ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জিজ্ঞাসাবাদে নির্যাতনমূলক নীতিতে সায় নেই সিআইএ’র পরবর্তী প্রধানের

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ১১ মে ২০১৮

জিজ্ঞাসাবাদে নির্যাতনমূলক নীতিতে সায় নেই সিআইএ’র পরবর্তী প্রধানের

মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিনা হাসপেল বুধবার জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্দেশ দিলেও গোয়েন্দা সংস্থার নির্যাতনমূলক কার্যক্রম পুনরায় তিনি চালু করবেন না। তবে ৯/১১ হামলার পর জিনা গোয়েন্দা সংস্থার এরূপ নির্যাতনমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলেও এর জন্য কোন দুঃখ প্রকাশ করবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। এএফপি ও আল-জাজিরা। সিআইএর জন্য ট্রাম্পের মনোনীত এই নারী জানান, গোয়েন্দা সংস্থা নির্যাতনমূলক এ ধরনের কোন কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত হবে না। জিনা স্রেফ জানিয়ে দিযেছেন, সিআইএ প্রধান হিসেবে তিনি ভবিষ্যতে এ ধরনের পদ্ধতি চালু রেখে অপরাধীদের জিজ্ঞাসাবাদে কাজে লাগাবেন না। সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমার নেতৃত্বে সিআইএ এই ভয়ঙ্কর পদ্ধতি ও জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রম পুনরায় চালু রাখবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘৯/১১ এর পর আমার মতো আপনারা যারা কেন্দ্রে সন্ত্রাসবিরোধী কার্মকা-ে লিপ্ত ও সিআইএর হয়ে কাজ করছেন, তারা নিশ্চয়ই আমাদের কাজের আস্থাশীল।’ মাইক পম্পের জায়গায় ট্রাম্প সিআইয়ের প্রথম নারী পরিচালক হিসেবে জিনাকে পছন্দ করলেও তার মনোনয়ন নিয়ে অনেকেরই তীব্র আপত্তি আছে। ২০০২ সালের পর থাইল্যান্ডের একটি গোপন কারাগারে সন্দেহভাজন অপরাধীদের ওয়াটারবোর্ডিংয়ের মাধ্যমে নির্যাতনে তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ওয়াটারবোর্ডিং জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতিতে সন্দেহভাজনের মুখম-লে কাপড় পেঁচিয়ে তার ওপর ধারাবাহিকভাবে পানি ঢালা হয়। এতে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তির ডুবে যাওয়ার অনুভূতি হয়। সিনেটের গোয়েন্দা বিষয়ক কমিটির শুনানিতে সাবেক গুপ্তচর জিনা অবশ্য জোর দিয়ে বলেছেন, তার নেতৃত্বে সিআইএ সন্দেহভাজনদের গোপন আটক ও নির্যাতনমূলক জিজ্ঞাসাবাদ কর্মসূচী আর চালু করবে না। ‘এটা স্পষ্ট, ( গোপন) আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ কর্মসূচী চালু করার জন্য সিআইএ প্রস্তুত ছিল না। টালমাটাল ওই সময়ে আমি যেভাবে দায়িত্ব পালন করেছি, এখন আমি স্পষ্ট ও খুঁতখুঁতানি ছাড়াই ব্যক্তিগতভাবে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি- আমার নেতৃত্বে সিআইএ ওই ধরনের আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ কর্মসূচী ফের চালু করবে না,’ সিনেট সদস্যদের উদ্দেশে বলেছেন তিনি। সন্দেহভাজনদের ওয়াটারবোর্ডিং করার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাব দিতে রাজি হননি ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে গোয়েন্দা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা এ নারী।
×