ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ১১ মে ২০১৮

উবাচ

ঘোলা চোখ স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের উন্নয়নে মন্ত্রীদের প্রতিশ্রুতির ক্ষেত্রে হচ্ছে হবে, করছি, করব একেবারে কমন শব্দ। কিন্তু কোন মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী সাড়ে চার বছরের কাছাকাছি এসে যদি প্রশ্নে তোলেন এটা কেন হলো না কেন হচ্ছে না। বিষয়টি শুনতে খুব কী ভাল শোনা যায়। বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন আকাশে বিদ্যুত চমকালে কর্মকর্তাদের চোখ ঘোলা হয়ে আসে। বিতরণ ত্রুটির কারণে সারাদেশের একই অবস্থা আকাশে বিদ্যুত চমকালেই বিদ্যুত চলে যায়। কিন্তু সাড়ে চার বছরের মাথায় এসে প্রতিমন্ত্রী নিজেই কি করে এই কথা বলেন। কেন সাড়ে চার বছরেও পরিস্থিতির পরিবর্তন হলো না। সেই প্রশ্ন যদি কেউ করেন তার উত্তর কী? তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে যে পরিমাণ বিদ্যুত উৎপাদন হচ্ছে তাতে লোডশেডিং হওয়ার কথা নয়। কিন্তু আমাদের সঞ্চালন ব্যবস্থা আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর না হওয়ায় এখন একটু বৃষ্টি হলেই লোডশেডিং হচ্ছে। উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাহলে কেন সঞ্চালন এবং বিতরণ সমস্যা দূর করা হলো না। এখানে কি প্রতিমন্ত্রীর কোন দায় নেই। না ব্যর্থতা শুধু কী কর্মকর্তাদের। খুশি না স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিমানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে আবেগে বলে ফেলেছিলেন বিমানের জন্য দরকারে তিনি রক্ত দেবেন। নতুন মন্ত্রী হয়েছেন আবেগ তো থাকবেই একেএম শাহজাহান কামালের। কিন্তু এখন সেই আবেগ গেল কোথায়। রক্ত দিয়েছিলেন কি আদৌ? এখন সেই মন্ত্রীই বলছেন যা সেবার মান আমি খুশি না। জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সেবার মান নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। শাহজাহান কামাল বলেন, বিমান থেকে নামার পর লাগেজ পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, কিন্তু কেন? আমি মন্ত্রী, আমি নিজেই বিমানের (বিমান বাংলাদেশ) সেবায় সন্তুষ্ট নই অন্যের কথা কী বলব। বিমানযাত্রীদের লাগেজ পৌঁছাতে দেরির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা কেন হচ্ছে, জানতে চাইলে আগে বলা হয়েছিল মেশিনে সমস্যা রয়েছে। সোমবার একজন বলল ‘জনবল নেই’। ছুটি স্টাফ রিপোর্টার ॥ এক বৃদ্ধ কী করে আরেক বৃদ্ধকে দাদু বলে ডাকেন! বিষয়টি খানিকটা দৃষ্টিকটু বৈকি। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এই চিত্র এখন চলছে তো চলছেই। রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে শিষ্টাচার বহু দিন আগেই উঠে গেছে। একে অন্যকে মিথ্যার আবরনে কথা মুড়িয়ে দায়ী করেন আবার বলেন না আমি তো এমন নই। তাহলে আপনি কেমন? সবক্ষেত্রেই পরিচিত কয়েকটি মুখ এই কাজ করে থাকেন। যারা ইতোমধ্যেই চিহ্নিত। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবের কথা শুনে আমার মনে হচ্ছে যে, হাছান মাহমুদ (আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক) বোধ হয় ছুটিতে গেছেন। কথা শুনে যে কেউ প্রশ্ন করতেই পারেন আপনিও তো কম যান না। কথা বলে বলে নিজেকে তো শেষ করে দিচ্ছেন। আর দলটাকে তো! একই সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মস্তিস্কে আঁধার নেমেছে বলেই লাগামছাড়া বক্তব্য দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন আমরা স্পষ্ট করেই বলতে চাই, পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে শেখ হাসিনার দেশবিরোধী নীতির কারণেই পাহাড়ে রক্ত ঝরছে। এজন্য সম্পূর্ণ দায়ী আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী। এতে কি হলো এক পক্ষ তো আরেক পক্ষকে শুধু দায়ীই করে গেল। নেতাদের অতিকথনে প্রকৃত সত্য কী এভাবে অনেক ক্ষেত্রে আড়ালেই চলে যায় না, ভেবে দেখার নিশ্চই এখনও অনেক সময় বাকি রয়েছে।
×