ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাংসদপুত্রের জোড়া খুনের মামলার রায় হয়নি

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ৯ মে ২০১৮

সাংসদপুত্রের জোড়া খুনের মামলার রায় হয়নি

কোর্ট রিপোর্টার ॥ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনির বিরুদ্ধে দায়ের করা জোড়া খুনের মামলায় রায় হয়নি। মামলায় আবারও যুক্তিতর্কের শুনানি হবে। এ লক্ষ্যে আগামী ৪ জুন ধার্য করেছে আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোঃ আল মামুন এ আদেশ দেন। গতকাল মঙ্গলবার এই আদালতে মামলাটিতে রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। গত ১০ এপ্রিল যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার এ তারিখ ঠিক করা হয়। এর আগে মামলাটির বিচারকালে আদালত ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। মামলাটি রায়ের পর্যায় থেকে যুক্তিতর্কে যাওয়ার বিষয়ে ওই আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুস সত্তার দুলাল বলেন, বিচারক স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দিয়েছেন। মামলাটি ন্যায়বিচারের জন্য যুক্তিতর্কে আরও কিছু বিষয় আদালতের জানা দরকার। তাই বিচারক আরও কিছু বিষয়ে আইনজীবীদের কাছ থেকে যুক্তিতর্ক শুনবেন। মামলার কোন পক্ষই পুনরায় যুক্তিতর্কের শুনানির জন্য আবেদন দেননি বলেও পাবলিক প্রসিকিউটর জানান। তিনি আরও বলেন, এর আগে মামলাটি ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন ছিল। সেখানেই মূলত সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্কের শুনানি হয়। আসামিপক্ষের আপত্তিতে মামলাটি এই আদালতে আসে। এই আদালতেও বিচারক যুক্তিতর্ক শুনেছেন। তা হয়তো বিচারকের কাছে যথেষ্ট মনে হয়নি। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল রাতে তিন বন্ধুসহ রনি শেলবারে মদপান করে। রাত সাড়ে ১১টায় শেলবার বন্ধ হয়ে গেলে তারা বার থেকে বাসায় ফেরার পথে নিউ ইস্কাটন রোডে জ্যামে পড়লে রনি তার পিস্তল বের করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। গুলির শব্দে মুহূর্তে রাস্তা ফাঁকা হয়ে গেলে তারা গাড়ি চালিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় রনির ছোড়া গুলিতে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সিএনজিচালিত অটোরিক্সাচালক ইয়াকুব আলী ও জনৈক রিক্সাচালক আঃ হাকিম মারা যান। এ ঘটনায় হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম ১৫ এপ্রিল রাতে অজ্ঞাত আসামিদের নামে রমনা থানায় একটি মামলা করেন। ৩০ মে এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে বখতিয়ার আলম রনিকে আটক করে ডিবি পুলিশ। রনিকে তিন দফা দশ দিনের রিমান্ড শেষে ২০১৫ সালের ২ জুলাই আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। এরপর থেকে সে কারাগারেই রয়েছে। মামলাটিতে ২০১৫ সালের ২১ জুলাই ডিবি পুলিশ রনির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। ২০১৫ সালের ২১ জুলাই ঢাকার সিএমএম আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক দীপক কুমার দাস। চার্জশীটে রনিকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। চার্জশীটের সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি বিদেশী পিস্তল, ম্যাগজিন, পিস্তলের ২১টি তাজা গুলি, গুলি রাখার চার্জার, একটি রক্তমাখা গুলির অংশ বিশেষ, ভিকটিম আঃ হাকিম ও ইয়াকুব আলীর ব্যবহৃত দু’টি লুঙ্গিসহ ১৫টি আলামত আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। ২০১৬ সালের ৬ মার্চ মামলাটিতে আসামি রনির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে আদালত চার্জ গঠন করে। ২০১৭ সালের ২৯ অক্টোবর আসামি রনি আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে।
×