ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আজব সংকীর্ণতা

প্রকাশিত: ০৭:১৫, ১০ মে ২০১৮

আজব সংকীর্ণতা

সমাজে দুই শ্রেণীর মানুষ আছে। এক শ্রেণীর মানুষ সর্বদা মানুষকে বড় করে তুলতে ব্যস্ত। তাঁরা অন্যের প্রতিভাত জীবনের জন্য মানুষের মধ্যে আগ্রহ জাগিয়ে দেন। তাদের হৃদয় বিশাল। আকাশের মতো উদার। সংকীর্ণতা কখনোই তাদের মনে স্থান পায় না। যদিও সমাজে এমন লোকের সংখ্যা অপ্রতুল। সমাজের আনাচেকানাচে আরেক শ্রেণীর মানুষও বাস করে। যাদের মন মানসিকতা এতটাই নিচু যে, তাদেরকে পশুর সঙ্গে তুলনা করা যায়। তারা কারও ভাল দেখতে পারে না। অন্যের ভাল দেখলে তারা আহত হয়ে পড়ে। যাকে বলা হয় পরশ্রীকাতরতা। পরশ্রীকাতরতা মানুষকে নিচু ও ছোট করে দেয়। পরশ্রীকাতরতার বলতে বোঝায়Ñ পর অর্থ অন্যের আর শ্রী অর্থ সৌন্দর্য এবং কাতরতা অর্থ অসুস্থতা অর্থাৎ যারা অন্যের সৌন্দর্য দেখে অসুস্থ হয়ে পড়ে তারাই পরশ্রীকাতর। তারা স্বল্পপ্রাণ, স্থুলবুদ্ধি, নিষ্ঠুর ও বিকৃতবুদ্ধি। পরশ্রীকাতর লোকেরা কারও ভাল কিছু দেখলেই হিংসা হয়। তার মনে তীব্র জ্বালা তৈরি হয়। অন্যর ক্ষতি চাইতে চাইতে তাদের অন্তরে কালো আবরণ পরে যায়। যার ফলে উদারতার অমৃত স্বাদ তারা কখনোই উপভোগ করতে পারে না। অন্যের আনন্দে আনন্দিত হতে পারা যে স্বর্গীয় সুখ তারা তা কখনও পায় না। আমাদের মনে রাখা উচিত আমরা সৃষ্টির সেরা জীব। আমরা পশু নই। মানুষের মন উদার তাই অনুভূতির চক্ষু দিয়ে অন্যকে বুঝতে পারাই প্রকৃত মানুষের লক্ষণ। পরশ্রীকাতরতা থেকে বের হওয়ার জন্য সূক্ষ্মবুদ্ধি উদার হৃদয়বান মানুষ হতে হবে। আত্মবিশ্বসী মানুষ কখনোই নিজের হিংসা বিদ্বেষকে বাড়তে দেয় না। আশপাশের মানুষের কিংবা বন্ধু-বান্ধবের ভাল সংবাদ অনেকেরই পরশ্রীকাতরতা দেখা দিতে পারে। তবে তা যেন বাড়তে না পারে সেজন্য নিজেকেই সর্তক হতে হবে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া থেকে
×