ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকায় ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত গাড়ি ॥ শঙ্কিত নগরবাসী

প্রকাশিত: ০৪:৫৮, ১২ মে ২০১৮

ঢাকায় ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত  গাড়ি ॥ শঙ্কিত নগরবাসী

স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজধানীতে প্রতিদিন বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা, বাড়ছে যানজট। এতে শঙ্কিত নগরবাসী। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রাস্তার ধারণ ক্ষমতা বিবেচনা করে গাড়ি রাস্তায় নামানোর অনুমোদন দেয়া উচিত। পরিবহন মালিকরা বলছেন, শুধু ব্যক্তিগত যানবাহনই নয়-বাস, অটোরিক্সা এবং ট্যাক্সিক্যাবকেও সময়োপযোগী নীতিমালার আওতায় না আনলে বৈষম্য বাড়বে। রাস্তায় নেমে সময়মত ও নির্বিঘেœ গাড়ি ওঠার ভাগ্য হয় না রাজধানীর অনেক যাত্রীর। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অ্যাপস ভিত্তিক পরিবহনে আগ্রহ বাড়ে নগরবাসীর। ব্যক্তিগত পরিবহনগুলো ভাড়ায় চলার বৈধতা পায় মার্চ মাসে। অবশ্য, চলাচলের শুরু থেকেই প্রতিদিনই বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা। ঢাকা ট্যাক্সিক্যাব মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক বলেন, কেউ তো আর ট্যাক্সিক্যাব ফলো করবে না। মানুষ আরো সহজে এ্যাপসের মাধ্যমে কাজ সারতে পারবে। নীতিমালার ১১ টি শর্তের মধ্যে ঢাকা ও বাইরের নগরীতে অনুমোদন পাওয়া কোম্পানির সর্বনিম্ন গাড়ি সংখ্যা উল্লেখ থাকলেও নেই সর্বোচ্চ সীমা। যানজটের এ নগরীতে নিয়ন্ত্রণহীন পরিবহন সংখ্যা নিয়ে শঙ্কিত বিশেষজ্ঞরা। বিআরটিএ পরিচালক শেখ মাহবুবই রব্বানী বলেন, সবার সাথে আলাপ করেই আমরা সিদ্ধান্ত নিব। ঢাকা ও চট্টগ্রামে সিএনজি অটোরিক্সা ও ট্যাক্সিক্যাবের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেয়া হলেও নতুন অনুমোদিত পরিবহনের সর্বোচ্চ সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়নি। মালিকপক্ষের দাবি- এতে বৈষম্যের শিকার হবে পরিবহন দুটি। বর্তমানে চলাচলকারী পরিবহনগুলো যে ভাড়া নেয় তার চেয়ে নীতিমালায় সর্বনিম্ন ভাড়া বেশি ধরা হয়েছে। বিআরটিএর মতে, এতে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক প্রতিযোগিতা থাকলেও সীমা অতিক্রম করতে পারবে না কোম্পানিগুলো। বিআরটিএ, ট্রাফিক বিভাগ, নগর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়হীনতার ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে কেবল সংখ্যা বাড়িয়ে গণপরিবহনের সুফল পাওয়া সম্ভব নয় বলেও মনে করেন যাত্রী ও বিশেষজ্ঞরা। পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, কতগুলো কোম্পানি থাকবে, এটা সেখানে না দেয়া থাকলে তাহলে আরো সমস্যা বাড়বে।
×