ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অনুর্ধ-১৪ বালিকা জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হার ঠাকুরগাঁওয়ের

জেএফএ কাপে চ্যাম্পিয়ন টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ০৭:২০, ৯ মে ২০১৮

জেএফএ কাপে চ্যাম্পিয়ন টাঙ্গাইল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বৈশাখের রোদেলা দুপুর। ভ্যাপসা গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। এই আবহাওয়ায় বেলা সাড়ে ৩টার সময় ফুটবল খেলতে নামলে পুরুষরাই খানিক বাদেই কাহিল হয়ে জিভ বের করে হাঁপায়। অথচ সেখানে মাত্র ১৪ বছর বয়সী বালিকারা একই তালে টানা ৭০ মিনিট ধরে খেলে গেছে গতিশীল ফুটবল। যা দেখে লজ্জাই পাওয়া উচিত পুরুষ ফুটবলারদের! যাহোক মঙ্গলবার দিনটি টাঙ্গাইল অনুর্ধ-১৪ বালিকা জেলা দলের জন্য ছিল আক্ষরিক অর্থেই মঙ্গলময়। প্রথমবারের চেষ্টায় না পারলেও দ্বিতীয় প্রচেষ্টা ঠিকই সফল হয়েছে তাদের। এদিন তারা অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় ‘জেএফএ কাপ অনুর্ধ-১৪ বালিকা জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আসরের চূড়ান্তপর্বের ফাইনাল খেলায় তারা ৩-০ গোলে হারায় প্রতিপক্ষ ঠাকুরগাঁওকে। ম্যাচের প্রথমার্ধেই বিজয়ী দল এগিয়ে ছিল ২-০ গোলে। পুরো ম্যাচের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, টাঙ্গাইলই প্রাধান্য বিস্তার এবং আক্রমণ করে খেলেছে বেশি। বিশেষ করে প্রথমার্ধে। ঠাকুরগাঁওয়ের রক্ষণভাগ এবং তাদের গোলরক্ষকের দক্ষতা ছিল লক্ষ্যণীয়। বিশেষ করে গোলরক্ষক মমতাজ বেশ কটি আক্রমণ নসাৎ না করলে গোলের সংখ্যা আরও বাড়তে পারতো। দ্বিতীয়ার্ধে ঠাকুরগাঁও বেশ কটি বিপজ্জনক আক্রমণ করে ভয় জাগায় টাঙ্গাইল শিবিরে। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতার গোলের দেখা পায়নি তারা। ২৫ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে উঁচু করে সেন্টার করে রতœা। বল গিয়ে পড়ে ঠাকুরগাঁওয়ের বক্সের ভেতর। সেখানে শাহেদাকে আগে থেকেই পাহারা দিয়ে রেখেছিল এক ডিফেন্ডার। কিন্তু এত কড়া প্রহরার মাঝেও অসাধারণ ব্যাক হেডে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে। গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল চলে যায় জালে। দুই হাত উঁচু করে লাফিয়েও বলের নাগাল পায়নি সে (১-০)। ৩৫ মিনিটে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করে হলুদ জার্সির টাঙ্গাইল। এবারও গোলদাতা সেই শাহেদা। বক্সের ভেতর রেহেনার পাস থেকে বল পায় ফাঁকায় দাঁড়ানো শাহেদা। বল পেয়ে ঠিক যা করার সেটাই করে সে। ডান পায়ের জোরালো শটে বল পাঠায় জালে। গোলরক্ষক মমতাজ ঝাঁপিয়ে পড়েও শেষরক্ষা করতে পারেনি (২-০)। ৪৬ মিনিটে শাহেদার কাছ থেকে পাস পেয়ে প্রায় মাঝ মাঠের বাঁ প্রান্ত ধরে অনেকটা দৌড়ে বিনা বাধায় বক্সে ঢুকে পড়ে উন্নতি খাতুন। বিপদ দেখে এগিয়ে আসে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক। কিন্তু কিছুই করার ছিল না তার। কেননা ততক্ষণে বাঁ পায়ের উঁচু কৌণিক শটে জালে বল জড়িয়ে দিয়ে সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাসে মেতে উঠেছে উন্নতি (৩-০)।
×