ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যুগান্তকারী রায় ॥ প্রাণী হত্যা মামলায় ৬ মাস জেল

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ১১ মে ২০১৮

যুগান্তকারী রায় ॥ প্রাণী হত্যা মামলায় ৬ মাস জেল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুটি মা কুকুর ও ১৪টি কুকুর ছানাকে পিটিয়ে মাটি চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগে প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা আইনে রামপুরার বাগিচারটেক কল্যাণ সমিতির নিরাপত্তাকর্মী মোঃ ছিদ্দিককে (৪৫) ছয় মাসের সশ্রম কারাদ- দিয়েছে আদালত। কারাদ-ের পাশাপাশি ছিদ্দিককে ২০০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আহসান হাবীব বৃহস্পতিবার এই রায়টি ঘোষণা করেছেন। উল্লেখ করা যেতে পারে প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা আইনে এটিই দেশের প্রথম যুগান্তকারী রায়। রায়ের পর আদালত প্রাঙ্গণে অনেককেই বলতে শোনা গেছে এ রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে জনগণ প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা রোধে আরও বেশি যতœœবান হবেন। রায়টি খুবই প্রশংশিত হবার দাবি রাখে। দ-িত মোঃ সিদ্দিক (৪৫) পলাতক রয়েছেন। এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন এ্যাডভোকেট মিনু রাণী রায়। মামলার আসামি ছিদ্দিক ভোলা জেলার চরফ্যাশনের ওসমানগঞ্জের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে। তার বর্তমান ঠিকানা বাগিচারটেক গেট কল্যাণ সিমিতি, থানা রামপুরা। মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর রাতে বাগিচারটেকের একটি খালি প্লটে দুটি মা কুকুরকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন ছিদ্দিক। পরে ১৪টি বাচ্চাসহ ওই দুটি প্রাণীকে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে মাটিচাপা দেন তিনি। ওই ঘটনায় পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রাকিবুল হক এমিল পিতা- একে এম খসরু, সাং ২৩৭/সি তৃতীয় কলোনি মিরপুর, থানা দারুস সালাম রামপুরা থানায় ১৯২০ সালের প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা আইনের ৭ ধারায় এ মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে রামপুরা থানার এসআই নাছির উদ্দিন গতবছর ৩০ নবেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এরপর চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল আসামি ছিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। মামলার বিচার কাজ চলাকালে বাদীপক্ষে মোট ৬ জনের সাক্ষ্য শোনেন বিচারক। উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনার পর আদালত এই ঐতিহাসিক রায়টি প্রদান করেন।
×