ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার;###;ওয়াহিদুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

ফুলবাড়িয়ার বদর বাহিনীপ্রধান রিয়াজ ফকিরের ফাঁসি

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ১১ মে ২০১৮

ফুলবাড়িয়ার বদর বাহিনীপ্রধান রিয়াজ ফকিরের ফাঁসি

বিকাশ দত্ত ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আরও এক যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। হত্যা ও ধর্ষণের দুই অভিযোগে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার বদর বাহিনীর প্রধান রিয়াজ উদ্দিন ফকিরকে মৃত্যুদ- এবং অপহরণ করে নির্যাতন ও হত্যার আরও দুটি অভিযোগে তাকে আমৃত্যু কারাদ- দেয়া হয়েছে। ফুলবাড়িয়ার রিয়াজ ফকিরের মামলার রায়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ৩২তম। এর আগে ট্রাইব্যুনাল আরও ৩১ রায় দেন। অন্যদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর ওয়াহিদুল হককে (৬৯) সেফ হোমে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী ১৫ মে দিন ধার্য করেছেন। এদিন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার নিজ কার্যালয়ে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া মামলাটির পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ১০ জুলাই দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। এদিকে ২৭ মার্চ মৌলভীবাজারের রাজানগর উপজেলার আকমল আলী তালুকদারসহ চার রাজাকারের বিরুদ্ধে মামলায় উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার জন্য সিএভি রাখা হয়েছে। যে কোন দিন এ মামলা রায় হবে। বর্তমানে ট্রাইব্যুনালে আরও ৩২টি মামলায় ১৩৮ রাজাকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বিচারাধীন রয়েছে। আদেশের পর চীফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর বলেন, এই রায়ে আমরা অবশ্যই খুশি। যারা বিচার চেয়েছেন, তারা এই রায়ের মাধ্যমে বিচার পেয়েছেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন বলেন, এই রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিফলিত হয়নি। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করব। সেক্ষেত্রে আসামির সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। নিয়মানুযায়ী ট্রাইব্যুনালের রায়ের এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতে আপীল করা যায়। অন্যদিকে প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন জানান, দুই নম্বর অভিযোগে একমাত্র আসামি ওয়াজ উদ্দিনের মৃত্যু হওয়াতে রায়ে তা আর বিবেচনা করা হয়নি। বাকি চারটি অভিযোগেই রিয়াজ উদ্দিন ফকির আসামি ছিলেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর হৃষিকেষ সাহা। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। এ মামলায় প্রাথমিকভাবে তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলেও অভিযোগ গঠনের আগে আসামি আমজাদ আলী কারাগারে অসুস্থ হয়ে মারা গেলে তার নাম বাদ দেয়া হয়। আরেক আসামি ওয়াজ উদ্দিন মারা যান পলাতক অবস্থায়। অভিযোগ গঠনের পর তার মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হলে ট্রাইব্যুনাল তার নামও বাদ দেয়। জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ ॥ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর ওয়াহিদুল হককে (৬৯) সেফ হোমে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে তার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী ১৫ মে দিন ধার্য করেছেন। এদিন তদন্ত সংস্থার নিজ কার্যালয়ে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া মামলাটির পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ১০ জুলাই দিন ধার্য করেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে ওয়াহিদুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম। এর আগে ২৫ এপ্রিল ওয়াহিদুল হককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে এ মামলায় পরবর্তী শুনানির জন্য ১০ মে দিন ধার্য করেন।
×