ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্যারাডাইস পেপারে নাম

তাবিথ আউয়ালকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ৯ মে ২০১৮

তাবিথ আউয়ালকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্যারাডাইস পেপারে নাম আসা ও বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেন এবং অবৈধ সম্পদের অভিযোগ অনুসন্ধানে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল পৌনে ১০টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত দুদক উপপরিচালক এস এম আখতার হামিদ ভুঁইয়া তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সম্প্রতি প্যারাডাইস পেপারে মিন্টুসহ তার ছেলেদের নাম আসার পর দুদক তাবিথকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে। দুদক কর্মকর্তারা বলছেন তাবিথের অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছেন তারা। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে তাবিথ আওয়াল বলেন, আমি আশাবাদী একটা সুষ্ঠু অনুসন্ধানের পরে সত্যটা বেরিয়ে আসবে। এ ছাড়া আমার বিষয়ে তদন্তে যেন ‘রাজনীতি’ কাজ না করে। একটা অনুসন্ধান চলছে, এই অনুসন্ধানের মাঝে কথা বলায় আইনী বাধা আছে এবং আমিও মনে করি বলাটা ঠিক হবে না। তবে আমি আশাবাদী একটা সুষ্ঠু অনুসন্ধানের পর সত্যটা বেরিয়ে আসবে। দুদক কী অভিযোগ পেয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, তা দুদক থেকে জেনে নিতে হবে, তবে আমি এতটুকু বলতে পারি, আমাদের মধ্যে বেশ সুন্দর কথাবার্তা হয়েছে। তবে যে রাজনীতি বিরাজ করছে, সেখানে আমার একার বিষয় না, সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সব সদস্যের ক্ষেত্রে সকল এ্যাকশনই সরকার থেকে রাজনৈতিক একটা প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দুদকের এই অনুসন্ধানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে উপনির্বাচনে কোন প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন কী না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই অর্ডারটা স্থগিত অবস্থায় আছে, আমি আইনতভাবে এখনও প্রার্থী আছি। আমি আশা করি, ইলেকশনটা হবে। সেটার বিষয়ে আমি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে দোষ দিতে চাচ্ছি না। দুদকের অনুসন্ধানটা শেষ হোক, তারপর বোঝা যাবে এটা দলীয়ভাবে হয়েছিল, না কী অন্যভাবে হয়েছিল। বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ আউয়ালের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে গত ২৪ এপ্রিল তলবি নোটিস পাঠায় দুদক। চলতি বছরের প্রথম দিকে এ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুদক সূত্র জানায়, তাবিথের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। গত ২ এপ্রিল বিএনপির শীর্ষ ৮ নেতাসহ ১০ জনের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ১শ’ ২৫ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ওই ১০ জন হলেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, সহসভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু, এম মোর্শেদ খান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, নির্বাহী সদস্য তাবিথ আউয়াল, এম মোর্শেদ খানের ছেলে ফয়সাল মোর্শেদ খান ও ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। অভিযোগে বলা হয়েছে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি ১৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা নগদ উত্তোলন করেন তিনি। আর ১৮ ফেব্রুয়ারি তাবিথ আউয়ালের ন্যাশনাল ব্যাংকের এ্যাকাউন্ট থেকে ৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা নগদ উত্তোলন করেন। ২২ ফেব্রুয়ারি একই ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা হয় ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। দুটি চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করা এই টাকার মধ্যে ৩ কোটি ২৫ লাখ উত্তোলন করা হয় নারায়ণগঞ্জ থেকে।
×