ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নোংরা পানিতে সয়লাব ॥ সঙ্কটে রাজশাহী নগরীর ১২ পরিবার

প্রকাশিত: ০৪:৫৫, ১১ মে ২০১৮

নোংরা পানিতে সয়লাব ॥ সঙ্কটে রাজশাহী  নগরীর ১২ পরিবার

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ এখনও বর্ষ শুরু হয়নি। তেমন বৃষ্টিপাতও হয়নি। এরই মধ্যে ঘরে উঠে যাচ্ছে ড্রেনের ময়না পানি। রাতদিন সেচে সে পানি অপসারণ করা যাচ্ছে না। কিছুক্ষণ পর পর ড্রেনের পানিতে ভরে যাচ্ছে ঘরের মেঝে। এ অবস্থায় চরম সঙ্কটের মধ্যে পড়েছেন রাজশাহী নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সাগরপাড়া বল্লভগঞ্জ এলাকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে ওই মহল্লার ১২ পরিবারের এখন নির্ঘুম রাত কাটছে। কিছুক্ষণ পর পর ঘরের বালতি ও থালা বাসন দিয়ে সেচে ফেলতে হচ্ছে ঘরে উঠা ড্রেনের পানি। এ অবস্থায় সিটি কর্পোরেশন ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে দুষছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। সরেজমিন ওই মহল্লায় গিয়ে দেখা যায়, ঘরের মধ্যে হু হু করে প্রবেশ করছে ড্রেনের ময়লা পানি। সেই পানি থালা ও বালতি ভরে সেচে সেচে বাইরে ফেলা হচ্ছে। সংসারের কাজ ফেলে ঘরের পানি সেচেই সময় যাচ্ছে তাদের। ড্রেনের পানি নিষ্কাশনের কোন উপায় না থাকায় ড্রেনের চেয়ে অপেক্ষাকৃত নিচু ওইসব ঘরে পানি প্রবেশ করছে। বর্ষা শুরু হলে কী অবস্থা হবে এ নিয়েই এখন থেকেই দিশেহারা ওই মহল্লার ১২ পরিবার। ওই মহল্লার ক্ষতিগ্রস্ত মুক্তার হোসেন জানান একটু পর পর তার ঘরে হাঁটু পানি জমে যাচ্ছে। এসব পানি ড্রেনের নোংরা ও দুর্গন্ধময়। তিনি ও তার স্ত্রী দিলারা বেগম এখন পানি নিষ্কাশনের জন্য নানা পদ্ধতি অবলম্বন করছেন। একটু পর পরই ঘরের পানি সেচ দিয়ে ফেলতে হচ্ছে। এতে চরম বিপাকে রয়েছেন তারা। শুধু মুক্তার হোসেন নয়, একই সমস্যায় ভুগছেন এখন ওই মহল্লার ১২ পরিবার। এ নিয়ে তারা চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। সিটি কর্পোরেশন ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে বলেও কোন লাভ হয়নি। ভুক্তভোগীরা জানান, তারা যেখানে বসবাস করছেন তার আশপাশে তিনটি পুকুর ছিল। প্রভাবশালীরা সেগুলো ভরাট করে বড় বড় ভবন তুলেছেন। এছাড়াও বর্তমান সময়ে রাস্তা ও ড্রেনগুলো নির্মাণ করা হয়েছে উঁচু করে। সে কারণে ড্রেনের পানি বের হতে পারছে না। এতে পানি উপচে বাড়িতে ঢুকে পড়েছে। নতুন ড্রেন হলেও পানি নিষ্কাশনের কোন উপায় নেই সেখানে। ভুক্তভোগীরা জানান, এ দুর্ভোগ ও সমস্যা নিয়ে তারা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকের কাছে গিয়েছিলেন। মেয়র বুলবুল তাদের মুখে ঘটনাটি শুনে প্রকৌশলীদের দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেন। কিন্তু এরপরেও কাজের কাজ কিছু হয়নি।
×