ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পোলিশ ও সুইডিশ গবেষকের সমীক্ষা

ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য বেহাত হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ১০ মে ২০১৮

ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য বেহাত হচ্ছে

সাধারণ মানুষ ফেসবুকে কি পোস্ট করে সে সম্পর্কে জানতে ২০১৪ সালে জুলাই মাসে চারজন পোলিশ ও সুইডিশ গবেষকের একটি দল কাজ শুরু করে। তারা নিজেদের তাদের কর্মসূচীর নাম দিয়েছিলেন ‘স্ক্র্যাপার’। দু’বছর ধরে ১৬০টি পাবলিক ফেসবুকের সব পোস্ট নিয়ে তারা কাজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাদের অনুসন্ধানের আওতায় আসা ফেসবুকের সংখ্যা বাড়তে থাকে। নিউইয়র্ক টাইমস। ২০১৬ সালের মে’তে এসে দেখা গেল ৩৬৮ মিলিয়ন ফেসবুক ব্যবহারিক তারা তাদের নজরদারির আওতায় নিয়ে আসতে পেরেছেন। ফেসবুক থেকে একক উদ্যোগে এটি ছিল সবচেয়ে বেশি পরিমাণ সংগৃহীত ডাটা। বিশেষজ্ঞদের একজন ফ্রেডরিক এরলার্ডসন বলছেন, ‘কত সহজে এসব তথ্য সংগ্রহ করার যায় তা নিয়ে আমাদের একটি উদ্বেগ ছিল। তাদের তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি নিয়ে এরলার্ডসন ও তার সহকর্মীরা গত ডিসেম্বরে একটি গবেষণা পত্র প্রকাশ করেছেন। এরলার্ডসন সুইডেনের ব্লেকিঞ্জ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির একজন লেকচারার। এক দশকের বেশি সময় ধরে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে একাডেমিক ও বিশেষজ্ঞরা তাদের গবষেণা কাজের জন্য ফেসবুক থেকে যেভাবে তথ্য সংগ্রহ করেছেন তার সঙ্গে এরলার্ডসন ও তার সঙ্গীদের কাজের মিল রয়েছে। তাদের গবেষণার ফল প্রথম জানা যায় এ বছর মার্চে নিউইয়র্ক টাইমস ও অবজারভার অব লন্ডনে প্রতিবেদনে প্রকাশের পর। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল কেমব্রিজ ইউনিভার্সিরি সাইকোলজির অধ্যাপক আলেক্সান্ডার কোগান কুইজ এ্যাপ ব্যবহার করে ৮৭ মিলিয়ন ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করেছেন। কোগান এসব তথ্য গবেষণা সংস্থা কেমব্রিজ এ্যানালেটিকার কাছে বিক্রি করেন। এই সংস্থার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচার টিমের সম্পর্ক রয়েছে। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের এসব তথ্য মার্কিন ভোটারদের প্রভাবিত করতে ব্যবহার করা হয়েছে এ নিয়ে বিতর্ক ওঠে। শেষ পর্যন্ত এ্যানালেটিকা গত সপ্তাহে তাদের কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়েছে।
×