ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

৭ মেগা প্রকল্পে ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ১১ মে ২০১৮

৭ মেগা প্রকল্পে ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অনুমোদিত ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত এডিপিতে ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে চলমান সাতটি মেগা প্রকল্পে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ প্রায় ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত প্রকল্পে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে পদ্মা রেল লিংক প্রকল্পের জন্য। আর পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ৪ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা হবে তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ। এছাড়া মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য ৩ হাজার ৯০২ কোটি টাকা, মাতারবাড়ি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্টের জন্য ২ হাজার ১৭১ কোটি টাকা, কর্ণফূলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পে ১ হাজার ৯০৫ কোটি টাকা, এবং দোহাজারি-রামু-কক্সবাজার-ঘুমধুম প্রকল্পে ১ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানান। গত জানুয়ারিতে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন হয় গত জানুয়ারিতে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্রের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন হয় গতবছর নবেম্বরে পাবনার রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের চুল্লির জন্য কংক্রিটের মূল স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু হয় গতবছর নবেম্বরে পাবনার রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের চুল্লির জন্য কংক্রিটের মূল স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু হয় চলতি অর্থবছরের বাজেটে মূল এডিপির আকার ছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। গত মার্চে তা কমিয়ে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৮১ কোটি টাকার সংশোধিত এডিপি অনুমোদন দেয় সরকার। নতুন অর্থবছরের জন্য দেশীয় সম্পদের যোগান ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। আর প্রকল্প সহায়তা হিসেবে বৈদেশিক সম্পদের যোগান ধরা হয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকা। আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত এডিপিতে খাত ভিত্তিক সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার ৪৫০ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে সড়ক পরিবহন খাতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ ২২ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা থাকছে বিদ্যুত খাতের জন্য। ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ন খাতে থাকছে ১৭ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা, যা তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ। এরপর পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের জন্য ১৬ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা, শিক্ষা ও ধর্ম খাতের জন্য ১৬ হাজার ৬২০ কোটি টাকা, বিজ্ঞান ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জন্য ১৪ হাজার ২১১ কোটি টাকা, স্বাস্থ্য পুষ্টি, জন্যসংখ্যা ও পরিবার কল্যাণ খাতের জন্য ১১ হাজার ৯০৫ কোটি টাকা এবং কৃষি খাতের জন্য ৭ হাজার ৭৬ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় ভিত্তিক হিসেবে সর্বোচ্চ ২৩ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্য। বিদ্যুত বিভাগের জন্য ২২ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জন্য ২০ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের জন্য ১১ হাজার ৭২০ কোটি টাকা, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জন্য ১১ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা, সেতু বিভাগের জন্য ৯ হাজার ১১২ কোটি টাকা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ৮ হাজার ৩১২ কোটি টাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের জন্য ৬ হাজার ৬ কোটি টাকা এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য ৫ হাজার ৬০৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
×