ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নেতাকর্মী গ্রেফতার ও মিথ্যা ইস্যু তৈরির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ১০ মে ২০১৮

নেতাকর্মী গ্রেফতার ও মিথ্যা ইস্যু তৈরির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে দুটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম (ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন) ও তিনটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী কেসিসি নির্বাচনে দুটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম (ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন) ও তিনটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সূত্র মতে, কেসিসির ২৪ ও ২৭নং ওয়ার্ডের ২টি কেন্দ্রে ইভিএম স্থাপন হবে। এ কেন্দ্র দুটি হচ্ছে- ২৪নং ওয়ার্ডের সোনাপোতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (২০৬ নম্বর) ও ২৭নং ওয়ার্ডের পিটিআই জসিম উদ্দিন হোস্টেলের নিচতলা কেন্দ্র (২৩৯ নম্বর)। সোনাপোতা বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৪ বুথে ইভিএম থাকবে। এর মাধ্যমে ১ হাজার ৯৯ নারী ভোট দিতে পারবেন। এ কেন্দ্রে শেরে বাংলা রোড (রায়পাড়া থেকে নিরালা পর্যন্ত), ইকবাল নগর মসজিদ রোড, শেরে বাংলা রোড (দক্ষিণ পাশ-ময়লাপোতা থেকে রায়পাড়া পর্যন্ত) এলাকার ভোটার ইভিএম-এ ভোট দিতে পারবেন। পিটিআই জসিম উদ্দিন হোস্টেলের নিচতলা কেন্দ্রের ৬ বুথে বিকে মেইন রোড (আংশিক) দক্ষিণ পাশের ১ হাজার ৮৭৯ পুরুষ ভোটার ইভিএম-এ ভোট দিতে পারবেন। এছাড়া ৬নং ওয়ার্ডের সরকারী বিএল কলেজের কলা ভবন কেন্দ্র, ২২নং ওয়ার্ডের পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশ কেন্দ্র ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের পিটিআই প্রশিক্ষণ ভবন (২য় ও ৩য় তলা) কেন্দ্রে থাকবে সিসি ক্যামেরা। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ ও নারী ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭। ২৮৯ কেন্দ্রে ভোট কক্ষ ১ হাজার ৫৬১ ও অস্থায়ী ভোট কক্ষ ৫৫। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ২৮৯ প্রিসাইডিং অফিসার, ১ হাজার ৫৬১ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ৩ হাজার ১২২ পোলিং অফিসারসহ মোট ৫ হাজার ২২১ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা চূড়ান্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে সরকারী বিএল কলেজে এ সব কর্মকর্তাদের তিন দিনের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে, যা আজ বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হবে। সূত্র জানায়, কেসিসি নির্বাচনে প্রতি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর ২২ জন, গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) কেন্দ্রে ২৪ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও ৩১ ওয়ার্ডে পুলিশের ৩১ টিম এবং ১০ স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। র‌্যাবের ৩২ টিম টহল দেবে। বিজিবি থাকবে ১৬ প্লাটুন। ৬০ ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। বিজিবির প্রতিটি টহল দলের সঙ্গে একজন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ১০ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন, যারা তাৎক্ষণিকভাবে বিচার করতে পারবেন। উল্লেখ্য, দলীয় প্রতীকের এ নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), বিএনপি মনোনীত নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টি মনোনীত এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক (হাত পাখা) ও সিপিবি মনোনীত মোঃ মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে)। এছাড়া ৩১ সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ১০ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সিটি নির্বাচনকে বিতর্কিত করতেই মঞ্জু মিথ্যা ইস্যু তৈরি করে চলেছেনÑ খালেক ॥ খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক অভিযোগ করে বলেছেন, সিটি নির্বাচনকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু উদ্দেশ্যমূলকভাবেই মিথ্যা ইস্যু সৃষ্টি করে চলেছেন। তিনি বলেন, বিএনপি জিততে নয়, সরকার বিরোধী ইস্যু তৈরি করতে নির্বাচনে করছে। শুরু থেকে একের পর এক মিথ্যাচার ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন মঞ্জু ও তার দলের নেতারা। তিনি বলেন, আমাদের যদি কোন খারাপ উদ্দেশ্য থাকত তাহলে সকাল ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত গণসংযোগ করতাম না। তিনি বুধবার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে একথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সুজিত রায় নন্দী, এসএম কামাল হোসেন, ইসাক আলী খান পান্না, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ, জাসদের নগর সভাপতি রফিকুল ইসলাম খোকন, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক কাজী আমিনুল হক, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, জাহাঙ্গীর হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা অসিত বরণ বিশ্বাস প্রমুখ। তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী পোষে না। বিএনপি আমলে খুলনায় রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিকসহ প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ হত্যাকা-ের শিকার হয়েছে। সে সময় তারা র‌্যাব সৃষ্টি করেছে। এখন র‌্যাব যখন বিএনপির সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করছে, তখন র‌্যাব খারাপ হয়ে গেছে। ওদের আইনই ওদের পছন্দ হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রক্তাক্ত জনপদ হিসেবে বিএনপির আমলে পরিচিতি পাওয়া দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে দেশব্যাপী জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করে জনমনে ব্যাপক ভীতি আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছিল। খুলনায় চরমপন্থীরা বিএনপির ছত্রছায়ায় ছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসে জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাস কঠোরভাবে দমন করে জনমনে স্বস্তি এনে দিয়েছেন। সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছায় অবহেলিত খুলনা অঞ্চলের যে উন্নয়ন হয়েছে তা অতীতে কখনও হয়নি। তালুকদার খালেক বিএনপির মেয়র প্রার্থীর বক্তব্যকে ঢালাও মিথ্যাচার বলে এর তীব্র সমালোচনা করেন এবং এ ধরনের অপপ্রচার রুখতে সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে খালেক বলেন, খুলনাবাসী উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেয়ার জন্য অধিক আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছেন। অপপ্রচার ও মিথ্যাচার বন্ধ করে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী। তিনি প্রশ্ন করেন, যদি নির্বাচনে কারচুপি করার মতলব থাকত তাহলে রাতদিন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছি কেন? তাছাড়া ২০১৩ সালের নির্বাচনে আমার দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল। সেই নির্বাচনে আমি পরাজয় গ্রহণ করতাম না। জনগণের রায়ের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। ১৫ মের নির্বাচনে নগরবাসী যে রায় দেবেন আমি তা মেনে নেব। পুলিশ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করছে দাবি করে খালেক বলেন, আমাদের দলেও যদি কোন সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী থাকে তাহলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করবে। আমাদের কিছু বলার থাকবে না। বিএনপি নিজেরাই সব করছে আর নিজেদের দোষ পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ঘাড়ে চাপানো চেষ্টা করছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, খুলনা রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানি। আমরা এ নিয়ে কিছু বলছি না। আমরা চাই সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। সরকার ও প্রশাসন আবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এর আগে তালুকদার আব্দুল খালেক, সকাল ৮টায় খালিশপুরস্থ খুলনা বিদ্যুত কেন্দ্র থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। এরপর ক্রিসেন্ট জুট মিল, স্টাফ কোয়ার্টার, বিআইডিসি রোড, প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিল সংলগ্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। এছাড়া এদিন তিনি ক্রিসেন্ট জুট মিল শ্রমিক কার্যালয়ের সামনে ও প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিলের সামনে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন। এদিকে কেএমপি সদর দফতরে এক ব্রিফিংয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ হুমায়ুন কবির পিপিএম বলেন, বিএনপির মেয়র প্রার্থী ঢালাওভাবে তাদের নেতাকর্মীদের অহেতুক গ্রেফতারের যে অভিযোগ করে চলেছেন, তা মোটেও সত্য নয়। এটা তাদের একটি নির্বাচনী কৌশল হতে পারে। কমিশনার বলেন, যারা নাশকতা করেন, মাদকের ব্যবসা করেন তাদের গ্রেফতার করছে পুলিশ। কোন রাজনৈতিক দল যদি গ্রেফতারকৃতদের তাদের নেতা বলে দাবি করে, তাহলে পুলিশের কিছু করার নেই। তিনি বলেন, এখানে আগের সেই দিন আর ফিরে আসতে দেয়া হবে না। মঞ্জুর অভিযোগ- বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে ॥ কেসিসি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ও ২০ দলীয় জোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করেছেন, পুলিশ বেছে বেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। এতে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত মহানগরীর এলাকায় বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর বাড়িতে পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা অভিযান চালিয়েছেন। এ সময় ৫ নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। রাতে মহানগর বিএনপির সহ-সম্পাদক একরামুল কবির মিল্টন, ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন টারজান, ৩০নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলম হাওলাদার ও দৌলতপুরের শ্রমিক দল নেতা লোকমান হোসেনকে এবং বুধবার দুপুরে দোলখোলা রোডস্থ ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় সাবেক ছাত্রনেতা ও মহানগর বিএনপিরসহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আজিজ সুমনকে। তিনি অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা এবং দলীয় বাহিনী দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়ে আওয়ামী লীগের জয় নিশ্চিতের জন্য গভীর পরিকল্পনা চলছে। তিনি এসব পরিকল্পনা প্রতিহত করতে সাধারণ মানুষকে এবং দলীয় সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, মেয়র নির্বাচিত হলে শ্রমিকদের সব ন্যায়সঙ্গত দাবি এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তার সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবে। তিনি বুধবার সকালে কেসিসির ২নং ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ, পথসভা ও মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন। এছাড়া নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের বিষয়ে মিডিয়া কর্মীদের অবহিত করেন। গণসংযোগে মেয়র প্রার্থী মঞ্জুর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির সভাপতি মোঃ লতিফুর রহমান, সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দিন, জাতীয় পার্টি (জাফর) সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ, মহানগর নেতা সিরাজউদিদন সেন্টু, খানজাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি মীর কায়ছেদ আলী, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি শেখ ইকবাল হোসেন, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন প্রমুখ। এদিকে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু, তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা এবং সদস্য সচিব ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান এক বিবৃতিতে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, দমন পীড়ন, গণগ্রেফতার, হয়রানির মাধ্যমে রাজনীতির স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট করার পরিণতি কখনই সুখকর হতে পারে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগকে কঠিন মাশুল দিতে হবে।
×