ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

অভিমত বিসিবির প্রধান নির্বাহীর, পরবর্তীতে বর্ধিত আকারে সিরিজ হওয়ার সম্ভাবনা

‘অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ বাতিল দুঃখজনক’

প্রকাশিত: ০৬:৪৯, ১১ মে ২০১৮

‘অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ বাতিল দুঃখজনক’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগেই গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল আইসিসির এফটিপি অনুসারে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ দলের সফর নাও হতে পারে। সেটা নিশ্চিত হয়েছে আগের দিনই। এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন দাবি করলেন যে কারণে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) সিরিজ বাতিল করেছে সেটা দুঃখজনক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। তবে তিনি জানিয়েছেন আগামী বছরের পরিকল্পনার এই সিরিজ আরও বর্ধিত আকারে রাখার পরিকল্পনা করছে সিএ। এফটিপি অনুসারে চলতি বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরে ২ টেস্ট ও ৩ ওয়ানডের সিরিজ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের। কিন্তু ওই সময়টাতে বেশ কিছু ভেন্যু প্রস্তুত না থাকা, সম্প্রচার স্বত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা এবং বাণিজ্যিকভাবে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকায় অবশেষে তা আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করেছে সিএ। এ বিষয়ে বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক। তারা তাদের দিক থেকে দেখছে, বাণিজ্যকভাবে কতটা উপযোগী হবে এটা তারা হিসেব করছে, এটা অবশ্যই দুঃখজনক। আমরা বিভিন্ন সময় যেসব সিরিজ করি সব সিরিজই যে লাভজনক হয় তেমন না। অনেক দেশকে হোস্ট করতে হয়। আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে গিয়ে অনেক দেশকে হোস্ট করতে হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে খুব একটা লাভজনক থাকি না। তো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড যদি এটা মানিয়ে নিতে পারে আমরা আশা করব যে, বড় বড় ক্রিকেট বোর্ডও এটা করবে।’ আসন্ন সিরিজ এই বছরের জন্য বাতিল করলেও এখন পর্যন্ত নতুন করে সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে কিছু জানায়নি সিএ। এ বিষয়ে নিজামউদ্দিন বলেন, ‘আমরা এখনও কোন আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাইনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার। এফটিপির কমিটমেন্ট যেটা হয় সদস্য দেশগুলো বসেই করে। আমাদের ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে যে সময় নির্ধারিত ছিল এই সিরিজের জন্য সে সময় তাদের বেশ কিছু জায়গায় ক্রিকেট খেলা সম্ভব না। যেসব জায়গায় সম্ভব সেখানে খুব খরুচে হয়ে যায়। এটার ভিত্তিতে আমরা অফার করেছিলাম এটা ছোট করে নিয়ে আসা যায় কিনা। আর কোন উত্তর আমরা পাইনি। বিভিন্ন সময় যে কথা হয়েছে সুযোগ খুবই কম। একই সঙ্গে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া যেটা জানিয়েছে, পরবর্তী যে এফটিপি করবে সেখানে বাড়তি কিছু ম্যাচ রেখে এটা কোনভাবে পুষিয়ে দেয়া যায় কিনা। ২০১৯ সালের এফটিপি নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কাজ করছে, সেটা প্রক্রিয়াধীন।’ এর আগেও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফর বাতিল করেছিল ২০১৫ সালে নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে। তবে গত বছর সেই সফরটি করে তারা। এছাড়া ২০১৬ সালের অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপেও তারা দল পাঠায়নি বাংলাদেশে। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বিসিবির সম্পর্ক কতখানি জোরালো? এ বিষয়ে নিজামউদ্দিন বলেন, ‘ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া নানা সময়ে আমাদের সহযোগিতা করেছে। আমরা টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পরে আমাদের সঙ্গে ওদের দ্বিপাক্ষিক প্রতিশ্রুতি ছিল। আম্পায়ার এডুকেশন, প্লেয়ার এডুকেশন এইগুলাতে তারা আমাদের সহযোগিতা করেছে। তারা এবারও বলেছে, আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক যেটা আছে সেটা থাকবে, আগামীতে তা আরও উন্নত হবে।’
×