ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শাহাব উদ্দিন মাহমুদ

অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ১১ মে ২০১৮

অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ৪৭ বছরে পদার্পণ করা একটি পরিণত রাষ্ট্র। স্বাধীনতার এই দীর্ঘ সময় পর আমাদের পিছনে ফিরে থাকার কোন অবকাশ নেই। সাড়ে সাত কোটি মানুষ আজ দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটিতে। বিশাল এ জনশক্তি আজ অর্থনৈতিক শক্তিতে রূপান্তর হচ্ছে। এ উত্তরণকে এখন এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব আমাদের সবার। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার মতো মৌলিক প্রয়োজনগুলোর অভাবে যুগ যুগ ধরে জর্জরিত এ দেশের মানুষ দারিদ্র্যমুক্ত সচ্ছল জীবন চায়। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়াবার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের বাস্তব প্রতিফলন। প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসাবে গড়ে তোলার প্রয়াস চলছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। হাইটেক পার্ক তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লবের এ সময়ে হাইটেক পার্ক দেশের শিল্পায়নে প্রাণসঞ্চার করবে। শিল্পায়ন ও শিক্ষা ক্ষেত্রে হাইটেক পার্ক সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে। হাইটেক পার্কে ১০ লাখ আইটি পেশাদার তৈরির মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বছর প্রতি রফতানি আয় ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এ পার্কগুলোতে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে লাখ লাখ ব্যক্তির কর্মসংস্থান হবে। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি (বিএইচটিপিএ) সূত্র অনুযায়ী, ইতোমধ্যে কালিয়াকৈরে ২৩২ একর জমিতে প্রথম হাইটেক পার্ক, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার খরিতাজুড়ি বিলে ১৬৩ একর জমিতে দেশের দ্বিতীয় হাইটেক পার্ক, কাওরান বাজারের জনতা টওয়ার, যশোর, রাজশাহীসহ দেশের ৭টি বিভাগের ১২ জেলায় সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে দুর্বার গতিতে। সব হাইটেক পার্কের উন্নয়ন এবং বিনিয়োগের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আগ্রহ লক্ষণীয়। ইতোমধ্যেই যুক্তরাজ্য ও সিঙ্গাপুরভিত্তিক চারটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির মোট ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চায়না বেটার বিজনেস ব্যুরো, জাপান, বাংলাদেশের বিভিন্ন হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ এবং হাইটেক পার্কসহ মানবসম্পদ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ দেয়ার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। এছাড়া চীন হাইটেক পার্কে চীনা ভাষা ও কারিগরি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট তৈরি, হাইটেক পার্কগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য সফটওয়্যার পার্ক ও টেকনোলজি পার্কে চীনা বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে উদ্যোগের কথা জানিয়েছে। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির (বিএইচটিপিএ) পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইলেকট্রনিক্স শিল্পে আন্তর্জাতিকভাবে নামকরা কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসা প্রসারের জন্য বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তাদের ইন্ডাস্ট্রিজ স্থাপনের উদ্যোগ নিচ্ছে। তারা প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পস্থাপনের জন্য উপযুক্ত শিল্পাঞ্চল খুঁজছে। এ্যাপল, স্যামসাং, মটোরোলাসহ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইলেকট্রনিক্স কোম্পানির শিল্প কারখানা স্থাপনের মতো সার্বিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে বিশে^র সর্বাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এই হাইটেক পার্কগুলো। বিশ্বব্যাংকের প্রাইভেট সেক্টর ডেভেলপমেন্ট সাপোর্ট প্রজেক্টের আওতায় হাইটেক পার্ক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহী ও খুলনায় আইসিটি ইনকিউবেটর কাম ট্রেনিং সেন্টার স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বেকারত্ব দূরীকরণে নতুন নতুন হাইটেক পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার বিশ^ ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় সিরাজগঞ্জ হাইটেক পার্ক, মানিকগঞ্জ হাইটেক পার্ক, জয়পুরহাট হাইটেক পার্ক, চাঁদপুর হাইটেক পার্ক এবং মাদারীপুর হাইটেক পার্ক, চট্টগ্রামে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নামে পাঁচটি নতুন হাইটেক পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব পার্ক স্থাপন করা হলে দেশের বেকার সমস্যা সমাধানের সঙ্গে সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হবে। ডিজিটাল বিপ্লব ডিজিটাল বিপ্লব বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে সহায়তা করবে। বাংলাদেশ এরই মধ্যে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ৬৪টি জেলার ৪ হাজার ৫০১টি ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দেশে সরকারের প্রধান সেবাগুলোর মধ্যে ২০০টিরও বেশি সরকারী সেবা এখন মোবাইল ফোন বা ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। শুধু তথ্যসেবা নয়, ট্যাক্স রিটার্ন থেকে শুরু করে জমির পর্চা, জন্মনিবন্ধন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদনসহ বিভিন্ন সেবা খাত, টাকা লেনদেন থেকে শুরু করে সরকারী ক্রয় সবই এখন অনলাইনে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘরে বসেই কয়েকটি ক্লিকে পাওয়া যায়। এরই মধ্যে ১৮ হাজার ১৩২টি সরকারী দফতরকে একটি ‘সরকারী তথ্য বাতায়ন’- এর আওতায় আনা হয়েছে। প্রযুক্তি মৌলিক সেবা প্রদানের বিষয়টি আরও সহজ ও সাশ্রয়ী করে তুলেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে আরও কর্মক্ষম বাংলাদেশ, আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বাংলাদেশ, অধিকতর শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। ডিজিটাল প্রযুক্তি উচ্চ মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহায়তা করছে। যেখানে সবার কাছে নিজ পরিবারের জন্য নিরাপদ আশ্রয়, পর্যাপ্ত ও পুষ্টিকর খাদ্য, ভালো স্বাস্থ্যসেবা ও মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে শিক্ষা ক্ষেত্রে। শ্রেণীকক্ষে মাল্টিমিডিয়া কনটেন্টের ব্যবহার এর যুগান্তকারী উদাহরণ। আগামী ১০ বছরে ডিজিটাল বিপ্লবের ফলে এমন সব পরিবর্তনের মুখোমুখি হতে হবে, যাতে সব মানুষেরই আয়ের পরিমাণ ও জীবনমান বাড়বে। বিশ্বের পণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়ায়ও ডিজিটাল প্রযুক্তি আনবে ব্যাপক পরিবর্তন। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ধারণাটি দেশে নতুন হলেও শিগগিরই বদলে যাবে কেনাবেচার প্রথাগত ধারণা। দেশের ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ব্যস্ততার কারণে নিজেদের প্রয়োজনীয় শপিংয়ে অনলাইন মার্কেট প্লেস হচ্ছে প্রধান মাধ্যম। এ পরিবর্তনের ছোঁয়া নিঃসন্দেহে ডিজিটাল বিপ্লবের হাতছানি দিচ্ছে, যা বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে একটি মডেল হিসেবে তৈরি করবে। এলএনজি টার্মিনাল সমগ্র বাংলাদেশ, বিশেষ করে চট্টগ্রাম অঞ্চল, তীব্র গ্যাস সঙ্কটে ভুগছে প্রায় এক দশক ধরে। ফলে অনেক কারখানাতেই উৎপাদন ভীষণভাবে ব্যাহত হচ্ছিল। নতুন শিল্প-কারখানার অনেকগুলোতেই উৎপাদন শুরু করাই সম্ভব হয়নি। এমনকি সরকার ঘোষিত অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোও গ্যাস সঙ্কটে থমকে আছে। সরকার গ্যাস সঙ্কট সমাধানের জন্য মহেশখালীতে নির্মীয়মাণ টার্মিনাল থেকে চলতি বছরেই এলএনজি সরবরাহের লক্ষ্য নির্ধারণ করে। এরই মধ্যে মহেশখালীতে টার্মিনাল নির্মাণ এবং সেখান থেকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা পর্যন্ত ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের ৯১ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সিটি গেট স্টেশন এবং আনোয়ারা থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পর্যন্ত ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের আরও ৩০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপনের কাজও ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিভিন্ন সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা নির্মাণাধীন ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ ও কাতার থেকে আগত জাহাজ ‘এক্সিলেন্স’ পরিদর্শন করেন। কাতার থেকে আগত জাহাজটি (এক্সিলেন্স) ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল হিসেবে কাজ করবে এবং সেখান থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করা হবে। বর্তমানে শিল্প-কারখানা, বাণিজ্যিক ও আবাসিক খাত মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে। নতুন কোন গ্যাসকূপের সন্ধান না পাওয়ায় ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটাতে আমদানিনির্ভর এলএনজির ওপর ভরসা করতে হচ্ছে। দেশে গ্যাসের মজুত কমে আসায় বিকল্প হিসেবে কাতার কিংবা অন্য কোন দেশ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারদরে এ গ্যাস আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এই গ্যাস পাইপলাইন দিয়ে মূল গ্রিডে দেয়া হবে। এতে শিল্পকারখানায় গ্যাসসঙ্কট কমবে। জাইকার সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে প্রথম এ এলএনজি টার্মিনাল চালু হলে মোট চাহিদার ১৭ শতাংশ পূরণ হবে। ২০২৩ সাল নাগাদ জাতীয় গ্রিডে মোট গ্যাসের ৪০ শতাংশ, ২০২৮ সালে ৫০ শতাংশ ও ২০৪১ সালে ৭০ শতাংশ এলএনজি থেকে সরবরাহ করা হবে। ভাসমান এই এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের ফলে বৃহত্তর চট্টগ্রামসহ সারাদেশে জ্বালানি নির্ভর বিনিয়োগ ও শিল্পকারখানা স্থাপন, উৎপাদন, ব্লু-ইকোনমি কার্যক্রমের সম্প্রসারণ ও কর্মসংস্থানের পথ সুগম হবে এবং বহুমুখী অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে। সর্ববৃহৎ এলএনজিবাহী এ জাহাজ বাংলাদেশ এলএনজি যুগে প্রবেশের ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হয়ে থাকবে। কর্ণফুলী টানেল ও চায়না শিল্পাঞ্চল ২০১৬ সালে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যৌথভাবে চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নের কর্ণফুলী টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। একই সঙ্গে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বিশেষায়িত চীনা অর্থনৈতিক জোন উদ্বোধন করেছিলেন দুই নেতা। এর মাধ্যমে বৃহত্তর চট্টগ্রামে বিনিয়োগ, শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে চলেছে। চীনা অর্থনৈতিক জোনটি শতভাগ চীনের বিনিয়োগে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। উভয় মেগাপ্রকল্পের কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। দেশের প্রথম এবং একমাত্র এ টানেলটি চালু হলে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। সরকারের গৃহীত ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার অর্থনৈতিক করিডোর বাস্তবায়ন আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। কর্ণফুলী নদীর ওপারে গড়ে উঠবে অর্থনৈতিক জোন ও সমৃদ্ধ আরও এক মহানগরী। এর ফলে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও পর্যটননগরী কক্সবাজারের সঙ্গে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম ও রাজধানী ঢাকার দূরত্ব আরও কমে আসবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মূল শহরের সঙ্গে নদীর অন্য প্রান্তের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ার পাশাপাশি বিকশিত হবে পর্যটন শিল্প। চাপ কমবে নদীর ওপর থাকা অন্য দুই সেতুর। একই সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপিত হবে প্রস্তাবিত সোনাদিয়া সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে। চলবে... লেখক : শিক্ষাবিদ ও গবেষক
×