১৮

সপ্তপদী মার্কেট ভেঙ্গে নির্মাণ হচ্ছে বহুতল আধুনিক শপিংমল

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বগুড়ার ৫০ বছরের বেশি পুরনো পৌরসভার মালিকানাধীন সপ্তপদী মার্কেট ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় ভেঙ্গে আধুনিকায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। মার্কেটটির অবস্থান নগরীর কেন্দ্রস্থল সাতমাথায়। মার্কেটসহ সাতমাথার চারদিকে দৃষ্টিনন্দন করে তোলার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলার অবকাঠামো পরিত্যক্ত ঘোষণা কমিটির সভায় মার্কেটটি ব্যবহারের অনুপযোগীর কারণ তুলে ধরা হয়। সভায় মার্কেটটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে অত্যাধুনিক শপিংমল গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে পরিত্যক্ত ঘোষণা ও নির্মাণের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সপ্তপদী মার্কেটের স্থানে আগে ছিল বগুড়া মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুল। বাংলা স্কুল নামেই ছিল অধিক পরিচিতি ছিল। স্কুলটির ১শ’ ২৫ বছর পূর্তির পর ১৯৬৮ সালে সূত্রাপুরে স্থানান্তর হয়। এরপর ওই জায়গায় পৌরসভা গড়ে তোলে সুপরিসর তিন তলা মার্কেট। নামকরণ হয় সপ্তপদী মার্কেট। বর্তমানে তিন তলা এই মার্কেটের নিচ তলায় মোবাইল এক্সেসারিজ দোকান, ডিজিটাল স্টুডিও, কম্পিউটার কম্পোজ ও ফটো কপিয়ারের দোকান, মানি চেঞ্জার অফিস ও কনফেকশনারি। দোতলার অর্ধেক অগ্রণী ব্যাংকের শাখা ও আঞ্চলিক অফিস এবং বাকি অংশে মোবাইল, কম্পিউটারের দোকান। তিন তলায় ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর দোকান। মার্কেটটি ষাটের দশকে নির্মিত। নির্মাণ শৈলী বর্তমানের মতো আধুনিক, শক্তিশালী ও মজবুত নয়। যে কারণে মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় পৌরসভার পক্ষ থেকে মার্কেটটি পরিত্যক্ত ঘোষণার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়। এরপর জেলার অবকাঠামো পরিত্যক্ত ঘোষণার কমিটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে পৌরসভার সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হয়। তারপর গেল ৩০ এপ্রিল জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় বিষয়টি উত্থাপিত হয়। ওই সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সপ্তপদী মার্কেটকে পরিত্যক্ত ঘোষণার পর ভেঙ্গে অত্যাধুনিক বহুতল শপিংমল নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। যা হবে দৃষ্টিনন্দন। পৌর মেয়র মাহবুবর রহমান জানান, মন্ত্রণালয় ও ওপর মহল থেকে পরিত্যক্ত ঘোষণা এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার অনুমোদন পাওয়ার পর নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। নগরীর কেন্দ্রস্থলের সপ্তপদী শপিংমল এমনভাবে নির্মিত হবে যেখানে থাকবে সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা। যা হবে অত্যাধুনিক। সাতমাথার যানজট নিরসনে আন্ডার গ্রাউন্ডে গাড়ি পার্কিংয়ের সুপরিসর ব্যবস্থা থাকবে। বিনোদনের জন্য ওপরে থাকবে সিনে কমপ্লেক্স। জেলা প্রশাসক জানান, সাতমাথার আশপাশে যত অসামঞ্জস্য স্থাপনা আছে তা সরিয়ে নেয়া হবে। ফুটপাত চওড়া করা হবে। সাতমাথার বর্তমান অবস্থাকে পরিবর্তন করে দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলা হবে। ইতোমধ্যে সাতমাথার আশপাশ থেকে বিলবোর্ড অপসারিত হয়েছে। সপ্তপদী মার্কেট ভেঙ্গে আধুনিকায়ন ও নগরীর কেন্দ্রস্থলকে দৃষ্টিনন্দন করে তোলার সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী। উপস্থিত ছিলেন, উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার বিভাগ সুফিয়া নাজিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রায়হানা ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আলীমুল রাজীব, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ বাকি উল্লাহ, পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান, পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা, নগর পরিকল্পনাবিদ মেহেদী হাসান প্রমুখ।
×