ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

৭১তম আসরের সুর মি টু

প্রকাশিত: ০৭:৪৫, ১১ মে ২০১৮

৭১তম আসরের সুর মি টু

৮ মে ১৯১৮ থেকে ফ্রান্সের কান শহরে শুরু হয়েছে চলচ্চিত্র উৎসবের ৭১তম আসর। ১২ দিনব্যাপী চলতে থাকা এই মহৎ আয়োজনের মূল সুরটি ঝঙ্কৃত হয়েছে বৈষম্যপীড়িত সমাজের হরেক রকম লড়াই আর বঞ্চনার করুণ আখ্যানে নির্মিত চলচ্চিত্রের কাহিনী সম্ভারকে কেন্দ্র করে। বৈষম্য শুধু মানুষে মানুষে নয় লিঙ্গ সমতা, বর্ণবাদ আরও সঙ্কীর্ণভাবে সক্ষমতা-অক্ষমতা ব্যাপারটিও নিবিড়ভাবে জড়িত। বলা হচ্ছে এই চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা এমন এক সময় শুরু হয়েছে যখন দুনিয়াজুড়ে চলছে যৌন নির্যাতন আর হয়রানি প্রতিরোধে আন্দোলন-প্রতিবাদ। যাকে প্রতীকী অর্থে ‘মি-টু’ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। অন্যদিকে বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভ বিশ্বব্যাপী ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা পাচ্ছে। সবাই একযোগে সোচ্চার হচ্ছে বর্ণবৈষম্য থেকে শুরু করে সব ধরনের অসমতাকে বড় পর্দায় উপস্থাপন করে জনগণের দ্বারে পৌঁছে দেয়াই শুধু নয় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াইকেও তীব্রভাবে জাগিয়ে তোলা। বিভাজিত সমাজের অনেক রকম বিরোধ-দ্বন্দ্বের মধ্যে নারী-পুরুষের ফারাক একটি চিহ্নিত এবং প্রবলভাবে উৎকণ্ঠিত পর্যায়। ফলে অস্কারের পর দ্বিতীয় বৃহত্তর চলচ্চিত্র পুরস্কার কানে বর্তমান সময়ের এসব বিক্ষুব্ধ আর উদ্বেগজনক অবস্থার কতখানি আঁচ লাগে সেটাই এই মুহূর্তে দেখার বিষয়। কানের এতদিন ধরে চলে আসা পুরুষ আধিপত্য যা বিভিন্ন গল্পের চালচিত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে দৃশ্যমান তারই বা কতখানি গুরুত্ব পাবে সেটাও ৭১তম চলচ্চিত্র উৎসবের অন্যতম নির্ণায়ক হিসেবে সামনে চলে আসতে পারে। নারী-পুরুষের সমতার বিচারে নতুন কোন বিষয় সেটা হয়তবা সংগ্রামী নারীদের বিপন্ন জীবনের নিমর্ম চিত্র ও উৎসবের মাত্রাকে ভিন্ন খাতে বইয়ে দিতে পারে। এদিকে ২০১৮ সালেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গোটা ফ্রান্সে ঘটে যাওয়া সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সুবর্ণজয়ন্তী। বিশ্ব পরিসরের হরেক রকম ঘটনা-দুর্ঘটনার প্রভাব পড়তে পারে এই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। সব মিলিয়ে এই বিরাট আয়োজনের লক্ষ্য, বৈশিষ্ট্য এবং আঙ্গিকের ওপর বিশেষজ্ঞদের সজাগ পর্যবেক্ষণ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিবেকতাড়িত মানুষের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার গল্পও থাকছে এই স্মরণীয় উৎসবে। তরুণ প্রজন্মের জন্য নির্মিত কৌতুক ছবিও উৎসবে তার বার্তা নিয়ে হাজির হচ্ছে। নারীদের সংগ্রামী ইতিবৃত্ত নিয়ে থাকছে জ্যাক স্কটের ‘দ্য বার্নিং উইমেন।’ এর সূত্র ধরেই বলা যায়Ñ কান চলচ্চিত্র উৎসব নারী লড়াইয়ের অন্যতম বাহন হতে পারত যেখানে সংগ্রামী নারীরা তাদের গল্পের বিষয়বস্তু নির্মাণে আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক যুদ্ধে নিজেদের নিরন্তর প্রতিরক্ষা করে যাচ্ছে। তেমনই একটি গল্প যা এই চলচ্চিত্রের উৎসবে নিজের জায়গা করে নেয়। ‘সূর্যের গার্লস’ মেয়েদের প্রতিনিয়ত সংগ্রামী অভিযাত্রার গল্প যা সিনেমার মর্মমূলে চরম বিচ্ছিন্নতার অবশেষকে দর্শনার্থীর সামনে নিয়ে আসে। সঙ্গে লিঙ্গ এবং ক্ষমতার ভারসাম্যতাকে ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার বিশ্লেষণ করে কাহিনীর গতি নির্ণয় করা হয়। এই পর্যায়ক্রমিক সংগ্রামী অভিগমন দর্শকদের শিহরিত করার তীব্র অনুভূতির সঞ্চার করে। ছবির নির্মাতা ইভা হোসেন এ সম্পর্কে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তার মতে ঐতিহাসিক ক্রমবিবর্তনের ধারায় সংগ্রামী এসব গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো নারীদের লড়াই-বিদ্রোহের অন্যতম পর্যায় যা তাদের বদ্ধ অবেষ্টনী থেকে মুক্ত করে আনবে। এমন উদাহরণ কাল থেকে কালান্তরে নারী সমাজের পথনির্দেশনা হয়ে থাকার কথা। কিন্তু অবাক-বিস্ময়ে এই নারী নির্মাতা আক্ষেপ করে বলেনÑ চলচ্চিত্রে এসব বাস্তবোচিত দৃষ্টান্ত কোনভাবে কেন আসে না? কান চলচ্চিত্র উৎসবের মতো বৃহদাকার অনুষ্ঠানে এই ধরনের নির্মিত চিত্র যেখানে সর্বাধিক গুরুত্ব পাওয়ার কথা সেখানে যথাযোগ্য মর্যাদা না পাওয়ায় গেল বছর মিস হুসনের ভীষণ কষ্ট হয়েছিল। ‘দ্য গার্লস অফ দ্য সান’ সাবেক আইনজীবী গোলশিফত্ফ ফারহানী এক সময় চরমপন্থী দ্বারা নির্যাতিত হয়ে দাসত্ব থেকে নিজেকে মুক্ত করার পর কুর্দিস্থানে নারীদের একটি ব্যাটালিয়নে যোগ দেয়। সেখানে নিজের ক্ষমতা এবং যোগ্যতার মাপকাঠিতে এক সময়ে নেতৃত্বের আসনেও চলে আসেন। ফলে কমান্ডার হয়ে ওঠা এই আইনবিদ একজন যুদ্ধ প্রতিবেদক হিসেবে তার সংগ্রামী অভিজ্ঞতার আলোকে গল্পের পুরো বিষয়বস্তুতে ঐতিহ্যবাহী দৃষ্টিভঙ্গিতে নতুন ধারার ভাব সম্পদ সংযুক্ত করায় বিবর্তনবাদী চেতনার পরিস্ফুটন ঘটান। ফলে নতুন করে যুদ্ধের পরিস্থিতিকে সময়ের বলয়ে বিন্যাস করায় তা উৎসবের পরিচালকের (থিয়েরি ফ্রোমোক্সের) ‘ব্ল্যাক প্যাথার’-এর সঙ্গে আলোচনায় এসেছিল। মিস হুসেনের মতে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় অনেক নারী মারাত্মক বিপজ্জনক অবস্থায় কোনমতে টিকে আছে যদিও তারা লড়াই করার জন্য উপযুক্ত এবং সময়ে তা প্রমাণও করতে পারে। কান চলচ্চিত্র উৎসবে উপস্থাপন করা ছবিগুলো সত্যিকার অর্থে জোরালো, বাস্তবসম্মত এবং অনেকটাই তাদের দৃঢ় করার জন্য প্রেরণাদায়ক। যদিও নারীরা সেভাবে বলতে পারে না। ১৯৭৩ সালের চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতায় মিসেস ইভা তিনটি ছবির মহিলা পরিচালকের একজন ছিলেন। অতীতে হয়ে যাওয়া এই আয়োজনটি হুসনের ছবির বিষয়বস্তু লিঙ্গ ভারসাম্যের জন্য বিশেষভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। শুধু তাই নয় বিশেষ জরুরী রাজনৈতিক লড়াইয়ে মূল বার্তারও নির্দেশক হতে পেরেছে। ২০১৮ সালের প্রতিযোগিতায় ইরানের জাফর পানাহির সর্বশেষ সিনেমাও উপস্থাপন করা হচ্ছে। ‘তিনটি মুখ’ নামে এই ছবিটির নির্মাতা পানাহিকে ইরানের সরকার সে দেশের সীমানায় আটকে রেখেছে। তিনি ‘রুশো’-এর পরিচালক কিরিল সেরেব্রেনিনিভের একজন রাশিয়ান প্রতিপক্ষ ছিলেন। এই কিরিল ১৯৮০ সালে রাশিয়ার রক ‘এন’ রোল সম্পর্কিত এক প্রতিযোগিতার ছবি। তিনি একজন নন্দিত নাট্যপরিচালক যাকে মস্কোতে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। এমনকি এই বছরের নিজস্ব ধারা থেকে উদ্ভূত নতুন রাজনৈতিক নাটক মঞ্চস্থ হয়। কেনিয়ার নাট্যকার ওয়ানুরি কাহিয়ুর জধভরশর (বন্ধু) নাটকটি নিজ দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কানের ইতিহাসে কেনিয়ার এই নির্বাচিত সিনেমাটি দুই যুবতীর রোমাঞ্চের ঘটনা বিধৃত করায় নিষিদ্ধ এবং অবৈধ হিসেবে নাকচ করা হয়। কাহিয়ুর মতো পরিচালকদের জন্য, কান নির্বাসিত চলচ্চিত্রগুলো একটি হোম হিসেবে কাজ করে। তবে সাধারণভাবে কান উৎসবটি সিনেমা শিল্পের জন্য উৎসর্গীকৃত এক স্বচ্ছ কাঁচ যেখানে রাজনৈতিকভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় কিংবা উল্টোটা। এটা একটি বৃহৎ মঞ্চ ছোট পর্দার জন্য। কান তার ঐতিহাসিক ঐতিহ্য অতিক্রম করে বহু চড়াই-উতরাইকে সামাল দিয়ে ৭০ বছরের পথাযাত্রায় ৭১তম স্বর্ণ অধ্যায়কে স্পর্শ করেছে। শুধু তাই নয় কান তার বিশ্ব সীমানায় জোটবদ্ধ সহমর্মিতার প্রভাব সংরক্ষণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। সময়ের দুর্বার মিছিলের সঙ্গে তাল মেলাতে নতুন নীতি, বিষয়বস্তু এবং আঙ্গিককেও বিশ্লেষণের মাত্রায় একীভূত করতে হয়। যেহেতু কানের কর্মপ্রক্রিয়া চলচ্চিত্রকেই ঘিরে আবর্তিত সেই বিবেচনায় নির্মাতা এবং অভিনেতারাও এর সঙ্গে নিরবচ্ছিন্নভাবে সংযুক্ত থাকে, সব মিলিয়ে এক মিশ্র অনুভব সবার মধ্যে কাজ করে যা এই ধরনের উৎসবকে উদ্দীপ্ত করার মাত্রায় পৌঁছে দেয়। শুধু তাই নয় অবিচ্ছিন্ন একাত্মতায় এক মহতী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনও করা হয়। উপস্থাপিত ছবিগুলো পরিচালনার জন্য প্রবাদপ্রতিম প্রযোজক এবং কিংবদন্তি শিল্পীদের সম্মিলিত যোগসাজশে উৎসবের আনন্দ যে মাত্রায় চলে আসে তা সত্যিই মোহনীয় এবং বিমুগ্ধ করারই মতো। নির্মাতা, শিল্পী এবং কলাকৌশলীদের নান্দনিক উপস্থাপনা পুরো উৎসবের এক পরিপূর্ণ সংযোজন যার সঙ্গে দর্শকের নিরন্তর একাত্মতা সার্বিক আয়োজন সফলতার শীর্ষে নিয়ে যায় সেটাও মহাড়ম্বরের অন্যতম পাওনা। বিভিন্ন সময়ে বিশ্ব পরিসরের খ্যাতিমান পরিচালকের নজরকাড়া ছবি কানের ঐতিহ্যিক ধারাবাহিকতায় সময়োপযোগী অভিযোজন। শুধু তাই নয় কানের আয়োজনের পালাক্রমে উৎসবের শিরোনাম নির্ধারণ যা সামগ্রিক বার্তাকে সবার সামনে নিয়ে আসে তাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে সাধারণ মানুষের জীবনবোধ, নির্মম সামাজিক অবয়ব, অত্যাচার, নিপীড়ন কিংবা বৈষম্যের মতো অনভিপ্রেত প্রত্যায়গুলোও সংবাদ মাধমের রসদের সমান্তরাল। উল্লেখ্য, পেনেলোপ ক্রুজও জাভিয়ার বারদেম উৎসবের উদ্বোধক শিরোনাম আসগর ফারহাদীর ‘সবাইকে জানেন’, যা মহৎ আয়োজনের মূল সারবত্তা। এমনতর প্রত্যাশিত মিলনমেলায় কান চলচ্চিত্রের আকর্ষণীয় যে আবেদন তুলে ধরে তা অপ্রতিরোধ্য গণমাধ্যমের অপরিমেয় শক্তি আর দৃষ্টি কাড়ার এক আকাক্সিক্ষত বিষয়। একটি নীতি নির্ধারণী সংবাদ সংগ্রহ সমস্ত উৎসবকে সমন্বয় করে লালগালিচার স্বচ্ছ কাঁচকে সাধারণ দর্শনার্থীদের মনোযোগ কেড়ে নেয়ার ভূমিকায় নামে। যা কোন চলচ্চিত্র নির্মাতা কিংবা অভিনেতার অগ্রিম নেতিবাচক পর্যালোচনায় পড়ে যাওযাটা অসম্ভব কিছু নয়। এমন সব তাত্ত্বিক এবং গভীর বোধের মধ্য দিয়েই কান চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন শুরু হয়। যাতে প্রত্যেক ছবির কুশীলবরা তাদের উপস্থাপনার অনুষঙ্গ হয়ে উৎসবের আমেজের সঙ্গে নিজেদের নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত করতে আগ্রহী হয়। তারা এই উৎসবের প্রত্যাশিত আবেদনে তাড়িতই হয় না আপন কর্ম পরিধি এবং শৈল্পিক সত্তা অনুভবের তাগিদও পায়, যা এই পুরো অনুষ্ঠানের মূল সুরকেই সবার কাছে পৌঁছে দেয়। আর সেভাবেই উৎসবে অংশ নেয়া বিজ্ঞ শিল্পী এবং পরিচালকরা ছবির প্রত্যাশিত আবেদন কতখানি উৎসবের উপযোগী হয়েছে তাও তারা সামাজিক গণমাধ্যমে নিজেদের একান্ত অভিব্যক্তি প্রকাশ করে। এমন মহতি উদ্যোগে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে আসতে পারাটাও একটি বিশেষ সুযোগ। বিভিন্ন চলচ্চিত্রের মূল বক্তব্যের মধ্যে ফারাক থাকলেও বিশ্বজুড়ে ভারসাম্যহীনতাকে নানা আঙ্গিকে তুলে ধরা হয়। এখানে নারী নির্মাতাদের ভূমিকা থাকে হাতেগোনা। সারা বিশ্বে নারীর অসাম্য-বৈষম্য এবং নিপীড়ন-নির্যাতনকে ছবির বিষয়বস্তু নির্ধারণ করে খুব কম সংখ্যক নারী প্রতিযোগী এই সমাবেশের অংশীদার হয়। অল্প কয়েক নারী নির্মাতার পারস্পরিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা এমনকি সামাজিক প্রচার মাধ্যমে তাদের আলাপচারিতায় নারী বিষয়ক সংশ্লিষ্ট ব্যাপারগুলো বিশেষভাবে স্থান পায়। প্রতিযোগী নারীরা আশা করে কান চলচ্চিত্র উৎসব একটি পরিবর্তিত বিশ্ব উপহার দিয়ে জগতবিস্তৃত অসম অধিকারের মাত্রার কিছুটা হলেও ভারসাম্য এনে দিতে পারে। সেটা শুধু লিঙ্গ বৈষম্যই নয় তার চেয়েও বেশি বর্ণবাদ, জাতিভেদ কিংবা উচ্চ আর নিম্নবিত্তের লড়াকু অভিযাত্রাও হতে পারে। যার একটা সুষ্ঠু সমন্বিত নির্দেশনা উপস্থাপিত চলচ্চিত্রেই শুধু নয় এই বিরাট সমাবেশের মধ্যে থেকেও এই রকম প্রত্যাশিত বার্তা আসা বাঞ্ছনীয় এবং সময়ের দাবি। পৃথিবীব্যাপী জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবও এই সম্মেলনের বিষয়ীভূত হতে পারে। যার নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বের তাবত জনগোষ্ঠী আক্রান্ত এবং বিপর্যস্ত। পৃথিবীকে সব দেশের, সব মানুষের বাসযোগ্য করার অঙ্গীকার এই উৎসব থেকে আসা অত্যন্ত জরুরী। যা বিভিন্ন ছবির সারমর্মেও জায়গা করে নিয়েছে। সম্প্রতি আলোড়িত ঘটনা-দুর্ঘটনা নানা আঙ্গিকে সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় হওয়া বিশেষ দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে যা এত বড় সামাজিক-সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য হলে বিশ্বের প্রতিটি মানুষের জীবন ও সম্পদ নিরাপদ এবং নির্বিঘœ হবে। নারী নির্মাতা কম হলেও ছবির বিচারকম-লীর আসনে এবার নারীদের সংখ্যা অর্ধেকের বেশি। নয়জন বিচারকের মধ্যে পাঁচজনই নারী। যার শীর্ষে আছেন হলিউড অভিনেত্রী কেট ব্ল্যানবেট। আরও আছেন অভিনেত্রী ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট। সূত্র : দ্য নিউইয়র্ক টাইমস
×