উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দুই মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো চীন সফর করলেন। সফরে তিনি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। তারা সোমবার ও মঙ্গলবার চীনের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর দালিয়ানে সাক্ষাত করেছেন বলে উভয় দেশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে। কিমের সফর শেষ হওয়ার পরই কেবল এই সফরের খবর প্রকাশ করা হয়। -খবর সিএনএনের।
চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিমের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। পরিকল্পিত ওই বৈঠকের আগে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করলেন কিম। এর আগে গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের আগেও মার্চে চীনে গিয়ে প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন উত্তর কোরিয়ার এ নেতা। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর সেটিই ছিল কিমের প্রথম বিদেশ সফর। ওই সফরে ট্রেনে চড়ে বেজিং গেলেও এবার উত্তর কোরিয়ার নিকটবর্তী দালিয়ানে বিমানযোগে গিয়েছেন তিনি। ক্ষমতায় আসার পর এটিই তার প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। সিনহুয়া জানিয়েছে, সফরে কিমকে ভোজে আপ্যায়িত করেন প্রেসিডেন্ট শি এবং অর্থনৈতিক উন্নতির লক্ষ্যে উত্তর কোরিয়ার কৌশলগত অবস্থান পরিবর্তনে চীনের সমর্থন আসে বলেও জানান তিনি। শি বলেন, কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার জন্য উত্তর কোরিয়ার অবস্থানকে চীন সমর্থন করে এবং উপদ্বীপের ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়া বিরোধ সংলাপ ও পরামর্শের মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলার বিষয়টিকেও সমর্থন করে। উত্তরে কিম বলেন, যতদিন সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো উত্তর কোরিয়ার প্রতি শত্রুতামূলক নীতি ও নিরাপত্তা হুমকি পরিহার করবে ততদিন উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক (ক্ষমতার) কোন প্রয়োজন নেই এবং পারমাণবিক অস্ত্রমুক্তকরণ উপলব্ধি করা যেতে পারে। সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিম চীনা প্রেসিডেন্ট শিকে জানান, উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত রাখা উত্তর কোরিয়ার ধ্রুব ও স্পষ্ট অবস্থান এবং উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সংলাপ পারস্পরিক বিশ্বাসের ওপর দাঁড়াবে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, চীনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক নতুন একটি উচ্চতায় পৌঁছানোয় কিম অত্যন্ত খুশি হয়েছেন এবং কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতি পরিবর্তনে উত্তর কোরিয়া চীনকে আরও সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করবে। দুই নেতা তাদের আন্তরিকতাপূর্ণ উষ্ণ আলাপ করেছেন।
