ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সর্ববৃহৎ জলবিদ্যুত প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন আজ

পারস্পরিক আস্থা অর্জনে ফের নেপাল সফরে মোদি

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ১২ মে ২০১৮

পারস্পরিক আস্থা অর্জনে ফের নেপাল সফরে মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নেপালে পৌঁছেছেন। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির আমন্ত্রণে তিনি নেপালে গেলেন। শুক্রবার সকালে নেপালের জনকপুর বিমানবন্দরে গিয়ে পৌঁছানোর পর তাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। বিকেলে মোদি রাজধানী কাঠমান্ডুতে পৌঁছানোর পর সেখানে নেপালী সেনাবাহিনী তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এক টুইট বার্তায় মোদি বলেন, এই সফরে প্রতিবেশী দেশ নেপালের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রে প্রবেশের নতুন যুগে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জনে ভারতের বিশ্বস্ত বন্ধু নেপাল সরকার ‘সমৃদ্ধ নেপাল, সুখী নেপাল’ বাস্তবায়নে কাজ করে চলছে। নেপালে এটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় সফর। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর এই নিয়ে তিনি তিনবার নেপালে গেলেন। দুই দিনের এই সফরে মোদি দেশটির রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে এবং ভারতের বিনিয়োগকৃত প্রকল্পসমূহ ও দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা অর্জনের লক্ষ্যে বৈঠক করবেন। এএফপি, টাইমস অব ইন্ডিয়া ও তেহেলকা ডটকমের। মোদি শুক্রবার সফরে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জনকপুরের বিমানবন্দরে অবতরণ করেন ও পরে স্থানীয় একটি হিন্দু মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনায় অংশ নেন। বিশেজ্ঞদের ধারণা, নেপালে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ও নিজেদের প্রভাব বৃদ্ধি করতে নয়াদিল্লীর এই সফরের আয়োজন। ২০১৭ সালে চীন নেপালের সঙ্গে প্রায় সাড়ে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তির পরপরই ভারত নেপালের সঙ্গে ৩শ’ ১৭ মিলিয়ন ডলারের চুক্তির খসড়া প্রণয়ন করে। গত বছর মে’র শেষদিকে নেপাল চীনের সঙ্গে ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’-এ অন্তর্ভুক্ত হয়ে এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এক বিবৃতিতে মোদি জানিয়েছেন, তার সরকারের এই সফর ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতির ভিত্তিতে এবং এই সফরের মাধ্যমে ভারত ও বিশেষ করে আমার, পুরনো প্রতিবেশী বন্ধুর সঙ্গে সুসম্পর্ক আরও বেশি দৃঢ় হবে। দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে নির্মিত সর্ববৃহৎ অরুণ তৃতীয় জলবিদ্যুত প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারা ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয় বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারত এটি দেখাতে চয় যে, নেপালের উন্নয়নে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলমান জলবিদ্যুত প্রকল্পটি নেপালের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সুদূরপ্রসারী অবদান রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, হিমালয় ঘেরা দেশটির জলবিদ্যুত প্রকল্প করার মতো প্রচুর পানির যোগান থাকলেও এই বিদ্যুত প্রকল্পে দুই শতাংশেরও কম পানি ব্যবহার করা হচ্ছে। এদিকে, অনেক নেপালী ভারতের ‘বড় ভাই সুলভ’ আচরণে সন্দেহ পোষণ করেন। নেপালের বৃহত্তর বাণিজ্যিক অংশীদার ভারতকে নিজ দেশের উন্নয়নে সব সময় পাশে রাখতে চায় প্রধানমন্ত্রী শর্মা। নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়ে শর্মা গত এপ্রিলে নয়াদিল্লী সফর করেন।
×