ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রামে ৩ দিনব্যাপী বিগটেক্স শুরু

দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশে আকৃষ্ট হচ্ছে বিদেশীরা

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ১১ মে ২০১৮

দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশে আকৃষ্ট হচ্ছে বিদেশীরা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কিছুদিন আগেও আমরা স্বল্পোন্নত দেশ ছিলাম। এখন বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। যারা দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করায় বিদেশীরা ঝাঁপিয়ে পড়ছে। সরকার নিজস্ব অর্থেও ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে দ্বিতীয় বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল গার্মেন্টস এ্যান্ড টেক্সটাইল মেশিনারি এক্সপোর (বিগটেক্স) উদ্বোধনকালে কথাগুলো বলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। ৩ দিনব্যাপী এই এক্সপোতে অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশসহ চীন, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানী, হংকং, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১২০টি স্টল। আগামী ১২ মে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনী চলবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র বলেন, শিল্প, বাণিজ্য, বন্দরসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চউক, ওয়াসা, কর্ণফুলী গ্যাসসহ সকল প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের কারণে নগরবাসীকে সাময়িক কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। তিনি নাগরিকদের প্রতি ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে। দেশের সক্ষমতা বাড়াতে ব্যবসায়ীদের মেধা, প্রজ্ঞা ও ঝুঁকির ভূমিকা অপরিসীম। চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকারের নানা পদক্ষেপের উল্লেখ করে তিনি বলেন, বন্দর সম্প্রসারণে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। ২০১৯ সালে পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনাল (পিসিটি) উদ্বোধন হবে। বে-টার্মিনাল নির্মাণে সরকার আন্তরিক। এ কাজটি দ্রুত সম্পাদনের তাগিদ রয়েছে। বর্তমান সরকারকে ব্যবসাবান্ধব সরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশী বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে নিরাপত্তাসহ সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজিএমইএ’র প্রথম সহসভাপতি মঈনউদ্দিন আহমেদ মিন্টু বলেন, পোশাক শিল্পের যাত্রা শুরু হয়েছিল এ চট্টগ্রাম থেকে। কিন্তু চট্টগ্রামে এ শিল্প সেভাবে প্রসার লাভ করেনি। কারণ, এনবিআরসহ সবকিছু ঢাকায়। গুরুত্বপূর্ণ সকল সিদ্ধান্তও ঢাকা থেকে হয়। রান্না প্লাজা দুর্ঘটনার পর দেশের ২ হাজার কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এখন সাড়ে ৩ হাজার কারখানা সচল আছে। বাংলাদেশে ব্র্যান্ডিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন না করলে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ হতো না। এ সম্মান রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। বিকেএমইএ’র প্রথম সহসভাপতি মনসুর আহমেদ বলেন, মীরসরাই ইকোনমিক জোনে বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএকে জায়গা দেয়া হবে। আমাদের উদ্যোক্তাদের ওই জোনে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রফতানিকারক দেশ। পৃথিবীর পরিবেশবান্ধব ১০টি কারখানার মধ্যে বিকেএমইএ’র ৪টি। এরপরও উৎপাদন বৃদ্ধি, বাজার সম্প্রসারণ ও তথ্য প্রযুক্তিগত আধুনিকায়নের ওপর আমাদের জোর দিতে হবে। ওয়েল গ্রুপের সিইও সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম শুধু বাংলাদেশ নয় এশিয়ার অন্যতম বিজনেস হাব। আমরা আর আমদানি নির্ভর দেশ নই বরং প্রচুর রফতানিও করছি। বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনার নাম। এ দেশের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে বলেই বিদেশীরা এখন আকৃষ্ট হচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেড কার্পেট-৩৬৫ লিমিটেডের সিইও আহমেদ ইমতিয়াজ।
×