ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হট্টগোলে শুনানি শেষ

খালেদার জামিনের বিষয়ে রায় ১৫ মে

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ১০ মে ২০১৮

খালেদার জামিনের বিষয়ে রায় ১৫ মে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাদ-প্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনেও তুমুল হট্টগোলের মধ্য দিয়ে দুদক, রাষ্ট্রপক্ষ ও খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের শুনানি শেষ হয়েছে। শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১৫ মে দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রধানবিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ প্রদান করেছেন। বেঞ্চে অন্য বিচারপতিগণ হলেন-বিচারপতি ঈমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মীর্জা হোসাইন হায়দার। বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের হৈচৈ এর কারণে প্রধান বিচারপতি এক পর্যায়ে বিরক্তি প্রকাশ করে এজলাস ছেড়ে চলে যেতে চান। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এভাবে চলছে কাযর্যক্রম চালানো সম্ভব নয়।’ পরে আইনজীবীদের হস্তক্ষেপে নিবৃত্ত হন। জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন ও মওদুদ আহম্মদ খালেদা জিয়ার জামিনের সপক্ষে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন। তাদের যুক্তিতর্ক শেষ হলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশিদ আলম খান ও এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জামিনের বিরোধিতা করে বক্তব্য দেন। ৯ টা ২০ মিনিটে দ্বিতীয় দিনের শুনানির শুরুতে মশিউর রহমান ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের জামিনের উদাহরণ টেনে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, শুধু এ দুটি মামলায় নয় শতকরা ৯৯.৯৯ ভাগ মামলায় আমাদের বিচার ব্যবস্থায় হাইকোর্ট জামিন দিলে আপীল বিভাগ হস্তক্ষেপ করেনি। ব্যতিক্রম সিদ্ধান্ত আইন হতে পারে না। এই মামলাকে অন্য সকল মামলার থেকে আলাদা করে এনে দ্রুত বিচার করার চেষ্টা করছে রাষ্ট্র। আমরা মানি বা না মানি গোটা রাষ্ট্রকে এই মামলায় যুক্ত করা হয়েছে। এটা এক ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা। বিচার প্রশাসনে হস্তক্ষেপের শামিল। আমি সারা দেশ ঘুরেছি। সারাদেশেই আইনজীবীদের মধ্যে এমন একটা ধারণা কোন মামলায় জামিন হবে কী হবে না, সেটা নির্ভর করছে বিশেষ ক্লিয়ারেন্স আছে কী না, সেটার ওপর। প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা বলে লাভ নেই। এ্যাটর্নি জেনারেল এই বক্তব্যের আপত্তি জানিয়ে বলেন, এটা সত্য নয়। প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি তো বলছি। আপনি কেন কথা বলছেন? বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মশিউর রহমানের জামিনের বিরোধিতা না করার বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের বক্তব্যের জবাব দেন এ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন, ‘মশিউর রহমানের মামলা এবং খালেদার মামলার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এ মামলায় রাষ্ট্রের টাকা চুরি করা হয়েছে।’ তখন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সমস্বরে প্রতিবাদ জানান। এ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘রাষ্ট্রের টাকা নিয়ে গিয়েছে, এটা বলতে পারব না? এটা আমাকে বলতে হবে।’এ সময় আরও তীব্র চেচামেচি শুরু করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘হৈচৈ করে আমাকে কথা বলতে বাধা দেয়া হচ্ছে।’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনি উত্তেজিত হবেন না। জবাব দিন।’
×